![]() ঝিনাইদহের খেজুর গুড় ও পাটালি চাহিদা মেটাচ্ছে সারা দেশের
শিলু পারভেজ জনি, ঝিনাইদহ:
|
![]() ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর কালীগঞ্জ, মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় প্রচুর সংখ্যক খেজুর গাছ রয়েছে। জেলার ৬ টা উপজেলার গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে, জমির আইলে, রাস্তার পাশে, পতিত জমিতে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যায়। বর্তমানে এসব এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবেও খেজুর বাগান গড়ে তুলছেন অনেকে। শীতের সাথে খেজুর রসের রয়েছে এক অপূর্ব যোগাযোগ। শীত যত বাড়তে থাকে খেঁজুর রসের মিষ্টতাও তত বাড়ে। এ সময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতিক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হয় পিঠা, পায়েস ও গুড় পাটালী তৈরির ধুম। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় ও পাটালি গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যায়। খেজুর রসের পায়েস, রসে ভেজানো পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারেরতো জুড়িই নেই। কোটচাঁদপুর উপজেলার তালিনা গ্রামের গাছি আযুব আলী জানান, এখন বাজারে খেজুর গুড় ও পাটালির দাম ভালো । এখন ৯-১০ কেজি ওজনের এক কলস গুড় ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । তিনি আরো জানান তার একটি খেজুর বাগান রয়েছে যাতে শতাধিক খেজুর গাছ রয়েছে । সেগুলো থেকে রস সংগ্রহ, গুড় ও পাটালি তৈরি, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যা মিলে করেন । গুড় ও পাটালি তৈরি করে গান্না বাজার, কোটচাঁদপুর বাজার ও কালিগন্জ বাজারে সেগুলো বিক্রি করেন । ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামেন মশিয়ার রহমান জানান, গত বছর ১০ কেজি ওজনের এক কলস গুড় উৎপাদন করতে খরচ হয়েছিল ৩০০ টাকা। আর বিক্রি করেছেন ৬০০-৭০০ টাকায়। তবে এ বছর গুড় ও পাটালির দাম তুলনামুলক ভালো এমন দাম থাকলে তারা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি । কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ঝিনাইদহে প্রায় তিন লাখের মত খেজুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সদরের ১৭টি ইউনিয়নেই রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি গাছ। তবে সঠিক ভাবে পরিচর্যা না করা ও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ির কারণে খেজুর গাছ আজ বিলপ্তির পথে। ইটভাটা গুলোতে খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও ভাটা মালিকরা নির্বিচারে খেজুর গাছ দিয়ে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে। ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত খেজুর গাছ ফুরিয়ে যাচ্ছে। দেশের কৃষি বিভাগ গ্রামের সহজ সরল গাছিদের একটু তদারকির ব্যাবস্থা করলে খেজুর গুড় ও পিাটালির আরো উৎপাদন বাড়বে বলে জানান সংস্লিষ্টরা । |