![]() হিমালয়ের ঠাণ্ডা বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ শীতে কাতর
কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও:
|
![]() হিমালয়ের পাদদেশের জেলা ঠাকুরগাঁও। পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা উত্তরের সর্বশেষ জেলা ও হিমালয়র অনেক কাছে হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি হয়। অন্যান্য বছর নভেম্বরের শেষে শীতের দাপট শুরু হলেও এ বছর জানুয়ারির শুরুতে শীতের দাপট শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শীতের প্রথম আঘাত এটি। এদিকে গত সোমবার থেকে দিনের বেলায় সূর্যের মুখ দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে বাতাসের আর্দ্রতা ২৪ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ। প্রচণ্ড শীতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু পাখিও ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। রাতে বৃষ্টির ন্যায় ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে। প্রচণ্ড শীতে সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। শ্রমিক শ্রেণির এসব মানুষ সন্তান পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। দিনের বেলাতেও মাঝে-মধ্যে হেড লাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহনকে চলাফেরা করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, শীতের হাত থেকে শীতার্তদের বাঁচাতে জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার কম্বল পেয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৪ হাজার ১৭৭ পিস কম্বল পেয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাপ্ত কম্বল জেলার ৫ উপজেলা ও ৩ পৌর এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে শীতে বোরোর বীজতলা রক্ষার্থে ইতোমধ্যে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণের জন্য ইতোমধ্যে ৫০ হাজার পিস কম্বল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত কিছু কম্বল ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী কম্বল পাওয়া গেলে হয়তো কিছু মানুষকে শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পারবো। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরো কম্বল বিতরণ করা হবে। |