![]() হত্যা মামলার আসামি পলাতক, বাড়ির মালামাল লুট বাদীপক্ষের
কামরুল হাসাব, ঠাকুরগাঁও:
|
![]() এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছে বিবাদি সৈয়দ আলীর পরিবার। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাদি পক্ষের লোকজন সৈয়দ আলীর বাড়ির মালামাল, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ক্ষেতের ধান, খড়ের পুজ, শ্যালো মেশিনসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের অভিযোগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে বিবাদির বোন কামরুন নাহার। মামলা সুত্রে জানা যায়, সৈয়দ আলীর বাড়িতে রক্ষিত ৩ একর জমির ধানের পুজির ১৫০ মন ধান, বাড়ির পশ্চিমপার্শ্বের পুকুরের ৫/৬ মন মাছ, বাড়িতে পোষা ১০টি ছাগল, ৫০টি মুরগি, ব্যবহৃত দুটি বাইসাইকেল, একটি চায়না ৪ হর্সের ওয়াটার কুলার শ্যালো মেশিন, ২০টি হাঁসসহ বাড়ির অন্যান্য ব্যবহৃত মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মামলায় উল্লেখিত তোজাম্মেল ও তৌহিদুরসহ ২১ আসামি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকা। সরেজমিনে সংবাদকর্মীরা দক্ষিণ ভেলাজানের সৈয়দ আলীর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগে উল্লেখিত মালামাল লুটের সত্যতা পেয়েছে। এসময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি। সৈয়দ আলীর মেয়ে এলিজা জানায়, মালামাল লুট করার সময় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে তাদের শাসিয়ে আসামিরা বলে, যে বাধা দিতে আসবে তাকেই হত্যা মামলার আসামি করা হবে। ফলে তাদের কেউই বাধা দিতে পারেনি। একই ঘটনা ঘটেছে আপনারা যখন আমাদের বাসায় যান, তখন কেউ যাতে মুখ না খোলে সেজন্য তাদের পাহারা দিয়ে রেখেছিল আসামির আত্মীয়-স্বজন। এছাড়াও বাসায় খাওয়ার জন্য মজুত রাখা সাড়ে তিন মণ চাল লুট ও বাঁশ ঝাড়ের সমস্ত বাঁশ কেঁটে নিয়ে যায় বিরোধী পক্ষরা। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জিয়ারুল হক বলেন, জমির বিরোধে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। এতে মামলার বিবাদি সৈয়দ আলী আতঙ্কে পরিবারসহ পালিয়ে যায়। আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৪-২০ তারিখ পর্যন্ত রাতে চৌকিদার দিয়ে বাড়ির মালামাল পাহারা দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু পাহারা উঠিয়ে নিলে বাড়ি-ঘর লুট করা হয়। তবে পরিষদে ১২টি গরু হেফাজতে রাখা আছে। মালিক আসলেই তা ফেরৎ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির বিরোধে একজন নিহত হওয়ায় নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছে। এছাড়া বাসায় কেউ না থাকায় বিবাদি সৈয়দ আলীর ১২টি গরু ও কিছু ধান পরিষদে জমা আছে। এগুলোর মালিক আসলেই তা ফেরত দেয়া হবে। তবে সৈয়দ আলীর বাড়ি-ঘর ও মালামাল লুটপাটের বিষয়ে তিনি অবগত নন। |