![]() দ্রোহী কথা সাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরীর জন্মদিন ১লা মার্চ
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() গুণীজনের অভিমত: বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (ইতিহাস গবেষক) বলেছেন, ‘আব্দুর রউফ চৌধুরী ছিলেন পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণার ঊর্ধ্বে মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন লেখক।’ বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান (প্রাবন্ধিক, গবেষক, ফোকলোরবিদ) বলেছেন, ‘একজন মনীষী, যিনি তাঁর মনন, মেধা এবং সামাজিক জীবনে সকল আবিলতার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, তাঁর মাধুর্য এবং তাঁর গরিমাকে আনন্দের সঙ্গে স্বীকার করছি।’ ড. মনিরুজ্জামান (ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক) বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও বহুমুখী স্র্রষ্টা। তাঁর সৃষ্টিশীল রচনাগুলো ছিল এক তীর্যক অভিজ্ঞতার ফসল, তেমনি অন্যান্য লেখাগুলো ছিল মনন-ধর্মে ঋদ্ধ।’ মহাদেব সাহা (কবি) বলেছেন, ‘তাঁর রচনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে, তাঁর ভাষার সঙ্গে পরিচিত হয়ে বঙ্কিমের কথাই মনে হয়েছে।’ ড. কেতকী কুশারী ডাইসন (কবি ও সাহিত্যিক) বলেছেন, ‘ তিনি স্পষ্টত একজন সংগ্রামী মানুষের জীবনযাপন করেছেন এবং স্বদেশে তথা এ দেশে নানা প্রতিক‚লতার মধ্যে গড়ে-পিটে নিজেকে লেখকরূপে নিমার্ণ করেছেন। [...] যেখানে তিনি আর আমি দুজনেই বাংলা ডায়াস্পোরার সাহিত্যিক, সেখানে আমরা সহপথিক। এই নিরলস সহকর্মীর জন্য রইলো আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।’ আবদুল মান্নান সৈয়দ (কবি ও সাহিত্যিক) বলেছেন, ‘চল্লিশের দশকে আমাদের গল্পে-উপন্যাসে যে-আধুনিকতা শুরু হয়, আব্দুর রউফ চৌধুরী তারই উত্তরসাধন।’ হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্যিক) বলেছেন, ‘তিনি বহুগুণে গুণান্বিত মানুষ ছিলেন। [...] আব্দুর রউফ চৌধুরীর সৃজনকর্ম পাঠক সাধারণের সামনে আসুক এবং নানাভাবে মূল্যায়িত হোক এই কামনা করি।’ সেলিনা হোসেন (কথাসাহিত্যিক) বলেছেন, ‘আব্দুর রউফ চৌধুরীর বইগুলো পড়ে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি। তিনি তাঁর লেখায় যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য গড়ে তুলেছিলেন তা যেকোনো বাঙালি লেখকের জন্য গৌরবের।’ |