জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক হাওলিয়াং জু রাজধানী ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের সর্বনিম্ন অবস্থা থেকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে তবে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ যে উন্নয়নে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে, বর্তমান কাজের উপর ভিত্তি করে দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতির এ ধারা বজায় রেখে ২০২৪ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ। নিম্নমধ্য-আয়ের ফাঁদ থেকে অব্যাহতি পেতে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত উন্নয়ন, রূপান্তর, উদ্ভাবন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উন্নতি ও পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের জন্য আমাদেরকে উন্নয়নমূলক কাজে পর্যায়ক্রমে সরকার ও অন্যান্য অংসংগঠনের সাথে একসাথে কাজ করতে হবে।
দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সম্ভাব্য পর্যায়ে নিতে এল. ডি. সি. উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউ.এন.ডি.পি. প্রশাসক আচিম স্টেইনারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জু-এর প্রতিনিধিত্বে স্টেইনার ২২ থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে এলডিসি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্টিনারের কাছ থেকে একটি বার্তা পড়ে শোনান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিভাগের আয়োজিত "বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন অব এলডিসি স্ট্যাটাস; অপরচুনিটি এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড" শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন করেন জু। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য স্পিকারগুলি ইউনাইটেড নেশনস এর সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামোলোয়া কাতোয়া উটোকামানু, এলডিসি'র সেক্রেটারি জেনারেলের উচ্চ প্রতিনিধি, ভূমি লকড ডেভেলপমেন্ট দেশ এবং এসআইডিএস উপস্থিত ছিলেন।
হাওলিয়াং জু তার সফরের অংশ হিসাবে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এবং স্থানীয় জনগণের পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও জানতে টেকনাফ গিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করে জু। তিনি বলেন, মানবিক সংকটের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সকল সমস্যা মোকাবেলায় সরকার ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের সাথে স্থানীয় জনগণকে সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউএনডিপি।