![]() মোহাম্মদ মুসা'র একগুচ্ছ কবিতা
মোহাম্মদ মুসা :
|
![]() কেন বলছ নারী জগত নিচু, তাহলে কেন হচ্ছ সবাই পিছু। নারী ভুষনে মানুষ জন্ম ভাই, নারী বিনে জগত শোভন নাই। নারী গড়ে সংসার ক্ষেত্র কুলে, নারীর জন্য রঙিন ফোঁটে ফুলে। নারীর থাকবে কেন জগত অন্ধে নারীর রবে পুষ্পা মধুর গন্ধে। পুরুষ হওয়া সহজ তরো কথা বীরপুরুষ হওয়া খুবই কঠিন, নারী হওয়া অতি সহজ কথা, সতি নারী হওয়া যথা কঠিন। ধার্মিক নারী হতে পারা ভালো, হলে হতে পারে সংসার আলো। সুন্দর হলো ঐসে নারী যতো, নিজেকে যে রাখে নিজে মতো। নারীর আঘাত ভীষণ ব্যথা কবু নারীর কোমল হাতে কেনো তবু। নারী তুমি হয়ো নাহি নিঠুর, তোমার চেয়ে নাহি দামি রুদ্রর। চলাফেরা মুক্ত কেনো বাঁধা, নারীর মনে লাগবে কেনো কাদা। খোকার সাধ পাখি যদি আমার বুকে বাঁধতে কবু ভাষা, কতো লোকে চেয়ে থেকে মনে হতো আশা। রাগ ও হতো অভিমান হতো খেলতো লুকোচুরি, নীল আকাশের উড়ে যেতো হয়তো রঙিন ঘুড়ি। ঘরকে ফাঁকি দুয়ারে ফাঁকি শতো মিছে ঢং যতো রঙিন রং তুলিতে ফুরা তো না রং পাখি যদি হতো কবুতর ময়না শালিক ফিঙে, একটি মনে পোষ মানিয়ে ছেড়তাম মুক্ত বঙ্গে। দোয়েল কয়েল গান করিত নানান সুরে সুরে, সে গানেরই কন্ঠ শোনে ওহে প্রাণ যেতো জুড়ে। বাবই পাখির বাসা ঢোলে তালগাছের ঐ পাতায়, তাদের সাথে ইচ্ছে করতো বাস করিতেছি সেথায়। হতো যদি একটি পাখি লাগছে মনে যেন তোষা, ভালো বাসা দিতাম মায়ের বাঁধে যেমন পোষা। আয়রে পাখি আয় ডেকেছে কোনসে ডাকের খোকায়, বনের পাখি থাকবি বনে ফেলবো নারে ধোঁকায়। আমার জানি কেমন তোরে শখতে ইচ্ছে হয়, কথা দিলাম কোন রাগেতে দেখাবো না ভয়। পরিচয়, বাংলাদেশের ছেলে আমি চলন বলন বাংলার রূপ, অবাক চোখে চেয়ে থাকে, বিশ্বের বুকে মানুষ খুব। মা আছে ছেলে আছে আছে মধুর ভালো বাসা, ক্ষেত আছেই মাঠ আছেই আছে কৃষক জেলে চাষা। ঋতু খেলায় মাতে প্রকৃতি আমি ওকি মেতে যাই যে, শতবার আমি হারিয়ে বসে বাংলাকেই খুঁজে পাই যে। খেলি পড়ি কথার জালে মুখটি জুড়ে ভেজা হাসি, বাংলার ভীষণ প্রেমের ঘাটি, অজয় ধরায় ভালো বাসি। প্রকৃতির ঔ ছবি দেখি মুখ মাখানো খুবই মিল, নবীন তৃণ্য ছায়া দেখি নেই অমিলে তবেই তিল। এ ছেলেটির মুখটি ফুটে বলে সবে ছেলেটি কে! ভিন জাতেরা দেখে বলে এ ছেলেটি তো বঙ্গের যে। আমি খুঁজি বাংলাকে - সে খুজে ফিরে আমায় চেনায়, তার ভিতরে আমায় আঁকে সন্তান আমি বলই মনায়। এমন একটি ছেলে তাহার! অমনি করে মুচকি হাসে, তারি মাঝে লুকিয়ে তরে একটি ছবি এমনি ভাসে। এ আমাকে এমন মায়া দিল কিসে কোথা থেকে, বিশ্ব বাসির প্রাণ জুড়াল ছেলেটির মুখ দেখে। আল্লাহ্ সয়ায়ক আল্লাহ্ তুমি একতো আপন, তোমার আশাতে জীবন যাপন, কুল মাখলুকাত তৈরি সকলি গাইতো সত্যের জ্যোতি গান, মিথ্যা তুমি নিচে আনো তবই করো প্রভু আচান। আল্লাহ্ মহান আল্লাহ্ মহান তিনি ছাড়া কে সমীয়ান। রোগীর তুমি সুস্থতা দান করো বিপদ কে করো দুর, অত্যাচারির বর্গ লীলা তুমি -ভেঙে করই চূর। তোমার আশিক নবী মোদের আল্লাহ্ কর গো শাপায়াত, পূর্ণ বানের জন্য দিও আল্লাহ্ বাগান ভরা জান্নাত। আমার নবীর দেখা মোদের দিও হাশর বিচারে দিন, আল্লাহ্ তুমি মেহেরবান গো দেব কেমনে তোমার ঋন। সরল সহজ পথ দেখাও ভালো মানুষ যেনো হবার, ফ্যতনা ফাসাদ তৈরি করে করবে তুমি কিতার বিচার। সবার মাঝে সাধু সাজে অন্তর কলুষ নাফর মানি, সত্য তোমার দরবার গিয়ে বলে আমি না না জানি। আমরা যাহা নাহ জানিগো তুমি প্রভু তাতো জানো, মুনাফিকের বড় গলা তবে থামিয়ে নিচে আনো। হে আল্লাহু পৃথিবীর মালিক যাহা তুমি রহমানুর রহিম, শান্তি দিও মানব ঘরে সকল তরে তুমি অসীম। মানুষ মানুষ কেনো দন্দ কেনো অমিল হচ্ছেই রেস, তোমার তৈরি মানুষ কেনো অমানুষিক মুখটি বেশ। ভালো কেতো দাও রহমত থাকতে দাও যেনো ভালো, এ পৃথীবি কারো জন্য যেনো নেভে নাযে আলো। যেজন নিয়তো মানুষ ক্ষতি করে ঘুরে তবে বেড়ায়, তারে কেবা থামিয়ে দেবে আল্লাহ্ ওহ সদাশয়। মাদক, মাদক নামে মানব মাঝে কোনসে এলো ব্যধি, সাধু ভাই সেচ্চার হতে থাকবেনা নির-বধি। ভালোকে যে মন্দ বানায় মন্দ করে ভালো, তাঁহার মাঝে কি লাগিবে প্রভাতেরি আলো। এককে যারা করে দুই দুই করে এক এক মাদকে ধংস করে অন্য জনকে দেখ। কথায় বলে, ভালো সাথে হেটে যে খায় পান, খারাপ সাথে চলে যেতার কাটে দুই কান। যুব তরুণ রক্ষা করতে হতে হবে ঠিক, না হলে যে ভদ্রতার থাকবে নাই শিক। মাদক ছাড়া জীবন গড়ো সুন্দর জীবন চাই, এ জীবনতর ভালো ছাড়া কোনো দামই নাই। মাদকের চেয়ে জীবন বড় জীবন চেয়ে নাই, এ জীবনটি মুছে গেলে আরতো ফেরা নাই। ঈদের খুশি ঈদের মাঠে ছোটে চলে গরিব দুঃখী মিলে সবে, ঈদের হাসি ফিরে এসে মন কাদিয়ে গেলে তবে। ছোট ছেলে স্কুল পড়ে মুখের দিক ফিরে চায়, সবার মতো নতুন জামা গায় দিতে যদি পায়। সবই দেখে বাবার কষ্ট মুখ না ফোটে বলে, সবে যেনো নতুন জামা গায়ে মাঠে চলে। পাড়া পরশিরবাঁশির সুরে মনতো নেচে উঠে আমি ঔকি বাজাব বাঁশি আগামী ঈদ জোটে। অবুঝ ছেলে চেয়ে বলে মাগো সিন্নি রাধ নাই, আমাগোকি ঈদ আছেনি নারে বাবা এসব নাই। কেনোগো মা আমরা কিতো মানুষ তবে মোটে নই, নারে ওতোর আছে যাদের অনেক বেশি টাকা তই। ঈদের দিনের খুশির কথায় সবার আগে জাগি, ঈদকে যেনো সবার হতে করি ভাগাভাগি। ঈদতো আসবে ঈদতো যাবে দুঃখ কেনো আসে, আমারা কি পারবনা হতে পাড়াপড়শির পাশে। |