/ সাক্ষাৎকার / শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে দল ও নির্বাচনী এলাকাকে এগিয়ে নিতে চাই: সেলিনা জাহান লিটা
শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে দল ও নির্বাচনী এলাকাকে এগিয়ে নিতে চাই: সেলিনা জাহান লিটা
খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল প্রতিনিধি:
|
বাবা থানা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তাই পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছাত্রজীবন থেকেই সেলিনা জাহান লিটা সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করে দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর এবং তৃণমূল নেতাদের অগাধ ভালবাসায় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হয়েছেন। সম্প্রতি তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন আমাদের রানীশংকৈল প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওন:
রাজনীতিতে জড়ালেন কিভাবে? আমি রাজনীতিতে জড়িয়েছি এ কথা বললে ভুল হবে কারণ আমি পরিবারগত ভাবেই আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আমার বাবা মরহুম আলী আকবর এমপি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্বের অন্যতম সংগঠক ও রানীশংকৈল থানা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাই অক্ষর জ্ঞান শেখার পর থেকেই বাবার রাজনীতি দেখেছি আর তখন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছি। রাজনীতিতে আপনার বিশেষ ভুমিকা কি? বিশেষ ভুমিকা বলতে শুরুতেই বলেছি আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, আমার বাবা প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় আ’লীগকে আর আমি করেছি মহিলা আ’লীগকে। এই সংগঠন করতে গিয়ে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। উত্তববঙ্গের শেষ প্রান্তের ভারতীয় সীমানা ঘেষা এই জেলার মহিলাদের ঘর থেকে বের করে রাজনীতিতে জড়াতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে। তবে শেষ প্রর্যন্ত মহিলা আ’লীগকে সুসংগঠিত করেই ছেড়েছি। বিগত বিএনপি জামায়াত জোটের দুঃশাসনের বিরুদ্বে রাজপথে থেকেছি। আমি একমাত্র নারী নেত্রী যে কখনোই রাজপথের সাথে আপোষ করেনি । দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে আপনার অবস্থান কি? দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় অবস্থান আছে বলেই আমার বাবার আদর্শে মানুষ হয়ে মানুষের সাথে মিলে দুই দুই বারে বিপুল ভোটে রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছি। তৃণমূলে গ্রহণ যোগ্যতা আছে বলেই সেই গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত করে মহান সংসদে এসে আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। নারী সংসদ র্নিবাচিত হয়ে দল ও এলাকার উন্নয়নে কী ভুমিকা রেখেছেন? সবার প্রথম এলাকার নারীদের সু-সংগঠিত করে সম্প্রতি রানীশংকৈল উপজেলায় বিশাল এক নারী সমাবেশ করেছি যা কখনোই কোন রাজনৈতিক সংগঠন করতে পারেনি। নারীদের অধিকার আদায়ে সব সময় নারীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। দলকে সু-সংগঠিত করতে অনেক মান অপমান সহ্য করে দলকে সু-সংগঠিত করেই ভাইস চেয়ারম্যানের চেয়ার থেকে সংসদে আসন পেয়েছি। আর উন্নয়ন বলতে আপনারা জানেন সমগ্র দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রচেষ্টায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তারপরও সংরক্ষিত নারী সাংসদদের একটা সীমাবদ্বতা রয়েছে। তাই আমি আমার সংরক্ষিত এলকার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ দুই উপজেলায় মিনি ষ্টেডিয়াম ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ পীরগঞ্জ উপজেলার ডাক বাংলো নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা রেখে তা বাস্তবায়ন করেছি। ইতিমধ্যে জেলা সদর ঠাকুরগাও থেকে শেষ উপজেলা হরিপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ সহ নির্মাণের বরাদ্দ পাশ করিয়েছি। এছাড়াও আলী আকবর মেমোরিয়াল অটিষ্টিক প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। আপনি কি শতভাগ নিশ্চিত মনোনয়ন পাবেন? নেত্রী কাকে মনোনয়ন দিবেন সেটা তাঁর নোট বুকে খোদায় করা রয়েছে। তবে আমি সাংগঠনিক ভাবে ও এলাকার জনগণের ভালবাসায় নিশ্চিত যে আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেন তাহলে শত বাধা বিপত্তি পিছনে ফেলে বিজয় নিশ্চিত করে এ আসনটি উপহার দিতে পারবো। তবে তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো। যদিও বিগত দুইটি সংসদ নিবার্চনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিল না জোট-মহাজোটগত কারণে । এবার আমরা ঠাকুরগাও-৩ আসন নৌকার ঘাটি হিসেবে আ’লীগের প্রার্থী দেওয়ার দাবি নেত্রী কে জানিয়েছি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কেমন ভুমিকা থাকবে? আমি আগেই বলেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রচেষ্টায় সমগ্রহ দেশ উন্নয়নের জোয়াওে ভাসছে। সে-ধারাবাহিকতায় আমিও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদেও কর্মসংস্থানের লক্ষে কাজ করবো তাদেও নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রেরণা দিবো। এলাকাকে এক নতুনরুপে সাজিয়ে তুলবো। পরিশেষে বলতে চাই শৃংঙ্গলার মধ্যে দল ও নির্বাচনী এলাকাকে এগিয়ে নিতে চাই। |