![]() নাটোরের গুরুদাসপুরে ওয়ারিশন সুত্রে পাওয়া জমিতে লিচু পারতে বাধা; হুমকির অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি:
|
![]() স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লিচুবাগানগুলোর মালিক প্রয়াত ইউএনও শফিকুল ইসলামের মৃত মা রাবেয়া বেগম। রাবেয়া বেগম মামুদপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীর স্ত্রী। প্রয়াত ইউএনও শফিকুল ইসলামের ওয়ারিশন সুত্রে তাঁর মায়ের পাওয়া ২৫ বিঘা জমিতে পাঁচটি লিচুবাগান রয়েছে। শফিকুল ইসলামের মৃত মা রাবেয়া বেগমের নামের সম্পতি শফিকুল ইসলামের মেয়ে শিশু কন্যা শেরিন শিমরাহ শাবাহাত রাইম ও ছেলে শাফাকাত শুফাইক রোরি ওয়ারিশন সুত্রে এই জমির মুল মালিক। এই জমি দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা সোহেল হোসেন মুন্না অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই মাস আগে এই বাগানগুলো স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক রুবেল হোসেনের কাছে ৮লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রি করি। সেই লিচু এখন বিক্রির সময় হয়েছে। সেই লিচু পেরে বিক্রি করার জন্য বাগানে শ্রমিক কাজ করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে বাধা ও হুমকি দিচ্ছেন ছামছুল হোসেন, আলম আলী, আরমান, বাতেনসহ ১০-১২ জনের একটি দল। এই জমির মূল মালিক ইউসুফ আলীর প্রয়াত স্ত্রী রাবেয়া বেগম। তাঁর একমাত্র ছেলে প্রয়াত ইউএনও শফিকুল ইসলামের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। ইউএনওর অবর্তমানে তাঁর দুই সন্তান বর্তমান মূল মালিক। এ জন্য প্রয়াত ইউএনওর স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদা পারভিনের নির্দেশে জনৈক রুবেল হোসেনের কাছে লিচুবাগানগুলো বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়াত ইউএনও শফিকুল ইসলামের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকতার্ ইউসুফ আলী তাঁর নিজ নামীয় ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, গুরুদাসপুর এবং চাঁচকৈড় শহরের কোটি কোটি টাকার মূল্যের জমি তাঁর একমাত্র ছেলের দুই এতিম সন্তানদের না দিয়ে তিন মেয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। সাবেক পুলিশ কর্মকতার্ ইউসুফ আলী আমাদের নামে ৪-৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে একটি মামলা আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। বাকি মিথ্যা মামলা থেকেও আমরা মুক্তি পাবো আমরা। এবিষয়ে ছামছুল আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। ওই জমির এখন পর্যন্ত প্রকৃত মালিক সাবেক পুলিশ কর্মকতার্ ইউসুফ আলী। আমি ওই জমিগুলো দেখাশুনা করতাম। আমি প্রথমে ওই বাগান অন্য জায়গা বিক্রি করেছিলাম। এখন তারা নাটক সাজিয়ে অন্য একজনকে দিয়ে লিচু পারার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। |