/ ভ্রমণ / আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দিবসটি পালিত হবে।
পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এ দিবসের লক্ষ্য। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) উদ্যোগে ১৯৮০ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করা হয়। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো-‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজন করা হচ্ছে সাতদিন ব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কক্সবাজার সাগর পাড়ের লাবণী পয়েন্টে এ মেলা ও কার্নিভাল অনুষ্টিত হবে। এ উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে রয়েছে ৩০-৭০ শতাংশ মুল্য ছাড়। পর্যটক তথা অতিথিদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ কিছু সুবিধাও। পর্যটনের নতুন ভাবনা ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি (বিএমসি) ৭ দিন ব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন করেছে। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে আনন্দ-উৎসবের এ মেলা। প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের সপ্তাহব্যাপি পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল আয়োজনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্টান বসুন্ধরা গ্রুপ অন্যতম সহযোগি (ষ্পন্সর) হিসাবে থাকছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২২ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭ টায় এক র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সকাল ৮ টায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা আগারগাঁওস্থ পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণী প্রদান করেন। তিনি বলেন, "বিশ্ব পর্যটন দিবস অন্তর্ভূক্তি, প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে পর্যটনের ক্ষমতা তুলে ধরে। টেকসই উন্নয়নের শক্তিশালী এক চালক হলো পর্যটন। শিক্ষা, নারী ও তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং সমাজের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে পর্যটন অবদান রাখে। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা পুনরুদ্ধার ও সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে দেয়। আমাদের অবশ্যই পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটনে বিনিয়োগ করতে হবে। এর মাধ্যমে এই খাতে জ্বালানি খরচ কমাতে হবে, শূন্য নিঃসরণের পথে হাঁটতে হবে এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পর্যটন রাষ্ট্র ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী যেন লাভবান হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শিল্পযুগের আগের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের অবশ্যই পর্যটন অনুশীলন করতে হবে। এর ওপর এই শিল্প এবং স্মল আইল্যান্ড ডেভেলপিং স্টেটসের (উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র) মতো পর্যটনআকর্ষী ভূখণ্ডগুলোর টিকে থাকা নির্ভর করছে। এ বছরের জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সম্মেলনে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ও পর্যটনখাত ২০২৪ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে আইনি কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে। অপচয় করার মতো সময় নেই। আসুন আমরা নতুন করে চিন্তা করি এবং পর্যটনখাতকে নতুন করে গড়ে তুলি। আসুন, আমরা একসঙ্গে সবাইকে আরও বেশি টেকসই, সমৃদ্ধ ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যত উপহার দেই।" |