/ সারাদেশ / নড়াইলের চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
নড়াইলের চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল:
|
নড়াইলের চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির সেই কুমির।
নদীতে কুমির দেখে চরম আতঙ্কে ছিল তারা। অবশেষে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ইট ভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদীর চরে সেটিকে দেখতে পেয়ে গ্রাম বাসী জাল দিয়ে আটক করে বিশাল আকৃতির এ কুমির। কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে স্থানীয় ইউপি চত্ত্বরে রাখা হয়। কুমিরটি এক নজর দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করে। পরে বন বিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যায়। এদিকে, কুমিরটি ধরার সময় সাতজন আহত হলেও জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর কুমিরটি স্থানীয়দের নজরে আসার পর চিত্রা নদীতে কুমিরের আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়। পরবর্তীতে অক্টোবরের শেষের দিকে মধুমতি নদীর ঘোড়াদাইড় ও জয়নগর এলাকায় কুমিরটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে এবং অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। অনেকে সেটি দেখতে ছুটেযান। কুমিরটি প্রায় পাঁচ/সাতফুট লম্বা হবে। চিত্রা নদীতে গত কয়েক মাস ধরে এটি কে বিভিন্ন স্থানে ভাসতে দেখাযায়। ইতিমধ্যে নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকালহওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল। এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বলেন,সোমবার দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা কুমিরটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। এরপর খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২জন মিলে চারদিকে বড়জাল দিয়ে ঘেরাও করেকুমিরটিকে আটক করে। এরপর সেটি ইউপি চত্ত্বরে নিয়ে আসলে আমার হেফাজতে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সহযোগিতায় বন্যপ্রাণি সম্প্রসারণও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনার রেঞ্জ অফিসারের নিকটসন্ধ্যার পূর্বে লিখিত ভাবে হস্তান্তর করা হয়। কালিয়া উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বলেন,কুমিরটিকে আটক করতে পারার খবর পেয়ে বন্য প্রাণি সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে কুমিরটি সন্ধ্যার পূর্বে নিয়ে গেছেন। এটি মিঠা পানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেনতারা। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘড়িয়ালটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এরপর উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের সঙ্গে কথা বললে তারা বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের নিকট সেটি হস্তান্তর করা হয়। |