![]() বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা, চোরাকারবারি নিহত
নতুন বার্তা, নেত্রকোনা:
|
![]() গ্রামের ইদ্রিস আলী ও আব্দুল মালেক জানান, তারাবির নামাজ চলাকালে হঠাৎ ২টি গুলির শব্দ পাই। দ্রুত নামাজ শেষে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে বিজিবি বাধা দেয়। পরে দেখি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জাইদুলকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া পুরো গ্রাম ঘিরে রাখা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আমিনুল ইসলামের লাশ এনে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি বিজিবির গুলিতে সে নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ জাইদুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার সময় আহত বারমারি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. মিনহাজ উদ্দিনকে (৫৩) উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, বস্তায় করে চোরাই পণ্য নেওয়ার সময় আমরা পাঁচজনকে আটক করি। এ সময় কয়েকজন এসে অন্ধকারে আমাদের ওপর হামলা করে। দা জাতীয় ধারালো কিছুর আঘাতে আমার হাত জখম হয়েছে। বিজিবির নেত্রকোনা সিইও লে. কর্নেল মো. আরিফুর রহমান বলেন, রাতে বর্ডারে চোরাই মাল পাচার হচ্ছে শুনে বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে টহল জোরদার করেন। ওই সময় কয়েকজনকে মাথায় বস্তা নিয়ে (সুপারি) ভারতের দিকে যেতে দেখেন বিজিবি সদস্যরা। তাদের আটক করা হলে আরও কয়েকজন এসে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের এক জওয়ান গুরুতর আহত হন। এ সময় বিজিবি আÍরক্ষায় ২ রাউন্ড গুলি চালায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বারমারি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আইনুল হক সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে রাখা ছিল। আর হাসপাতালের সামনে আহাজারি করছিলেন আমিনুলের মা কুলসুমা খাতুন। তিনি বলেন, আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ করে। এলাকার সুপারি ব্যবসায়ীরা তাকে বর্ডারের কাছে সুপারির বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে বলেন। বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা আমিনুলকে মারধর করেন। প্রতিবাদ করায় তাকে গুলি করা হয়। |