/ সারাদেশ / বান্দরবান সীমান্তে মর্টারশেল আতঙ্ক
বান্দরবান সীমান্তে মর্টারশেল আতঙ্ক
নতুন বার্তা, বান্দরবান:
|
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। মিয়ানমার বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে আবারো ওপার থেকে দু’টি মর্টারশেল এসে পড়েছে তুমরু কোণারপাড়া ও পশ্চিমকুল এলাকায়। তবে এটি মাটিতে পড়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে তৎপর রয়েছে বিজিবি। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমানা তুমরু খাল নামে পরিচিত। এ এলাকায় দিনে কিছুটা কম থাকলেও রাতের আঁধারে বাড়ছে ব্যাপক গোলাগুলি। গতরাতে বাংলাদেশের এপারে দু’টি মর্টারশেল উড়ে আসার খবর জানান স্থানীয়রা। তার মধ্যে একটি কোণারপাড়া বসতবাড়ির সামনে অন্যটি পশ্চিমকুল এলাকায় জমির মাটিতে দেখতে পায়। এমন পরিস্থিতিতে সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন। এ বিষয়ে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আজিজ নামে একজন বলেন, তুমরু সীমান্তের ওপারে গত মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১৭-১৮টি মর্টারশেলের আওয়াজ শুনেছে সীমান্তবাসী। গতকালও এপারে দু’টি মর্টারশেল এসে পড়েছে। তবে তা মাটিতে এসে পড়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এপারের পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। এ পর্যন্ত সীমান্তে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল বিস্ফোরণের খবর রয়েছে। ওদিকে ঘুমধুম বাইশফাঁড়ি বিওপি’র বিশেষ টহল দল বুধবার সকালে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় মিয়ানমারের তিন উপজাতি নাগরিককে আটকের ২ ঘণ্টা পর পুশব্যাক করে। ৩৪ বিজিবি’র ৩৭ নম্বর পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা মিয়ানমারের মংডু জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে সোমবার সীমান্ত এলাকার ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসব এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তীব্র গোলাগুলি হচ্ছে। এতে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরাফেরা না করতে নির্দেশনা দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। |