/ সারাদেশ / বাউফলে শিশু ধর্ষক বিএনপি নেতা আনোয়ারের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবিতে মানবন্ধন
বাউফলে শিশু ধর্ষক বিএনপি নেতা আনোয়ারের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবিতে মানবন্ধন
নতুন বার্তা, পটুয়াখালী:
|
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মধ্য মদনপুর গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছে ওই গ্রামের হাজারো নারী ও পুরুষ। বিএনপি’র সহযোগি সংগঠন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের শিশু ধর্ষণ কাণ্ডে কয়েকদিন যাবত উত্তাল বাউফল। উপজেলাবাসী কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না এমন ভয়ংকর-বিকৃতমনা শিশু ধর্ষণের ঘৃণ্য ঘটনাটি। মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয়রা অনতিবিলম্বে ধর্ষক আনোয়ারের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন, মাত্র ১১ বছরের ছোট শিশু, সেই মেয়েটিকে দফায়-দফায় ধর্ষণ করেছে আনোয়ার। সে কিভাবে এতটুকু বাচ্চাকে ধর্ষণ করতে পারে? কতটা বিকৃতমনা মানুষ বর্বর আনোয়ার। এই ঘটনাটি আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আনোয়ারকে গ্রেফতার না করলে মদনপুরায় তার পরিবারকে ঘেরাও করে জুতা ও থুতু নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হবে। এবং এলাকায় তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। স্থানীয় আবদুর রহিম নামের একজন বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো ধর্ষকদের ঠাঁই মানুষ মেনে নিতে পারবে না। প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী একটাই, যত দ্রুত ধর্ষক আনোয়ারকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বিএনপি পদধারী এই নেতার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে বাউফলসহ সারাদেশে আর কোনো কোমলমতি শিশু বা নারী নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে, নির্মম ধর্ষণের শিকরা না হয়। জানা যায় ইতিমধ্যে দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলেও বাউফলবাসির প্রশ্ন, এত বড় অপরাধে শুধু অব্যাহতি কি তার যথাযথ শাস্তি? বরং দলের দায়িত্ব হচ্ছে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা, যাতে উপযুক্ত বিচার সম্পন্ন করা যায় এবং ভবিষ্যতে আর এই কাজ কেউ করার সাহস না করে। মদনপুরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি শিশু ধর্ষক আনোয়ারকে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেন তার ভাই কুয়েত প্রবাসী মো.ইকবাল হোসেন। মূলত এই ইকবালের অর্থনৈতিক ও পেশিশক্তির ক্ষমতা প্রয়োগ করে এরআগেও তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় পার পেয়ে যান ধর্ষক আনোয়ার। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। পরিবারের বিভিন্ন বাজারের জন্য আনোয়ারের দোকানে যেতো শিশুটি। হঠাৎ একদিন আনোয়ার শিশুটিকে জোর করে জাপটে ধরেন। এ সময় ওই শিশুটি চিৎকার করলে তাকে চরথাপ্পড় দেয় আনোয়ার। অভিযুক্ত প্রায়ই এ শিশুকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কাউকে বললে ক্ষতি হবে বলেও ভয় দেখায় অভিযুক্ত আনোয়ার। দীর্ঘদিন এভাবে চলার পরে মানসিকভাবে অসুস্থ পড়ে ভুক্তভোগী শিশু। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসক কোনো রোগ চিহ্নিত করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে চিকিৎসক পরামর্শ দেন, শিশুটির সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে তার সমস্যা জানতে। পরে সে তার বড় বোনের কাছে নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলে। |