আজ বুধবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / মার্কিন নির্বাচন রাজনৈতিক সংঘাতের আরেকটি অধ্যায়
মার্কিন নির্বাচন রাজনৈতিক সংঘাতের আরেকটি অধ্যায়
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Thursday, 31 October, 2024 at 9:58 PM
মার্কিন নির্বাচন রাজনৈতিক সংঘাতের আরেকটি অধ্যায়মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগামী ৫ নভেম্বরে ভোট দেবেন সে দেশের নাগরিকরা। আর সেই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী কিন্তু বিজয়ী নাও হতে পারেন। মার্কিন গণতন্ত্রের আলাদা কিছু দিক রয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গণতন্ত্রকে অনুকরণীয় হিসাবে দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, স্বাধীনতা অর্জনের পরে কিংবা স্বৈরশাসককে সরিয়ে দেয়ার পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনে কোনও দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ হতে পারে।আজকের ডেমোক্র্যাটরা যেখানে বহুজাতিগত গণতন্ত্রের ধারণাকে গ্রহণ করছেন, সেখানে রিপাবলিকানরা পুরোনো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশকে আবার মহান করতে চাচ্ছেন। ফলে বহু জাতির গণতন্ত্রের ধারণা এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের ধারণা এখন সংঘর্ষিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগেও এই সংঘাত ছিল।১৯৬৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের বেশির ভাগই রিপাবলিকান প্রার্থীদের ভোট দিয়ে আসছেন। এর কারণ হলো, সেই বছর ডেমোক্র্যাটিক নেতা লিন্ডন বি জনসন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর তিনি নাগরিক অধিকার ও ভোটাধিকার আইন পাস করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনে। এই আইনের কারণে অশ্বেতাঙ্গদের অনেক নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা হয়, যা শ্বেতাঙ্গ-শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের ক্ষুব্ধ করে। ওই আইন পাসের পর অনেক শ্বেতাঙ্গ এবং রক্ষণশীল ভোটার রিপাবলিকান পার্টির দিকে ঝুঁকে পড়েন। পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘গণতন্ত্রের সংকট’ বাড়ছে। এর পেছনে মূলত আর্থিক বৈষম্য, মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভাঙন এবং গণ-অভিবাসনের রাজনীতি কারণ হিসেবে কাজ করছে। তবে এই সংকটের আরেকটি বড় কারণ হলো জনমিতিক গঠন। 

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে যে জনমিতিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, তা পশ্চিমা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। যেহেতু জনমিতিক প্রবণতা সহজে বদলানো যায় না এবং যেহেতু এই প্রবণতা আমেরিকার ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সেহেতু এই বিশৃঙ্খলা দীর্ঘ সময় ধরে বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই লড়াইয়ে ফয়সালা হবে, আমেরিকায় গায়ের চামড়ার রং বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যভিত্তিক ঐতিহাসিক জাত-পাতের শ্রেণিবিন্যাসের বিলুপ্তি হবে নাকি যুক্তরাষ্ট্র শ্বেতাঙ্গ-শ্রেষ্ঠত্ববাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকেই এগিয়ে যাবে। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে থাকা ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন লাভ করেন। এতে মূলত শ্বেতাঙ্গ-নির্ভর কৌশল আরও জোরালো হয়। ট্রাম্প যদি আরেক দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে আমেরিকার ঐতিহাসিক জাতিগত ও রাজনৈতিক শ্রেণিভেদ পুরোদমে মাথাচাড়া দেবে, যা সংঘাত বাড়িয়ে দেবে। কারণ, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কয়েক মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করার কথা রয়েছে। তবে ট্রাম্প পরাজিত হলে এই সংঘাত একেবারে থেমে যাবে, এমনও নয়। এটি চলতেই থাকবে। কারণ, ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আদর্শ এখন রিপাবলিকান পার্টির মূল চিন্তাধারায় মিশে গেছে। ২০১২ সালে ওবামা পুনরায় নির্বাচিত হলে, রিপাবলিকান পার্টি বুঝতে পারে, তাদের সংখ্যালঘু ভোটারদের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। কিন্তু অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে তারা বিপরীত পথে হাঁটতে থাকে। তারা শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের আকর্ষণ করতে এমন সব পদক্ষেপ নেয়, যা সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোটাধিকারকে সংকুচিত করে এবং কংগ্রেসনাল এলাকাগুলোকে বর্ণভিত্তিকভাবে পুনর্বিন্যাস করে। 

২০০৮ সালে যখন বারাক ওবামা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন, তখন শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের একটি বড় অংশ মার্কিন জনসংখ্যার বৈচিত্র্য এবং তার প্রভাব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। এটি অনেকের কাছে সামাজিক উন্নতির প্রতীক হলেও কিছু মানুষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনের আশঙ্কা তৈরি করেছিল। ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই ছিল শ্বেতাঙ্গ। বর্তমানে এই সংখ্যা ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০৪৪ সালের মধ্যে তারা মার্কিন জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করবে। রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক উভয় দিক থেকে এই পরিবর্তন বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অন্যান্য গোষ্ঠীর তুলনায় এখনো আমেরিকান শ্বেতাঙ্গরা সংখ্যায় অনেক বেশি; তথাপি দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা সেখানে রাজনৈতিকভাবে সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের রাজনৈতিক প্রভাব কমে এসেছে। এ কারণে তাঁদের মধ্যে অবস্থান হারানোর অনুভূতি ও কোণঠাসা হওয়ার ধারণা তৈরি হচ্ছে। গবেষণা বলছে, ৬০ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে ‘নিজ দেশে পরবাসী’র অনুভূতি কাজ করছে।একটি রাজনৈতিক দল যদি তার ভবিষ্যতের জন্য এমন জনগণের ওপর নির্ভর করে, যে জনগণের রাজনৈতিক প্রভাব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে সেই নির্ভরতাকে আত্মহত্যার শামিল বলে মনে হতে পারে। অবশ্য অর্থনৈতিক উন্নতির বার্তা প্রচারের ফল হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিপাবলিকানদের প্রতি অশ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন বেড়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন লেভিটস্কি ও ড্যানিয়েল জিবলাট উল্লেখ করেছেন, মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সংখ্যালঘুদের শক্তি বাড়াতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছিল। যেমন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোট নয়, বরং ইলেকটোরাল কলেজকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

এভাবে ২০১৬ সালে প্রতিদ্বন্দী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে পপুলার ভোট কম পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সুবাদে ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন। একইভাবে প্রতিটি অঙ্গরাজ্য তার জনসংখ্যা নির্বিশেষে সিনেটে দুটি আসন পায়।অর্থাৎ যে অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা অনেক বেশি, সেখানেও দুটি আসন এবং যে অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা বা ভোটার সংখ্যায় অনেক কম, সেখানেও দুটি আসন। ২০৪০ সালের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ আমেরিকান মাত্র ১৫টি অঙ্গরাজ্যে বাস করবে। সিনেটে এই ৭০ শতাংশ মানুষের জন্য থাকবে ৩০ জন প্রতিনিধি। অন্যদিকে বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে বাস করা ৩০ শতাংশ মানুষের জন্য সিনেটে প্রতিনিধি থাকবে ৭০ জন। জনমিতিক প্রবণতা, ট্রাম্পপন্থী রিপাবলিকান দল এবং সংবিধানের অজনপ্রিয় বিধিবিধান-এই সব মিলেঝিলে আগামী বছরগুলোতে আমেরিকার গণতন্ত্রকে অত্যন্ত বিশৃঙ্খল করে তুলবে। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিগুলো স্বৈরতন্ত্র থেকে সুরক্ষা দিতে পারে বটে; তবে মনে হচ্ছে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাত বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমেরিকানরা কি কেন্দ্র পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবে এবং চরমপন্থী ডান ও বামপন্থীদের কোণঠাসা করতে পারবে?সিগরই তা মনে হচ্ছে না। এই বছরের নির্বাচন কোনো সহজ জয়-পরাজয়ের সমাধান দেবে না। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যদি জয়ী হন, তাতেও আমেরিকার গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পাবে না, আবার ট্রাম্প জয়ী হলে সেটিও গণতন্ত্রকে রাতারাতি ধ্বংস করবে না। বরং এটি হবে এক দীর্ঘমেয়াদি জাতিগত ও রাজনৈতিক সংঘাতের আরেকটি অধ্যায়, যা প্রায় ছয় দশক আগে শুরু হয়েছিল এবং এখনো যার শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমেরিকানদের এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি খুব বেশি আস্থা নেই। তারা এমন একটি কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে আছেন, যা মোটেও ঠিক মতো কাজ করছে না।এবং তারা এমন কিছু জটিল সমস্যা দেখছেন,যা সরকার আসলেই সমাধান করেনি। যেমন আগ্নেয়াস্ত্রকেন্দ্রিক সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তন।

নেতা নির্বাচনে নিজেদের অক্ষমতার কারণে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান ২০২৩ সালের অক্টোবরে কয়েক সপ্তাহের জন্য কংগ্রেসকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। কিন্তু এমন বাধা ছাড়াই কংগ্রেসের হাউস বা সিনেট থেকে আইন প্রণয়নের মতো জরুরি বিষয়গুলোও চলছে ধীরগতিতে। ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে এক সাগর দূরত্ব-এর অর্থ হলো, নির্বাচিত সরকারের নেওয়া অনেক সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট থাকে দেশের অর্ধেক। ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল নিয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্বে অনেক রিপাবলিকান বেশ অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারা দাবি করেছেন, নির্বাচনে তাদের উপেক্ষা করার চেষ্টা হয়েছে। এমনকি, নির্বাচনটি তাদের কাছ থেকে চুরি করেছে বলেও দাবি ছিল তাদের। ফলে ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ করতেও পিছপা হয়নি তারা। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর গণতন্ত্রণের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনার নজির নেই বললেই চলে। ভোটে জয়ী হওয়াই মুখ্য নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা কমে গেলেও তা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে এমনটা হয়তো কেউই আশা করেন না। গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ার সাম্প্রতিক উদাহরণগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে অনেক দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্রবিরোধী চর্চা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে সর্বাধিক ভোট পাওয়া যথেষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট পেতে হয়। ফলে জনগণের ভোট কেউ বেশি পেলেও, ইলেক্টোরাল ভোটের কারণে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ...
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বৃত্তি দেবে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বৃত্তি দেবে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ বা পূর্ণ অর্থায়নসহ বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল ...
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ‘রেড অ্যালার্ট’ চেয়ে ইন্টারপোলে চিঠি
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ‘রেড অ্যালার্ট’ চেয়ে ইন্টারপোলে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের জন্য রেড অ্যালার্ট নোটিশ চেয়ে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা- ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ...
দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ...
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক চালক। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকের এই ...
সাভারে ৪ টুকরো করা তরুণীর মরদেহ, পরিচয় জানাল পুলিশ
সাভারে ৪ টুকরো করা তরুণীর মরদেহ, পরিচয় জানাল পুলিশ
সাভারে চার টুকরো করা সেই নারী মরদেহের পরিচয় জানা গেছে। নিহতের নাম শান্তনা (৩৫) বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা ...
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
‘বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি তা ...
সাদপন্থীদের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি
সাদপন্থীদের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি
বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনা হলে এবং ইজতেমা কেন্দ্রিক তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ২৪ ঘণ্টার ...
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
প্রিন্টার জগতে খুবই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড  ব্রাদার এবার এবার দেশের বাজারে নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে জেনুইন টোনার। নিয়মিত যাদের প্রিন্ট করা ...
১০
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সাথে ইউনিসেফের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সাথে ইউনিসেফের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এর সাথে বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি ...
 
ফেসবুকে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম
ফেসবুকে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম
ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই প্রতারকদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা ফেসবুকে। কারণ বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাদের ...
চার সহকর্মীর চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ করায় ১১ সংবাদকর্মীকে শোকজ
চার সহকর্মীর চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ করায় ১১ সংবাদকর্মীকে শোকজ
অন্যায়ভাবে চার সহকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানানোয় বার্তা ও প্রযোজনা বিভাগের ১১ সংবাদকর্মীকে কারণ দর্শানো চিঠি দিয়েছে ডিবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষ। ...
দক্ষিণ খুলনায় ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ
দক্ষিণ খুলনায় ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যো‌গে কর্মী সমাবেশ ২০২৪ অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসা প্রাঙ্গ‌নে শুক্রবার (৮ ন‌ভেম্বর) সকাল ...
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির বাসে আগুন
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির বাসে আগুন
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ...
আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের ইউনিফর্ম উন্মোচন
আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের ইউনিফর্ম উন্মোচন
যেকোনো দুর্যোগে পাশে থাকার ও সমাজ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গঠিত জন কল্যাণমূলক দাতব্য সংগঠন আল-আক্বসা ফাউন্ডেশন’র ইউনিফর্ম উন্মোচন করা হয়েছে।সংগঠনের ...
ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসবে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসবে?
মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন আলোচনার বিষয় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে দ্বিপাক্ষিক ...
কঠিন রোগে আক্রান্ত অর্জুন, নেপথ্যে মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ?
কঠিন রোগে আক্রান্ত অর্জুন, নেপথ্যে মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ?
প্রেম ভেঙেছে বলিউডের অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরার। সেই বিচ্ছেদ যে বেশ প্রভাব ফেলেছে অর্জুন ও মালাইকার জীবনে, তা আর ...
অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: বাড়ছে নির্বাচনের চাপ
অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: বাড়ছে নির্বাচনের চাপ
দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পূর্ণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং ...
পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু
পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু
গত দুই সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছিল। যা এখন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি ...
১০
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল: তারল্য সংকটে তুলতে পারেননি পুরো অর্থ
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল: তারল্য সংকটে তুলতে পারেননি পুরো অর্থ
সরকার পরিবর্তনের আভাস পেয়েই গত জানুয়ারি থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খালি করে বিদেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com