/ নারী / বিশ্ব নগর দিবস ২০২৪: নগর উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ জরুরি
বিশ্ব নগর দিবস ২০২৪: নগর উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ জরুরি
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
বিশ্বে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান বর্তমানে ১৬৮ নম্বর। যানজট, দূষণ, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে শহরটি ক্রমে বসবাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৬০% নগর অঞ্চলে বসবাস করবেন এবং এর মাঝে ৬০% এর বয়স হবে ১৮ এর নিচে। নগর অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। এ অবস্থায় বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে নগরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আজ ৩১ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ১১.০০ টায় বিশ্ব নগর দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে আয়োজিত “নগরীর পরিবেশ উন্নয়নে তারুণ্য ভাবনা” শীর্ষক একটি অবস্থান কর্মসূচি থেকে বক্তারা এ কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মিঠুন এর সঞ্চালনায় আয়োজনে বক্তব্য রাখেন তেঁতুলতলা মাঠ-রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না, গ্রীণ ভয়েস এর সহ সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান মনির, শের-ই-বাংলা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন অপু, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাহাজ্জত হোসেন, ঢাকার লালবাগের হোসেন উদ্দিন খান লেনের মোবাইল প্লেগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম আয়োজন কমিটির সমন্বয়ক মোঃ সেলিম, ছায়াতল বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক আসমা আক্তারসহ আরো অনেকে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। যানজট, দূষণ, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে শহরটি ক্রমে বসবাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। সকল মানুষের জন্য কোন ইতিবাচক পরিস্থিতি এ শহরে নেই। এ শহরের পরিষেবাগুলো তাদের জন্য অভিগম্য নয়। অবকাঠামো ও প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমে মনোযোগ দেয়ায় ঢাকা কংক্রিট-সিমেন্টের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পনাসংশ্লিষ্ট নগর সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ঢাকার বাসযোগ্যতা আরও তলানির দিকে নিয়ে গেছে। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনেক অর্থ খরচ হয়েছে, কিন্তু জনবান্ধব কোন কার্যক্রম গৃহীত হয়নি। পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন। বাসযোগ্য, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর গড়ে তুলতে নগর উন্নয়নের প্রতিটি কাজ এমন হতে হবে যেন লিঙ্গ-সামর্থ্য নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ এই উন্নয়ন সমভাবে উপভোগ করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের সকলের প্রত্যাশা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে শিশু, যুবক, তরুণ, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সকলের মতামতের ভিত্তিতে যেন নগরে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আয়োজন থেকে অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রতিফলন নিশ্চিত করা; বিচ্ছিন্নভাবে নগর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকা; জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের পথে যে বাধাগুলো আছে তা দূর করা এবং নগরের বসবাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নগরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাই স্কুল, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। |