আজ বুধবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার পরিণাম ভালো হয় না
রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার পরিণাম ভালো হয় না
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Saturday, 9 November, 2024 at 8:11 PM
রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার পরিণাম ভালো হয় নাশেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হলো।২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের বিপুল সায় নিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন। এরপর নিজের শাসনামলে আর কোনো গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন তিনি হতে দেননি। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার ও বাক্‌স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার, দেশকে স্বজনতোষী পুঁজিবাদের কবলে ফেলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা, ঋণের নামে ব্যাংক লুটের সুযোগ দেওয়া, আয়বৈষম্য চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিস্তৃত অভিযোগ রয়েছে। এসবের বিপরীতে তিনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে। কিন্তু শেষ সময়ে অর্থনীতিকেও সরকার সংকটে ফেলেছিল। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে গেছে, খেলাপি ঋণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য সীমিত আয়ের মানুষের নাগাল ছাড়া হয়ে গেছে। দেশের মানুষের এসব সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের মন্ত্রীদের মুখে উপহাস শোনা যেত। কেউ কেউ বলতেন, দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েই ছিল। সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। উপলক্ষ তৈরি করে দেয় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করতেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ হারাবে। সেটি ছিল একটি নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা বদলের প্রেক্ষাপটের আশঙ্কা। কিন্তু সেই নিয়মতান্ত্রিক পথে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেনি। একটি অসম্ভব রক্তক্ষয়ী ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিপ্লবে শেখ হাসিনা পলায়ন করেন।

শেখ হাসিনার সরকার সবসময়ই রাজনীতিকে রাজনৈতিক উপায়ে মোকাবেলা না করে নির্মম শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করেছে। বাংলাদেশের গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে এত রক্তপাত আর ঘটেনি। বিশেষত ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সময়কালে যে নিষ্ঠুরতা, নির্মমতা ও নৃশংসতার পরিচয় তারা দেয় তাতে বিজয় পরবর্তীকালে রক্তপাত অস্বাভাবিক ছিল না। শেখ হাসিনা নির্মমতার সাথে সাথে প্রতারণা কৌশল অবলম্বন করে মায়াকান্না দেখান। অঘটন-ঘটন-পটিয়সী এই নারীর আদেশে শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮৭৫ মানুষের প্রাণ গেছে। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন ২০ সহস্রাধিক মানুষ। অনেকে চক্ষু হারিয়েছেন। অনেকে নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়ে চিরকালের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। বাহিনীকে নির্মম গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছেন। যে র‌্যাব গঠিত হয়েছিল সন্ত্রাস থেকে জনগণের জীবন রক্ষার জন্য, সেই র‌্যাবকে তিনি ব্যবহার করেছেন জনগণের জীবন নেয়ার জন্য। সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবিকে রাজপথে নিয়ে এসেছেন গদি রক্ষার জন্য।অবশেষে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকতে চেয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রধানের গণমুখী ও কুশলী সিদ্ধান্তের কারণে দেশ আরো রক্তপাত থেকে রেহাই পেয়েছে। বিক্ষুব্ধ লাখ লাখ মানুষ গণভবনে অথবা অন্যত্র যেভাবে তাদের ক্রোধের প্রকাশ ঘটিয়েছে সেখানে পরবর্তীকালে রক্তপাত ঘটেছে খুব কম ক্ষেত্রেই। যেখানে তাদের আশঙ্কা ছিল লাখ লাখ মানুষের সেখানে মৃতের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায়। জনগণ বিপ্লবের নেতা শিক্ষার্থী-সমন্বয়কারীদের আবেদন রক্ষা করেছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা সহনশীলতার আবেদন জানিয়েছিলেন। বিপ্লবী সরকার তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আকুল আবেদনে মানুষ সাড়া দিয়েছে। আইন তারা নিজের হাতে তুলে নেয়নি। ১৭ বছরের আঘাতের প্রতিঘাত করেনি মানুষ। হিংসার বদলে প্রতিহিংসা প্রদর্শন করেনি জনগণ। 
জনগণের বিপ্লবের মোকাবেলায় তিনি পলায়ন করেছেন। 

এমনকি তাদের শত শত নেতাকর্মীও নির্ভরতার দেশে পলায়ন করেছেন। অনেকে অবশ্য সেই পলায়ন পথে হেস্তন্যস্ত হয়েছেন। অন্যেরা মুজিব কোট খুলে লুঙ্গি পরেছেন। কেউবা আবার দাড়ি কামিয়ে জনতার আক্রোশ থেকে রক্ষা পেতে চেয়েছেন। বড় বড় ডাকসাইটে নেতা গর্তে ঢুকে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের শতভাগ নেতাকর্মী গা-ঢাকা দিয়েছেন। জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাজার-হাট ও লোকালয়ে আসছেন না। তারা আঁচ করতে পারছেন না, আওয়ামী সন্ত্রাসের যুগ শেষ হয়েছে। নইলে তারা এমন ঔদ্ধত্য দেখালেন কিসের জোরে? তারা হয়তো বিশ্বাস করে আসছেন, শেখ হাসিনা শিগগিরই ফিরে আসবেন। অবশ্য হাসিনাও পাগলের প্রলাপ বকছেন। আওয়ামী লীগ অন্যায় অপকর্ম করে ২১ বছর পরে হাতে তসবিহ আর মাথায় পট্টি পরে ক্ষমতায় এসেছিল। এবার তাদের অন্যায় ও রক্তপাতের পাল্লা এত ভারী যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন, আগামী ৪২ বছরেও তাদের ক্ষমতাসীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।গোপালগঞ্জে পরপর দু’টি ঘটনা কী প্রমাণ করে? সেখানের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তেই তাদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে কী প্রতীয়মাণ হয় না! তাদের এই আস্ফালন অস্বাভাবিক কিন্তু অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। তত্ত্বগত ভাবে এর উৎসমূল হিসেবে তাদের অনুসৃত নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই তত্ত্ব কথার পর বাস্তবতা হচ্ছে এই যে প্রথমত বিগত ১৫ বছরে তিনি যে মিথ্যা মিথ তৈরি করেছেন যে তার কুবুদ্ধির সাথে পেরে ওঠার লোক বাংলাদেশে নেই। সেটিই গোপালগঞ্জের লোক হয়তো বিশ্বাস করে।এ ধরনের বেসামাল সংলাপ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের মতো অন্ধ আওয়ামী লীগারদের উসকে দেয়ার প্রয়াস মাত্র। ভারত থেকে এ ধরনের সংলাপ তথা অপচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষ রীতিমতো ক্ষিপ্ত। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গতভাবেই বলেছেন, ‘জনরোষে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার চুপ থাকা উচিত।’

শেখ হাসিনার সেখানে অবস্থান ভারতের প্রতি দেশের মানুষের ক্ষোভকে ক্রমাগত বাড়িয়ে দেবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। কূটনীতিকরা মনে করেন, ভারতও তার অবস্থানে এবং কার্যকলাপে বিব্রত। কিন্তু অন্যত্র কোনো ব্যবস্থা না হলে ভারতের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে তাকে দিল্লি থেকে বের করে দেয়া ভারতের পক্ষে সঙ্গত নয় বলে আওয়ামী বন্ধুরা মনে করে। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের পর এমনিতেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। সেখানে শেখ হাসিনার ভারতে উপস্থিতি সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন মন্তব্য ভারতীয় বিশ্লেষকদের। তাছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টির অপকৌশল চলছে। কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে মোদি প্রফেসর ইউনূসের কাছে প্রেরিত অভিনন্দন বার্তায় সংখ্যালঘুর বিষয় উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে চক্রান্ত বহাল আছে বলে প্রতীয়মাণ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গত সপ্তাহে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরাইল-হামাস সঙ্ঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করে সশস্ত্রবাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। এটি তার কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা ছিল না, বরং সশস্ত্রবাহিনীর কমান্ডারদের যৌথ সম্মেলনের নির্দেশিকা। সুতরাং গোপালগঞ্জের লোকদের ঔদ্ধত্যের উৎসমূল কোথায় তা খুঁজে পাওয়া কঠিন কিছু নয়। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনাকে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাচ্ছে।

ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ জন্যই বিএনপি এবং অন্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদের গুরুতর জখম করা হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যেন ফায়দা হাসিল করতে না পারে সে জন্য ছাত্র-জনতাসহ সব গণতন্ত্রমনা মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে। তবেই দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের মূলোৎপাটনসহ দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।বাংলাদেশে যা কখনো হয়নি, তা-ই হলো; বিপুল সংখ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হলো, কলেজশিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হলো, স্কুলশিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হলো। মায়েরা কাঁদলেন, বাবারা কাঁদলেন, সহপাঠীরা কাঁদলেন। ক্ষোভে ফুঁসে উঠল দেশ। একে একে শিক্ষক, অভিভাবক, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সমর্থন জানাতে শুরু করলেন শিক্ষার্থী ও তরুণদের আন্দোলনে। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। সেই দাবি পূরণের বদলে বেছে নেওয়া হয় নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তারের পুরোনো পথ, যা শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে প্রয়োগ করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাদ যায়নি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নিয়ে আটকে রাখা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে।

সেখান থেকে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ভিডিও বার্তা দেওয়ানো হয়। মানুষের প্রতিবাদ এবং সমন্বয়কদের অনশনের মুখে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ২ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ৯ দফা দাবিকে এক দফায় রূপান্তর করা হয়। বলা হয়, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। ওদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশ আর গুলি করতে রাজি ছিল না। শেখ হাসিনা শেষ চেষ্টা হিসেবে নামিয়ে দেন তাঁর রাজনৈতিক শক্তিকে। ৪ আগস্ট ঢাকার রাস্তায় এবং দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের কারও কারও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র। ওই দিন সংঘর্ষে নিহত হন অন্তত ১১৪ জন মানুষ। যদিও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগ বেশি সময় রাজপথে টিকতে পারেনি। ওই দিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকামুখী গণযাত্রার ডাক দেওয়া হয়। গতকাল এই কর্মসূচির দিন সকালে কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভ কারীদের সংঘর্ষ হয়। দুপুর নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে। বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, যিনি কদিন আগেই বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না। কিন্ত শেষ পর্যন্ত পালাতেই হলো।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ...
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বৃত্তি দেবে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বৃত্তি দেবে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ বা পূর্ণ অর্থায়নসহ বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম আহমদ আল ...
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ‘রেড অ্যালার্ট’ চেয়ে ইন্টারপোলে চিঠি
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ‘রেড অ্যালার্ট’ চেয়ে ইন্টারপোলে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের জন্য রেড অ্যালার্ট নোটিশ চেয়ে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা- ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ...
দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ...
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনে পথচারীদের ওপর গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই শহরে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক চালক। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকের এই ...
সাভারে ৪ টুকরো করা তরুণীর মরদেহ, পরিচয় জানাল পুলিশ
সাভারে ৪ টুকরো করা তরুণীর মরদেহ, পরিচয় জানাল পুলিশ
সাভারে চার টুকরো করা সেই নারী মরদেহের পরিচয় জানা গেছে। নিহতের নাম শান্তনা (৩৫) বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা ...
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বক্তব্যে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
‘বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি তা ...
সাদপন্থীদের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি
সাদপন্থীদের সুযোগ দিলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি
বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনা হলে এবং ইজতেমা কেন্দ্রিক তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ২৪ ঘণ্টার ...
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
ব্রাদার নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার টোনার
প্রিন্টার জগতে খুবই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড  ব্রাদার এবার এবার দেশের বাজারে নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যে জেনুইন টোনার। নিয়মিত যাদের প্রিন্ট করা ...
১০
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সাথে ইউনিসেফের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সাথে ইউনিসেফের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এর সাথে বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি ...
 
ফেসবুকে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম
ফেসবুকে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম
ডিজিটাল প্রতারকদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই প্রতারকদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা ফেসবুকে। কারণ বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাদের ...
চার সহকর্মীর চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ করায় ১১ সংবাদকর্মীকে শোকজ
চার সহকর্মীর চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ করায় ১১ সংবাদকর্মীকে শোকজ
অন্যায়ভাবে চার সহকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানানোয় বার্তা ও প্রযোজনা বিভাগের ১১ সংবাদকর্মীকে কারণ দর্শানো চিঠি দিয়েছে ডিবিসি নিউজ কর্তৃপক্ষ। ...
দক্ষিণ খুলনায় ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ
দক্ষিণ খুলনায় ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যো‌গে কর্মী সমাবেশ ২০২৪ অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসা প্রাঙ্গ‌নে শুক্রবার (৮ ন‌ভেম্বর) সকাল ...
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির বাসে আগুন
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির বাসে আগুন
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ...
আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের ইউনিফর্ম উন্মোচন
আল-আক্বসা ফাউন্ডেশনের ইউনিফর্ম উন্মোচন
যেকোনো দুর্যোগে পাশে থাকার ও সমাজ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গঠিত জন কল্যাণমূলক দাতব্য সংগঠন আল-আক্বসা ফাউন্ডেশন’র ইউনিফর্ম উন্মোচন করা হয়েছে।সংগঠনের ...
ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসবে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন আসবে?
মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন আলোচনার বিষয় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে দ্বিপাক্ষিক ...
কঠিন রোগে আক্রান্ত অর্জুন, নেপথ্যে মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ?
কঠিন রোগে আক্রান্ত অর্জুন, নেপথ্যে মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ?
প্রেম ভেঙেছে বলিউডের অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরার। সেই বিচ্ছেদ যে বেশ প্রভাব ফেলেছে অর্জুন ও মালাইকার জীবনে, তা আর ...
অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: বাড়ছে নির্বাচনের চাপ
অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: বাড়ছে নির্বাচনের চাপ
দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পূর্ণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং ...
পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু
পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, সর্বোচ্চ দামে আলু
গত দুই সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে উঠেছিল। যা এখন কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি ...
১০
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল: তারল্য সংকটে তুলতে পারেননি পুরো অর্থ
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল: তারল্য সংকটে তুলতে পারেননি পুরো অর্থ
সরকার পরিবর্তনের আভাস পেয়েই গত জানুয়ারি থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খালি করে বিদেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com