/ সারাদেশ / সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে ১০ ফুট লম্বা আজগর
সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে ১০ ফুট লম্বা আজগর
কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি:
|
খুলনার কয়রায় আবারও ১০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধার করা সাপটি সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মহেশ্বীপুর গ্রামের সামাদ গাজীর বাড়ির পেছনে অজগরটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।পরে তারা সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কয়রা টহল ফাঁড়ির স্টাফদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটি উদ্ধার করে।কয়রা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত অজগর সাপটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিপিজি সদস্য, ভিটিআরটি সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।এর আগে গত ৬ নভেম্বর ৬নং কয়রা শ্মশান মন্দির মাঠ থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে বন বিভাগের সদস্যরা। সেটিও সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত বাংলাদেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ সাপ। এটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, কচ্ছপের ডিম, সাপ, বন মুরগি, পাখি, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। সাপটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
|