আজ শনিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Tuesday, 19 November, 2024 at 5:57 PM
দেশ পুনর্গঠনে দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেইবিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রের মোড়কে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটার বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে এবং বিরোধী দলকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন করেছে। মোটকথা, নির্বাচনহীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ একদিকে শাসকগোষ্ঠী নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এবং অপরদিকে বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করেছে, যাকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এমিল ডুর্খেইম সামাজিক অসমতা বা বৈষম্য বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের মোড়কে এক স্বৈরশাসককে দেখেছে। স্বৈর সরকার শুধু ক্ষমতা কুক্ষিগত করেনি বরং জনগণের ও রাষ্ট্রের অর্থ লুণ্ঠন করেছে, শিক্ষামানের অবনতি ঘটিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, চর দখলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা দখল করেছে। সর্বোপরি গণতন্ত্রের নামে একনায়কতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। এখন সময় এসেছে, বিদায়ী সরকারের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির ধ্বংস স্তুপ সরিয়ে কিভাবে নতুন এক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, কিভাবে সকল প্রকার শোষণ ও বঞ্চনা অতিক্রম করে এক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। নোবেল বিজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট ২০২৪ গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কিভাবে কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে তাই দেখার বিষয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বাস্তবতা আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় অর্ধেকই তরুণ ও যুব। তাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

এই প্রত্যাশা আগেও ছিল। তবে তা ছিল শুধু স্লোগান। প্রায় ৮০০ শহীদ এবং ২০ হাজার মারাত্মক আহত তরুণ ও যুবদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশকে প্রকৃত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির দেশ, ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। বৈষম্যহীনতা যুগে যুগে সাধারণ মানুষের জীবনে এসেছে। এক সময় অস্ত্রের মুখে রাষ্ট্র জয় করে সাধারণ মানুষকে শোষণ করা হতো। ভূস্বামীরা জমি দখলকরে সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে জমিতে চাষ করাতো। ইউরোপে কারখানায় মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতো, আর তাদের কাজের বিনিময়ে খুব কম মজুরি দেয়া হতো। পুঁজিবাদীশ্রেণী বা মালিকপক্ষ সব সময় শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে শোষণ করতো। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা, বিরোধী মতকে দমন করা, জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করা, সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা এবং শক্তভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে সমাজ ও অর্থনীতির উপর কর্তৃত্ব করাকে কর্তৃত্ববাদ বা ফ্যাসিবাদ নামে অভিহিত করা হয়। অপরদিকে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাষ্ট্রকে বুঝায় যা জনগণের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা দান করে। কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল বৈশিষ্ট্য হল-জনকল্যাণ সাধন, নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও বৈষম্য দূর, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি। জাতিসংঘের ঘোষণা মতে, কোন রাষ্ট্রকে তখনই কল্যণমূলক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে যখন রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিককে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে জীবিকার্জনের অক্ষমতায় সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে। 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে,টমাস পেইনের মতো সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিকরা ন্যায়সঙ্গত সমাজের পক্ষে ছিলেন। তারা এমন একটি রাষ্ট্র বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে রাষ্ট্র নিজেই সক্রিয়ভাবে তার নাগরিকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক উইলিয়াম বেভেরিজ আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রসমূহ যেমন-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং এশিয়া মহাদেশের জাপান এবং সিঙ্গাপুরও তাদের স্বতন্ত্র সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বিভিন্ন মডেল গ্রহণ করেছে। ইহা একটি ভালো সরকার ব্যবস্থা যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। প্রতিটি জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র নাগরিকদের ন্যায়বিচার, সাম্য, সমমর্যাদা, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুনিশ্চিত করে। বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে যে আন্দোলন হয়, তা ছিল মূলত কোটা বিরোধী আন্দোলন অর্থাৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ৫৬ শতাংশ চাকরির কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল। যেসব ছাত্র-ছাত্রী স্নাতকসম্পন্ন করে চাকরি খুঁজছিল, তারা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও কোন চাকরি পাচ্ছিল না এবং বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তাদের কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। অতঃপর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এক দফার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের এই বৈষম্যপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে একটি সার্বজনীন কারিকুলাম ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যরা চাকরি পায়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমাদের দেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ জাতীয় আয়ের দেড় থেকে দুই শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করা হয়। যা সত্যিই দুহখজনক। শুধু তাই নয়,দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে জাতির নিরপেক্ষতার জায়গা কোথায় থাকবে, তা ভাববার বিষয়। তদুপরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবাসিক সমস্যা, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ কর্তৃক দখলদারিত্ব, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিমিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভাব, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অভাব, সঠিক ও যোগ্য ছাত্রনেতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সুতরাং জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ১০৩টি। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদ, প্রশাসনিক নেতৃত্ব বিশেষ করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বোপরি গত ১৫ বছরে এ দেশে শিক্ষামানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যা সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন গত ১৫ বছরে বিচারালয় পুরোটাই আওয়ামী দলীয় বিচার ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল এবং আইনজীবী সমিতি সবই দলীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্যতা, মেধা, নিরপেক্ষতা ও আইনগত দক্ষতা বিবেচনা করে বিচারপতি ও সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করা আবশ্যক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও গত ১৫ বছরে আওয়ামী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনই ছিল এর প্রধান কাজ। জেল-জুলুম, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতিতে বাধা, গুম, খুন এবং বিরোধীপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে আইন প্রয়োগকারীর কাজ করেছে।

পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড, আনসার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আয়না ঘর তৈরি করে সেখানে বিরোধীদলের নেতাদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিশেষ করে র‌্যাব গত ১৫ বছরে যে ভূমিকা রেখেছে, তাতে র‌্যাবকে বিলুপ্তি ঘোষণার দাবি উঠেছে। যেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হত্যা ও গুমের সাথে জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ কমিশন গঠন করে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিরোধী দলের উপর নিপীড়ন এবং ভোটের কারচুপিতে সহায়তা কারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষও যোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন দেয়া উচিত, যাতে প্রতিটি নাগরিক তার ভোটাধিকার ফিরে পায়।জাতীয় সংসদ গঠনমূলক ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতেই পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীনতার জন্য শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা দায়ী। এদেশে ১৯৯০ সাল থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্ত্রি পরিষদ সরকার ছিল, যা প্রকারান্তে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বপূর্ণ সরকার। কিন্তু এই সরকার ব্যবস্থা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হল বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার করা। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু করা। যেখানে উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ জাতীয় সংসদ নামে পরিচালিত হতে পারে। উচ্চকক্ষ প্রেসিডেন্টের কার্যাবলীকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নিম্নকক্ষ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা আইন প্রণয়ন করবে। তাহলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, জাতীয় সংসদ ও সিনেটের কর্তৃত্বে থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখবেন। পক্ষান্তরে, জুলাই-আগস্ট এর সকল গণহত্যার বিচার করা এবং শহীদদের রক্তে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা সার্থক করার জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই কেবল বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ তথা আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। যে রাষ্ট্র দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা দেবে। অসহায় নারী, প্রবীণ, বেকার ও প্রতিবন্ধীরা ভাতা প্রাপ্ত হবে এবং প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হবে। আজ এবং আগামীতে এভাবে জনগণের সন্তোষ জনক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দিতে পারে নতুন সরকার। যদিও কাজগুলো সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন। কেবলমাত্র দুর্নীতিমুক্ত সরকারি ব্যবস্থাপনা, দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব এবং জনগণের অংশগ্রহণে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
পাত্র খুঁজছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মেহউইশ হায়াত
পাত্র খুঁজছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মেহউইশ হায়াত
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহউইশ হায়াত তার অভিনয়ের মাধ্যমে যেমন দর্শকদের মনজয় করেছেন, তেমনি তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও রয়েছে ভক্তদের ব্যাপক কৌতূহল। ...
বড় যুদ্ধ বাধলে যেসব দেশকে পাশে পাবে রাশিয়া
বড় যুদ্ধ বাধলে যেসব দেশকে পাশে পাবে রাশিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পারমাণবিক তথা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মারাত্মক ঝুঁকির মুখে সারা বিশ্ব। স্নায়ুযুদ্ধের প্রায় ৪০ বছর পর ফের দুই ভাগে ...
সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ
সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ
ইসলামে অসংখ্য কবিরা গুনাহের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ভয়ংকর চারটি গুনাহ হলো- আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) ...
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ দিতে হবে ইসির নিরপেক্ষতা
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ দিতে হবে ইসির নিরপেক্ষতা
রোববার শপথ নেবে ৫ সদস্যের নবগঠিত নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে নির্বাচনী ট্রেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দীর্ঘদিন ...
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর ইউরোপ ও এর পশ্চিমামিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ...
নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত
নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত
চিত্রনায়িকা পরীমনির সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। শিবচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিল আহমেদ এ ...
নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে। এ জন্য নির্বাচনের দিকেই আমাদের ...
চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন
চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন
গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা চোর সন্দেহে মো. মিন্টু মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বর্বরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ...
‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’
‘মুডিসের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই’
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিস গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিং বি১ থেকে বি২-এ নামিয়ে এনেছে এবং স্বল্পমেয়াদে ইস্যুয়ার রেটিং ...
১০
গুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না : প্রেস সচিব
গুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না : প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গে জড়িতরা ...
 
আলুর কেজি ৪০০ টাকা
আলুর কেজি ৪০০ টাকা
বাজারে উঠেছে আগাম আলু। বগুড়ার নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাজারে উঠেছে নতুন আলু। দাম নাগালের বাইরে হলেও উৎসবের আমেজে কম বেশি ...
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর কে নিয়ে কটূক্তি করছেন এক শিক্ষক
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর কে নিয়ে কটূক্তি করছেন এক শিক্ষক
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের দীঘির পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলব্রীজ এলাকায় পূনর্ভবা নদীতে ডুবে মারা গেছে মুনতাসীর (১৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৪ ...
কয়রায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে ব্যহত
কয়রায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে ব্যহত
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বোগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লাস রুম না থাকায় পাঠদানে সমষা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ...
আলু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ: আত্রাইয়ে বীজ আলুর কৃত্তিম সংকট, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
আলু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ: আত্রাইয়ে বীজ আলুর কৃত্তিম সংকট, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে আগাম জাতের বীজ আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। মৌসুম ...
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত আরেক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আব্দুল্লাহ। তিনি রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী ...
স্ট্যাটাস দেওয়ার পাঁচ মিনিটে কল চলে আসত: শবনম ফারিয়া
স্ট্যাটাস দেওয়ার পাঁচ মিনিটে কল চলে আসত: শবনম ফারিয়া
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার নামে একটি পোস্টের স্ক্রিনশট আজ সকাল থেকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ভাইরাল! ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে ...
লক্ষ্মীপুর জেলা ড্রাম ট্রাক মালিক সমিতি কমিটি গঠন
লক্ষ্মীপুর জেলা ড্রাম ট্রাক মালিক সমিতি কমিটি গঠন
লক্ষ্মীপুর জেলা ড্রাম ট্রাক মালিক সমিতিতে মহিউদ্দিন জনি কে সভাপতি ও জুবায়ের হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য কমিটি ...
শোরুম উদ্বোধনে গিয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান, চলে গেলেন পরীমণি
শোরুম উদ্বোধনে গিয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান, চলে গেলেন পরীমণি
রাজধানীর একটি শপিংমলে শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যান ...
১০
সৌদিতে অর্ধনগ্ন পোশাকে ফ্যাশন শো, মঞ্চ কাঁপালেন জেনিফার লোপেজও
সৌদিতে অর্ধনগ্ন পোশাকে ফ্যাশন শো, মঞ্চ কাঁপালেন জেনিফার লোপেজও
সৌদি আরবের রাজধানীতে হয়ে গেল আধুনিক বিশ্বের মডেলদের অংশগ্রহণে এক ফ্যাশন শো। জমকালো অনুষ্ঠানের সেই মঞ্চে অর্ধনগ্ন পোশাকে হাঁটলেন পশ্চিমা ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com