আজ শনিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন ও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ
প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন ও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Tuesday, 10 December, 2024 at 11:37 AM
প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন ও সিরিয়ার ভবিষ্যৎসিরিয়ায় আসাদ পরিবারের শাসন শুরু হয়েছিলো সত্তরের দশকের শুরু থেকে। প্রেসিডেন্ট আসাদ দামেস্ক ছেড়ে গেছেন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।এটাকে সত্যিকার অর্থেই মনে হচ্ছে যে সিরিয়ায় ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের চূড়ান্ত মূহুর্ত। মূলত আসাদের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাশিয়া ও ইরান অন্য ঘটনায় দুর্বল ও মনোযোগ হারানোর কারণেই তার এ পরিণতি হলো। প্রসঙ্গত, রাশিয়া কয়েক বছর ধরে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আর ইরান সমর্থিত দুই গোষ্ঠী হামাস ও হেজবুল্লাহ ইসরায়েলের হামলায় বিপর্যস্ত। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া সিরিয়ান নব্বই ভাগ মানুষ এখন দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে এবং অনেকেই বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পে বাস করে। সত্যি বলতে কী মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ২০১৮ সাল থেকে দেশটি কার্যত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে, যেখানে বাশার আল-আসাদের কর্তৃত্ববাদী শাসন, কুর্দি বাহিনী এবং ইসলামি বিদ্রোহীরা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।একটা সময় পর্যন্ত সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ করা কঠিন বলে বিশ্বাস করেছেন বিশ্লেষকেরা।বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ সিরিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একইসাথে দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু, অবকাঠামোকে ধ্বংস এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে চরম দুর্দশায় ফেলেছে।এটি এমন একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে যেখান থেকে পুনরুদ্ধারের কোনো সুস্পষ্ট পথ নেই। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় যুদ্ধের আগের দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৬৮ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি লোক সীমিত সুবিধা নিয়ে ভিড়ে উপচে পড়া শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এর বাইরে আরও প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে, যার বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছে লেবানন, জর্ডান এবং তুরস্কে। কিন্ত চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এক যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর জোট হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। 

গত কয়েক দিনের মধ্যে, তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো ও পুরো ইদলিব প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং হামা শহরের কাছাকাছি পৌঁছায়। বিরোধীদের অপ্রত্যাশিত এই অভিযান একটি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিরতি অবস্থায় থাকা সংঘর্ষকে পুনরায় তীব্র করে তুলেছে। এটি এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে যে সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদ চিরবিজয়ী। তারা প্রায় ২৫০টি গ্রাম ও শহরকে দখল করে নিয়ে বৃহত্তম শহর হোমস মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দখল করে এবং গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্থির থাকা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে দামেস্কে ঢুকে পড়ে। বাবা-ছেলে মিলিয়ে ৫৪ বছরের সাম্রাজ্য ফেলে প্রেসিডেন্ট আসাদ নিরুদ্দেশ যাত্রা করেন। এর আগে ইরান ও রাশিয়া একযোগে কাতারের দোহায় উভয় পক্ষকে শান্তি আলোচনায় আহ্বান জানায়। কিন্তু বিদ্রোহী পক্ষ কোনো আহ্বানেরই তোয়াক্কা না করে বলতে গেলে প্রতিরোধ বিহীন রাজধানী দখল করে নেয়। এসব ঘটনা মোটেও অপ্রত্যাশিত ছিল না। আসাদ কখনো প্রকৃত অর্থে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জয়ী হননি। তার শাসন দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল হয়ে আসছিল। নিকট অতীতে তার অবস্থান আগের চেয়ে আরও বেশি অস্থির ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। বছরের পর বছর ধরে সিরিয়া নিয়ে সাধারণ ধারণা ছিল যে সংকটটি স্থিতিশীল, যুদ্ধের উত্তেজনা এখন অতীত এবং আসাদ অবধারিত বিজয়ী। তাই আন্তর্জাতিক মনোযোগ কমে গিয়েছিল, সিরিয়া নিয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং বিভিন্ন সরকার ধীরে ধীরে সিরিয়া সম্পর্কিত তাদের নীতির পরিবর্তে অন্য গ্লোবাল চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে সম্পদ সরিয়ে নিতে থাকে।সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকলে আরব দেশগুলো ২০২৩ সালে আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে এগিয়ে আসে, যা কার্যত তার অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে স্বাভাবিক করে দেয়। আঞ্চলিক দেশগুলোর সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসাটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের জন্য ছিল একটি আশাব্যঞ্জক চিহ্ন। 

উপরন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের আসাদ বিরোধী নীতির বিরোধিতায় ইতালির নেতৃত্বে ১০টি ইউরোপীয় দেশ একটি জোট গঠন করে, যা আসাদের শাসন পুনরায় স্বীকৃতি দিতে এবং সিরিয়ায় কূটনৈতিক পুনঃপ্রবেশ ও শরণার্থী প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়।এসব অগ্রগতি ছিল একধরনের ধারণা প্রসূত যে,যদিও সিরিয়ার পরিস্থিতি খারাপ, তবে সংকটটি স্থির, নিয়ন্ত্রিত এবং আসাদ তার শাসন আরও শক্তিশালী করছেন। কিন্তু আসলে ধারণাটি ছিল ভুল।সিরিয়ার অর্থনীতি গত কয়েক বছর ধরেই ধ্বংসপ্রাপ্ত। ২০২০ সালের শুরুর দিকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ১ ডলার ছিল প্রায় ১,১৫০ সিরিয়ান পাউন্ড। চলতি মাসেই বিরোধী আক্রমণ শুরু হলে ১ ডলারের বিপরীতে ১৪,৭৫০ সিরিয়ান পাউন্ডে এসে ঠেকে বিনিময় হার। ৪ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর তা ১৭,৫০০ সিরিয়ান পাউন্ডে পৌঁছে। যুদ্ধবিরতি হয়েছিল সিরিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রেখে নাগরিকদের দীর্ঘকালীন যুদ্ধের পর কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু এই চুক্তির পর সিরিয়ার মানবিক সংকট আরও বাড়ে। জাতিসংঘ জানায় যে, এখন সিরিয়ার অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। সরকারের প্রতি বছর ২.৪ বিলিয়ন ডলার লাভ হলেও এর কোনোই সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। আসলে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের ওপর সরকারের ভর্তুকি ক্রমেই কমে গেছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সরকার নিয়মিত বিভিন্ন বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনকে বেতন দিতেও হিমশিম খায়।এমনকি আসাদের সামনে আর কেউ ছিল না, যে তাকে রাষ্ট্রীয় দেউলিয়াত্ব থেকে উদ্ধার করবে। রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে আসাদ যাদের সমর্থন পাচ্ছিলেন, তাদের নিজেদের অর্থনীতিও এখন দুর্বল। রাশিয়ার অর্থনীতি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতবিক্ষত,ইরানও আর্থিক সংকটে। যদি আসাদ আরও আগেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের পুনঃস্থাপনে এগিয়ে আসতেন, কিংবা যদি তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেন, তাহলে আজ সিরিয়ার অবস্থান ভিন্ন হতে পারত। 

যেহেতু সিরিয়ার মানবিক সংকট চরমে এবং বিশ্বের আগ্রহ ও সাহায্য করার সক্ষমতাও কমে গেছে তাই, সিরিয়ার জনসাধারণ উপলব্ধি করে যে, এই সংকটের কোনো শেষ নেই, নিজেরাই উদ্যোগী হতে হবে। সম্প্রতি তারা আবারও সড়কে নামে এবং আসাদের পতনের দাবি তুলতে থাকে। সিরিয়ার অর্থনৈতিক পতনের অন্যতম কারণ ছিল সংঘটিত অপরাধ। শিল্প স্তরে মাদক উৎপাদন ও পাচার সিরিয়ার সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল অংশ জুড়ে ছিল বিস্তৃত। এমনকি আসাদের সিরিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নার্কো স্টেট হয়ে উঠছিল। বিরোধী সংগঠন এইচটিএস যে আক্রমণ করতে পারে, তা অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই তাদের জানানো হয়েছিল, তুরস্ক তাদের থামানোর চেষ্টাও করেছিল এবং রাশিয়াও পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু  আসাদের বাহিনী ক্রমশ ইরাকের দিকে সরতে থাকে, এমনকি কয়েক হাজার যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইরাকে আশ্রয়ের আবেদন জানায়। রাশিয়ার আট বছরের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আসাদের সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে লড়াই করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। রাশিয়ার গঠিত বিশেষ বাহিনী, যেমন ২৫তম স্পেশাল টাস্ক ডিভিশন, সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে স্থবিরতা কাটাতে পারেনি। ব্যাপকভাবে বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ সংগঠিত হতেই থাকে। বরং একটি অগোছালো মিলিশিয়া নেটওয়ার্ক সেনাবাহিনীর চেয়ে বেশি সামরিক ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম হয়। বিশেষত,এইচটিএস নতুন ধরনের ইউনিট তৈরি করে, যারা সাম্প্রতিক যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। ২০১৫ সালেও আরেকবার আসাদকে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল এবং তার শাসন ভেঙে পড়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল। তখন রাশিয়া এসে সামরিক হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।২০২৩ সালে, রাশান মার্সেনারি নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহ এবং তার পরবর্তী মৃত্যুতে রাশিয়া ওয়াগনার গ্রুপের বাহিনীকে সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। 

একই বছর, মস্কো সিরিয়ায় তাদের বিমানবাহিনীর কিছু ইউনিটও প্রত্যাহার করে নেয়। লাতাকিয়া ভিত্তিক হামেইমিম ঘাঁটিতে অবস্থান করা রুশ বিমানগুলোর সংখ্যা ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যে পরিমাণ ছিল, তার তুলনায় অনেক কমে যায়। হিজবুল্লাহ বাহিনীও সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি কমায়। কেননা, ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের কারণে এই গোষ্ঠীটি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার আলেপ্পো ও ইদলিব অঞ্চলে তাদের বাহিনীর বড় অংশই লেবাননে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। ইরানও সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়েছে, কারণ ইসরায়েল প্রায়ই তাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে এবার এমন কোনো বাহিনী আর ছিল না, যারা আসাদকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসবে। সবচেয়ে বড় চিন্তার যে বিষয় ছিল, সেটি হলো, বিদ্রোহীরা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ব্যাপকভাবে প্রতিশোধ নেবে কি না এবং সেখানে আরেকটি গণহত্যা হবে কি না। ইচটিএস ঘোষণা করেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ মোহাম্মদ গাজি আল-জালালির তত্ত্বাবধানে থাকবে, যতক্ষণ না সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। আপাতত স্বস্তির বিষয়, বিদ্রোহীরা এ ক্ষেত্রে খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। বিরোধী গোষ্ঠী বলছে, তারা প্রতিশোধ নেবে না।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সিরিয়ার নেতৃত্ব কে নেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জোলানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অন্ধকার অতীতের পৃষ্ঠা উল্টে নতুন ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছি। মুক্ত সিরিয়া সব ভ্রাতৃপ্রতিম ও মিত্রদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক গভীর করতে চায়। আমরা অঞ্চল এবং বিশ্বে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালনের লক্ষ্য রাখব।তবে সিরিয়ার এ পরিবর্তন হয়তো শুধু সিরিয়া নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও কৌশলগত মানচিত্রকেই নতুনভাবে চিত্রিত করতে পারে।কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে এখনো অনেক দেশেই নানা আদলে স্বৈরশাসন জারি আছে। সেখানেও এ বিদ্রোহের বাতাস সত্যিকারের আরব বসন্ত ডেকে আনতে পারে। 

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
 
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের পাল্টা অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের পাল্টা অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন
সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন ব্যবহারের পাল্টা হিসেবে ভারতও নিরাপত্তা কৌশল হিসেবে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন করেছে। ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইংয়ের ওয়েবসাইটে এই ...
ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত লাখ ছাড়ালো
ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত লাখ ছাড়ালো
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ এক দিনে আরো তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬১ ...
পঁচিশেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনারা
পঁচিশেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনারা
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে ...
‘জনশক্তি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: জাতীয় নাগরিক কমিটি
‘জনশক্তি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: জাতীয় নাগরিক কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি এখনো কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেনি এবং ‘জনশক্তি’ নামে যে রাজনৈতিক দলের কথা ...
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশের সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তারা
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া পুলিশের সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তারা
সংস্কার করতে হলে পুলিশকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যে ঘাটতি আছে। পুলিশকে বর্তমান প্রযুক্তিগুলো শেখাতে হবে। জনগণেরও পুলিশকে সাহায্য ...
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বছর শেষে স্মার্টফোনপ্রেমিদের দারুণ খবর দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। প্রায় ২ বছর পর আবারো দেশে আসছে ভিভোর ফ্লাগশিপ ...
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে ও অ্যাশ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে 'ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প' অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে ও অ্যাশ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে 'ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প' অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে, চট্টগ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (অ্যাশ ফাউন্ডেশন) ও সেন্ড অ্যা লিটল হোপ ইউকে এর যৌথ উদ্যোগে সর্বসাধারণের ...
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম ও আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি ...
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না : ড. ইউনূস
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না : ড. ইউনূস
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করে বলেন, ধর্মের ...
১০
অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম আলকাদেরীর (রহ.) ছিলেন সুন্নতে নববীর অনন্য দৃষ্টান্ত
অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম আলকাদেরীর (রহ.) ছিলেন সুন্নতে নববীর অনন্য দৃষ্টান্ত
বোয়ালখালীতে পীরে কামেল আল্লামা অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম আলকাদেরীর (রাহ:) ছয় মাসিক ফাতেহা শরীফ ২১ ডিসেম্বর শনিবার দিন ব্যাপী ...
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৩১ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৩১ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্ত এলাকায় ৩১ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ...
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : খায়ের ভূঁইয়া
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : খায়ের ভূঁইয়া
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া বলেছেন, অবিলম্বে রোডম্যাপ গঠন করে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম আন্দোলনকারীদের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম আন্দোলনকারীদের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নির্দোশ কিশোর মাসুদ ও রায়হানকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে ...
সিএমকেএস ফরিদপুরের আয়োজনে বিশেষ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
সিএমকেএস ফরিদপুরের আয়োজনে বিশেষ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
হিজড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ জনগোষ্ঠিদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে একটি ইতিবাচক ও  সেবাবান্ধন পরিবেশ নিশ্চিত করা, ...
মোদি ও প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য বাংলাদেশের জন্য অবমাননা : বাংলাদেশ ন্যাপ
মোদি ও প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য বাংলাদেশের জন্য অবমাননা : বাংলাদেশ ন্যাপ
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাল-সবুজের পতাকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ”টুইট ও ...
আমি পালিয়ে যেতে চাইনি: প্রথম বিবৃতিতে আসাদ
আমি পালিয়ে যেতে চাইনি: প্রথম বিবৃতিতে আসাদ
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় পাড়ি জমানো সাবেক ...
পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সারাদিন যা হলো
পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সারাদিন যা হলো
গণভোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানে যে পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল, তার কিছু ...
নীরব-সরবে ‘সমালোচিত’ দুদক
নীরব-সরবে ‘সমালোচিত’ দুদক
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পেরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে চলছে রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যমান সংকট থেকে ...
স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত মিলা
স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত মিলা
শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। তার কণ্ঠের একাধিক জনপ্রিয় গান রয়েছে। মাঝে স্টেজ শোতে খুব একটা দেখা না গেলেও, বর্তমানে তিনি ...
১০
আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত – সংকট ও সম্ভাবনা
আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত – সংকট ও সম্ভাবনা
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে একের পর এক জয়ের মুখ দেখছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com