/ সারাদেশ / আটক মূল আসামি রনজিতের আদালতের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি
প্রেমের সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা চাঞ্চল্যকর বিশ্বমনি হত্যা মামলার
আটক মূল আসামি রনজিতের আদালতের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া:
|
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে একটি ক্লু লেস ( গুপ্ত হত্যা) মামলার তদন্তে সফল হয়েছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। ঘটনার মূলহোতা রনজিত কে শ্রীমঙ্গলের উদনাছড়া চা বাগান এলাকা থেকে বুধবার ভোর রাতে আটো করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। জেলার শ্রীমঙ্গল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ( এসআই আব্দুর রহিম জিবাদ) মামলাটি তদন্ত করেন। মামলার মোটিভ অর্জন করে পৌঁছেন শেষ দার প্রান্তে। ঘটনা উদঘাটন করে গ্রেফতার করেন জড়িত ব্যক্তি কে। এমন তদন্তে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে পুলিশের এমনটাই বলছেন শ্রীমঙ্গল থানার উদনাছড়া চা বাগানের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। জানাযায়,জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ০৭নং রাজঘাট ইউপির উদনাছড়া চা বাগানের ১১নং সেকশনের বাগানের ভিতরে অন্তঃসত্বা নারী চা শ্রমিক বিশ্বমনি দাস (২৫) কে হত্যা করে কে বা কার চারা গাছের নিচে ফেলে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ শুরু হয় তদন্ত। এক পর্যায়ে সন্দেহের তীর পরে উদানছড়া চা বাগানের শংকর সাঁওতালের ছেলে রনজিত সাঁওতাল এর ঊপর। কারণ সে ছিল বিশ্বমনি দাসের প্রেমিক। তদন্তের এক পর্যায়ে গত ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর উদনাছড়া চা বাগানস্থ রনজিত সাঁওতাল(২১), পিতা-শংকর সাওতাল’কে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ভিকটিমের সাথে বিগত ০৬ (ছয়) মাস যাবত তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের সাথে ইতিপূর্বে একাধিকবার তার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ভিকটিম অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় আসামী রনজিত তাহাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ঔষধ কিনে দেয় । ৫ ডিসেম্বর তারিখে ভাঙ্গা ব্রিজের পাশে বিশ্ব মনি কে দেখে আসামী রনজিত সাঁওতাল সুকৌশলে সহকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেখা করে ভিকটিমের সাথে। এ সময় সে ঔষধ সেবন করে গর্ভ নষ্টের তাগিদ দিলে ও বিশ্বমনি তাগিদে বিয়ের। দুজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়, তখন বিশ্ব মনিকে সরে যাওয়ার জন্য বলে হুংকার দে প্রেমিক রনজিত। এক পর্যায়ে বিয়ে না করলে বিষ পান করবে বলে পাল্টা হুমকি দেয় বিশ্বমনি । কথায় রাজি না হওয়ায় বিশ্বমনি বিষের বোতল থেকে বিষ খেয়ে ফেলে । তখন অপর দিক থেকে আসা বাইসাইকেল নিয়ে একটি লোক ঘটনা দেখে ফেলবে বলে বিশ্বমানের পরনের ওড়না দিয়ে টেনে হেছরে তাকে নিয়ে যায় বাগানের ভেতর প্রেমিক রনজিত। ভিকটিমের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর রনজিত সাঁওতাল ভিকটিমের গলার সাথে গিট দেওয়া ওড়নার অপর অংশ চারা গাছের গোড়ার সাথে বেঁধে পালিয়ে বাড়ীতে চলে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রনজিত সাঁওতাল ঘটনার বিষয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানান এ মামলার চৌকস তদন্ত কর্মকর্তা উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম জিবাদ। তিনি এতদন্ত কাজে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন , পিপিএম সেবা। শ্রীমঙ্গলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান । শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ওসি তদন্ত মোবারক হোসেন এর দিকনির্দেশনার কথা বলেন এ মামলার তদন্ত কাজে। গতকাল মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ঘাতক প্রেমিক রনজিত সাঁওতাল(২১),জবানবন্দী দিয়েছে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। |