![]() ডেমরা-যাত্রাবাড়ীর দুঃখ ডিএনডি খাল
নতুন বার্তা, ডেমরা :
|
![]() সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল থেকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে হাজীনগর, বড়ভাঙ্গা, বোর্ড মিল, কোদাল ধোয়া, মাতুয়াইল নিউ টাউন, সাইনবোর্ড, সানারপাড়, নিমাই কাশারী, টেংরাসহ বিশাল আবাসিক এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ছয়টি ডাইং কারখানার পানি কোনো প্রকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ছাড়াই সরাসরি খালের মধ্যে ফেলছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় প্রায় ৩৫টির মতো বাজার রয়েছে। এসব বাজারের মুরগির দোকানের বর্জ্য, কসাইখানার বর্জ্যসহ ময়লা-আবর্জনা খালে ফেলছে দোকানিরা। এ ছাড়া বাজার এলাকায় মৃত মুরগি, বাজারের পচা মাছ এবং মুরগি বা গরুর ময়লা খালে ফেলেছেন অনেকে। যদিও এসব ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং করার জন্য রয়েছে সিটি করপোরেশনের ময়লা সংগ্রহের পয়েন্ট। আরও দেখা গেছে, বাসা-বাড়ির টয়লেটের ময়লা সারাসরি পাইপ দিয়ে এ খালে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কুতুবখালী প্রধান সড়ক থেকে ধোলাইরপাড় মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এ খালে নিষিদ্ধ পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় এ খালটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং সব ধরনের মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এসব এলাকায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাজীনগর এলাকার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এলাকায় প্রচুর মশা-মাছি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার যন্ত্রণায় কোনো দোকানপাটে বসার অবস্থা থাকে না। এমনকি দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হয়। মশা-মাছির উৎপাত কমাতে কেউ কোনো ভূমিকা রাখছে না। নামেমাত্র ওষুধ ছিটালেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এ ছাড়া সড়কের পাশে এই খোলা খাল বন্ধ করে সরকার বক্স কালভার্ট করে দিলে এলাকার মানুষ মশা-মাছির উৎপাত এবং ময়লা পানির দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬৬, ৬৭ ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জোন ৮-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. খলিল বলেন, বিষয়টি যদিও আমাদের ডিএসসিসির আওয়াতাধীন; কিন্তু এসব অভ্যন্তরীণ খাল ডেভেলপমেন্ট করার দায়িত্ব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। এসব অভ্যন্তরীণ খাল উন্নয়নের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে পাউবো যদি সিটি করপোরেশনকে বলে, তা হলে হয়তো ডিএসসিসি তা উন্নয়নের পদক্ষেপ নিতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রজেক্ট ডিএনডির (নারায়ণগঞ্জ) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাজীব (এসডিই) বলেন, এ প্রজেক্টটি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি এটি বাস্তবায়ন হবে। দুটি পর্যায়ে এটি হস্তান্তর হতে পারে- একটি হচ্ছে জমির মালিকানাসহ, অন্যটি হচ্ছে অনাপত্তি আকারে। তবে অনাপত্তি আকারে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত হবে। এখন পাউবো এসব খালের রক্ষণাবেক্ষণ করলেও পরে সিটি করপোরেশন এর রক্ষণাবেক্ষণ করবে। |