/ সারাদেশ / সিএমকেএস ফরিদপুরের আয়োজনে বিশেষ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
সিএমকেএস ফরিদপুরের আয়োজনে বিশেষ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
মো. পলাশ খান:
|
হিজড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ জনগোষ্ঠিদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে একটি ইতিবাচক ও সেবাবান্ধন পরিবেশ নিশ্চিত করা, সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকদের হিজড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ জনগোষ্ঠি সম্পর্কে অবহিত করণসহ তাদের ঝুঁকিপূর্ন আচরণ পরিবর্তনে চিকিৎসকের করণীয় বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকা আহ্্ছানিয়া মিশন কনসোটিয়াম সিএমকেএস ফরিদপুরের আয়োজনে সিভিল সাজন কাযালয়ে এক বিশেষ এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ইনচার্জ মো. পলাশ খানের পাওয়ার পয়েন্ট পেজেনটেশন এবং সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম। সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গনেশ কুমার আগারওয়ালা, ডা. নিজর, ডা. একরাম, ডা. জুয়েলিয়া জাহান, ডিষ্ট্রিক্ট সারভেইল্যান্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. এ কে এম আহসানুজ্জামান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল-আমিন সরোয়ারসহ প্রমুখ। ডা. একরাম বলেন, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিগণ নিয়মিত এআরটি সেবনরত থাকা অবস্থায়ও তাদের ঝুকিমুক্ত যৌন জীবন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাদের সূই সিরিঞ্জ ব্যবহারে অধিক সচেতনতা জরুরী। ডা. এ কে এম আহসানুজ্জামান বলেন, ফরিদপুরে যারা এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কাজ করছে তাদের প্রত্যেকের কাজ সম্পকে অবহিত হওয়া পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক নিদেশনা প্রদান ও সমন্বয় সাধনে সকলকে নিয়ে নিয়মিত সভার আয়োজন জরুরী। এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত সম্পকিত কাযক্রম দ্বারাও অন্য বক্তি সংক্রমিত হতে পারে সুতারং সবাবস্থায় তাদের সচেতন থাকা আবশ্যক। ডা. গনেশ কুমার আগারওয়ালা বলেন, চিকি’সা প্রদান বা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই বেমষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং হিজড়ারা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে বৈমষ্যহীন নিরবিচ্চিন্ন সেবা পাবে। এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকি’সা সেবা গ্রহণকালে তারা কতবরত চিকি’সকে তাদের অবস্থান সম্ভব হলে জানাতে বলা হয়। মো. পলাশ খান বলেন, গেøাবাল ফান্ডের চলমান প্রকল্প থেকে শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ন পুরুষ এবং হিজড়াদের এইচআইভি এইডস প্রতিরোধসহ যৌন ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু ঝুঁকিতে থাকা তাদের স্ত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের কোন সুযোগ চলমান প্রকল্পে নেই। সেপ্রেক্ষাপটে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে তাদের স্ত্রীদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ নিশ্চিতকরণে একটি ইতোবাচক পরিবেশ তৈরি করে দেয়াও প্রকল্পের লক্ষ্য। ডা. সাজেদা বেগম বলেন, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের আরো নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করণে তাদের কাড প্রদান এবং একান্ত গোপনিয়তার সাথে তা প্রয়োজনানুযায়ী চিকি’সককে প্রদশন বিষয়টি বিবেচনার কথা তিনি সভায় বলেন। পাশাপাশি এইচআইভি এইডস নিয়ে যারা কাজ করছে প্রতি দুই মাস অন্তর তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করার বিষয়টি তিনি সভায় উল্লেখ করেন। সবপরি একটি এইচআইভি এইডস মুক্ত বাংলাদেশ বিনিমানে সকলে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুপ্ত আরোপ করেন। |