/ মতামত / আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত – সংকট ও সম্ভাবনা
আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত – সংকট ও সম্ভাবনা
ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ):
|
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে একের পর এক জয়ের মুখ দেখছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখলে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে আরাকান আর্মি রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৩টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের মংডু ও বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া এই তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করছে, পালেতোয়ার সাথে ভারতেরও সীমান্ত রয়েছে। আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের গাওয়া, তাউনগুপ ও আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। মংডু দখলের সময় আরাকান আর্মি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুনসহ মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের কিছু রোহিঙ্গাকেও গ্রেপ্তার করে। মংডুতে রোহিঙ্গাদের প্ররোচনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র দেওয়া, ভয় দেখিয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিতে বাধ্য করা এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে জাতিগত বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন সামরিক জান্তার হয়ে আরাকান আর্মির বিপক্ষে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনায় যাতে কোন সংকট তৈরি না হয় সেজন্য এর যৌক্তিকতা সকল পক্ষের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাখাইনে সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জোর করে তাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং তাঁদের বাড়িঘর লুট করে জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলে জানা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। বহির্বিশ্বে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ইসলামী জঙ্গি হিসাবে প্রচারনা চালাচ্ছে, এর বিপরীতে রোহিঙ্গা কিংবা তাদের স্বার্থরক্ষাকারী সংস্থার উল্লেখযোগ্য কোন প্রচারনা নেই। রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জোর করে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করছে তা আন্তর্জাতিক মহলকে ভালভাবে অবহিত করতে হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইনে এখন প্রায় পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে নতুন করে অনুপ্রবেশে বাধ্য করতে পারে। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ উচ্ছেদের পর আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত ক্যাম্পগুলোতে দায়িত্ব পালন করছে ফলে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির সদস্যদের সাথে নতুন করে বোঝাপড়া এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। অরক্ষিত সীমান্ত মাদক ও অস্ত্র পাচারকারীদের জন্য সুযোগ এনে দিবে এতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর চাপ পড়বে। বর্তমানে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। রাখাইনের চলমান সংঘাতে দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রফতানি বন্ধ রয়েছে, সীমান্ত বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে গেছে। সংঘর্ষ চলমান থাকায় রাখাইন অঞ্চলের সামাজিক, রাজনৈতিক, জাতিগত এবং অর্থনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে। জান্তা সরকার সড়ক ও জলপথ অবরুদ্ধ করায় সেখানে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। রাখাইনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য শুরু হলে তা রাখাইনের জনগণের দুর্দশা কমাতে সাহায্য করবে। রাখাইনে চীনের ভুকৌশলগত, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ স্বার্থ রয়েছে। আরাকান আর্মি চীনের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করছে না, মিয়ানমার সরকারও চীনের স্বার্থ রক্ষা করছে। রাখাইনে ভারতেরও বাণিজ্যিক এবং ভু-কৌশলগত স্বার্থের পাশাপাশি চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য মোকাবেলায় তাদের উপস্থিতির বিষয় রয়েছে। ভারত আলাদাভাবে জাতীয় ঐক্য সরকার, আরাকান আর্মি, চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং চিন ব্রাদারহুডের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে যদিও এর ফলাফল এখনও জানা যায় নাই। চীন তার সীমান্ত বাণিজ্য চলিয়ে যাচ্ছে এবং ভারত পুনরায় কালাদান মাল্টি মোডাল প্রকল্প চালু ও সিতওয়ে বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে রাখাইনের পরিস্থিত কি হবে এবং আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রাখাইন কতদিন থাকবে, তা এখনো অস্পষ্ট। তবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত পার হয়ে নতুন করে বাংলাদেশে যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান করতে চায় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার বিষয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা খুবই আগ্রহী, তারা সবাই এই সম্মেলনে থাকবে বলে আশা করা যায়। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময়ে এই পরিকল্পনার কথা জানায়। সার্বিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টা একজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি গভীরভাবে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সব অংশীজনদের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করবেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য সকল অংশীজনদেরকে একত্রে কাজ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সীমান্তের ওপারের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত খবরাখবর জানতে পারে এবং জনগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে পারে। কক্সবাজারে কর্মরত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে আরাকান আর্মি, ইউ এল এ এবং এন ইউ জি’র প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করতে পারে। রাখাইনের মুক্ত এলাকায় নিরাপদ অঞ্চল ও মানবিক করিডোর স্থাপন করে ত্রান সহায়তা ও রোহিঙ্গা স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। মিয়ানমারের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলো মিয়ামারের সাথে তাদের বাণিজ্য চলমান রেখেছে। রাখাইনের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দুদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এগিয়ে আসতে পারে। রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ও বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কোস্ট গার্ড ও বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ চলমান পরিস্থিতিতে নাফ নদীতে টহল বাড়িয়েছে এবং নাফ নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে এবং বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরে নৌ টহলও জোরদার করেছে। ২০২১ সালে জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ এন ইউ জি, আরাকান আর্মি কিংবা রাখাইনের রাজনৈতিক দল ও জনগণের সাথে যোগাযোগ ও স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু করতে না পারলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে মিয়ানমার সৃষ্ট সংকটের বিপুল বোঝা বহন করে চলছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দুদেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে চাইলে বাংলাদেশকে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও আলোচনা শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বার্মা অ্যাক্টসহ, রোহিঙ্গা অ্যাক্টসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কৌশল কাজে লাগাতে সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদেরকেও তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন থাকতে থাকে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষিত করা প্রয়োজন। শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদেরকে আত্ম নির্ভরশীল করা গেলে তারা নিজেদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী জনগণ কিছুদিন পরপরই আতংকের মধ্যে দিয়ে সময় পার করে, নাফ নদীতে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। রাখাইনে সংঘর্ষের কারনে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। রাখাইন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে আসলেও সামনের দিনগুলোতে এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধান না হলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করার জন্য আক্রমণ করবে। ইতিপূর্বে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পুনরায় আক্রমণ শুরু হলে আরাকান আর্মির সদস্যরাও পালিয়ে এখানে আশ্রয় নিতে পারে। তখন নতুন ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশকে চলমান সংকটের পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে নতুন ধরনের সংকট মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদেরকেও তাদের দাবী আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। ভুকৌশলগত ও ভু রাজনৈতিক বাস্তবতায় সবাই তাদের নিজস্ব স্বার্থ নিয়ে কাজ করে, তাই নিজের অধিকার নিজেদেরকেই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে। আঞ্চলিক ও বিশ্বের যে সব দেশে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে ও নিচ্ছে এই সংকট সমাধানে তাদেরকে ও সাথে রাখতে হবে। রাখাইনের জনগনের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়বে ও বিদ্বেষ কমবে। এর ফলে এই অঞ্চলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে। মিয়ানমার সরকার সব সময় রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী ও বাংলাদেশি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। একই সাথে রোহিঙ্গারা এ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলে তারা দাবি করে। এন ইউ জি ও আরাকান আর্মির যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার ও রাখাইনের জনগণের মধ্যে প্রোথিত মুসলিমভীতি সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, বাংলাদেশ সবসময় তার প্রতিবেশী দেশের ভেতরে অশান্তি সৃষ্টির বিপক্ষে। আগামী দিনগুলোতে মিয়ানমারে যে সরকারই আসুক না কেন আরাকান আর্মি রাখাইনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। আরাকান আর্মিকে বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান অসম্ভব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে একজন উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে যা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সফলতার মুখ দেখবে বলে আশা করা যায়। ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন, এন ডি সি, এ এফ ডব্লিউ সি, পি এস সি, এম ফিল (অবঃ): মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক |