/ অর্থনীতি / বাণিজ্য / শীতে কমেছে সবজির দাম, এবার সিন্ডিকেটের কবলে ভোজ্যতেল
শীতে কমেছে সবজির দাম, এবার সিন্ডিকেটের কবলে ভোজ্যতেল
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
শীতকালীন সবজিতে ভরপুর রাজধানীর বাজার। দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে সবজির দাম। তবে ডিম, মাছ ও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর-১১ কাঁচাবাজার, পল্লবীর মুসলিম বাজার, ৬ ও ১২ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সহনীয় মূল্যে বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি। গত সপ্তাহের ৪০ টাকা কেজি মুলা আজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, ৬০ টাকার গোল বেগুন ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৪০, ৪০ টাকার কলার হালি ৩০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০-২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকায, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ও টমেটো ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা, পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, লালশাক, পালং ও কলমি শাক প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আলু ও পেয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের ৫৫-৬০ টাকার আলু প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি রসুন ২৫০ টাকা ও ভারতীয় রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রোজার আগে সরকারের পক্ষ থেকে আরেক দফা দাম বাড়াতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে তারা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত দামের চেয়েও খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ২৮ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে বছরের প্রথম থেকেই পণ্যটি কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বেড়েছে। এদিকে গত বছরের শেষদিক থেকে অস্তির হয় ভোজ্যতেলের বাজার। নভেম্বরের শুরুতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় ১৮৫ টাকায়। প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ক-কর কমিয়ে তা নামানো হয়েছে শুধু ৫ শতাংশে। এতে বাজারে সামান্য কমে ভোজ্যতেলের দাম। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে বাজার থেকে উধাও হতে শুরু হয় ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়। খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয় লিটারপ্রতি ১৫৭ এবং বোতলজাত ১৭৫ টাকা। তবুও সরবরাহ সংকট কাটেনি। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে নতুন বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানিতে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর শতভাগ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভ্যাট ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। এরপরও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি। গত সপ্তাহের ৩৫০ টাকার সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংসের কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০০- ৭৫০ টাকায়। অপরিবর্তিত দেখা গেছে মাছের বাজার। বাজারে ছোট রুই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাবদা আকারভেদে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, কৈ আকারভেদে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। |