/ সারাদেশ / রামুতে মানববন্ধনে মসজিদের জমি দখল নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রামুতে মানববন্ধনে মসজিদের জমি দখল নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রামু প্রতিনিধি:
|
রামুতে মানববন্ধনে মসজিদের জমি দখলের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ৪ জানুয়ারি বিকালে রামু বাইপাসস্থ একটি কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নাশিরকুল গ্রামের মৃত মো. কালুর ছেলে মো. নুরুল হক, মৃত মনির আহমদের ছেলে দানু মিয়া ও মৃত রশিদ আহমদের ছেলে এনামুল হক। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানানো হয়- রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জেখানা জামে মসজিদ সংলগ্ন তাদের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ৩৩ শতক জমি রয়েছে। যার বিএস খতিয়ান নং ১৪৭৮, বিএস দাগ নং ৮৮৬৬। উক্ত জমি মো. কালু, মনির আহমদ ও রশিদ আহমদের ওয়ারিশগন বংশানুক্রমে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রয়েছেন। এ জমিতে ভোগ দখলে কোন প্রতিবন্ধকতা বা বাধাপ্রাপ্ত হননি। তাদের দাদা হাজ¦ী মো. সাঁচি ১৯৬০ সালে ৫৭ শতক জমি তিন ছেলে যথাক্রমে মৃত মো. কালু, মৃত মনির আহমদ ও মৃত রশিদ আহমদের নামে খরিদ করেন। পরবর্তীতে মো. কালু, মনির আহমদ ও রশিদ আহমদের নামে জমিটি সৃজিত খতিয়ানভূক্ত হয়। তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে উক্ত জমি তারা ওয়ারিশসূত্রে নিয়মিত খাজনা আদায় করে যৌথভাবে ভোগদখলরত আছেন। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়- উল্লেখিত জমি আমরা ওয়ারিশগন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থাকার পরও স্থানীয় ভূমিগ্রাসী চক্র ও বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কায়দায় প্রভাব বিস্তার করে জবরদখলের জন্য বারবার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ২০১৮ সালে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা হলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার সরেজমিন তদন্ত করে আমাদের মালিকানার পক্ষে সঠিক তথ্য পেয়ে আমাদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভোট ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকা ভূমিদস্যু চক্রটি আবারো আমাদের এ জমি জবরদখলের জন্য নানান পাঁয়তারা শুরু করেছে। চক্রটি জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে মসজিদের জমি বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি, জুমার নামাজের পর চক্রটি ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে এবং মসজিদের জমি বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। উক্ত মানববন্ধনে আমাদের জমির মালিকানার প্রকৃত তথ্য আড়াল করে জনসাধারণ ও সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য তুলে করা হয়েছে। এতে মসজিদ কমিটির নামে আমাদের কাগজপত্র ভূয়া ও সাজানো বলে দাবি করলেও তারা মসজিদের পক্ষে জমির সঠিক কোন দলিলাদি বা প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। আমরা মসজিদের জমি দখল করিনি, করার প্রশ্নই আসে না। বরং আমরা পাঞ্জেখানা জামে মসজিদ এবং কবরস্থানে জমি দিয়েছি। মানববন্ধন চলাকালে ভূমিদস্যুরা জমির মালিক ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিনকে জড়িয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়েছেন। সাহাব উদ্দিন রাজারকুল ইউনিয়নের সবচেয়ে সৎ, দক্ষ ও সফল জনপ্রতিনিধি। তিনি ৫ পাঁচবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানেও তিনি সুনামের সাথে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এজন্য সাহাব উদ্দিনকে মেম্বারকে নিয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এ সংবাদ সম্মেলনে। লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়- কথিত এ মানববন্ধনে মসিজদ কমিটি ও স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে ভুমিগ্রাসী চক্র ও আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী নেতারা। মানববন্ধনে মসজিদের জমি দখলের যেসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। মসজিদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। গত ৩ জানুয়ারি উদ্দেশ্যমূলক মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশগ্রহনকারি ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী মানববন্ধন শেষ হওয়া মাত্র দেশীয় অস্ত্র, ধারালো দা, লোহার রড, লাটি-সোটা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের জমিতে অনুপ্রবেশ করে জমিতে থাকা ঘেরা-বেড়া ভাংচুর ও গাছপালা কেটে লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাট ও ভাংচুরকারিরা এ জমিতে গেলে আমাদের মারধর, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এ কারণে আমরা বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকরা তাদের জমি জবর-দখলমুক্ত রাখা এবং দখলের অপচেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নাগরিক অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। |