/ সারাদেশ / তীব্র শীতে কাঁপছে রাজাপুরের নিন্মশ্রেণীর মানুষ
তীব্র শীতে কাঁপছে রাজাপুরের নিন্মশ্রেণীর মানুষ
হনুফা আক্তার তুনা, রাজাপুর,(ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:
|
তীব্র শীত আর কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে রাজাপুরের নিম্নশ্রেণীর মানুষ। গত কয়েকদিনে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমছে । ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতে ভোগান্তি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ভর দুপুরেও গরম কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করছে স্থানীয়রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরে সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত থেকে রক্ষা পেতে যে যার মতো গরম পোশাক পড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজাপুর সদর হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছেন শীতজনিত রোগে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, পৌষের শীতের এই দাপট চলবে আরো বেশ কয়েকদিন। রাত ১২টার পরপরই ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা দক্ষিণাঞ্চল। সকাল বেলা ছিল মেঘে ঢাকা এমন অবস্থা। রাজাপুর সদর হাসপাতালে খোঁজ নিলে জানা যায় ঠান্ডাৎ শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডিপথেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, শীতের কারণে বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চর্মরোগ বেড়ে গেছে। শুক্রবার রাত ৯:৩০ এর দিকে রাজাপুর উপজেলার বেশকিছু স্থানে দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষজন। বাইপাস মোড়ের ছিন্নমূল এক পথশিশু জানায়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় তেমন কোনো কাজ করতে পারছি না। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। রাজাপুর বাইপাস মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বাইরে লোকজনের চলাফেরা কমে গেছে। ফলে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। স্কুল-কলেজেও উপস্থিতি কমে গেছে।
|