/ বিশেষ / এবার লন্ডনে টিউলিপের বোনকে দেয়া বিনামূল্যের ফ্ল্যাটের সন্ধান
এবার লন্ডনে টিউলিপের বোনকে দেয়া বিনামূল্যের ফ্ল্যাটের সন্ধান
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
বৃটেনে লেবার দলের দুর্নীতিবিরোধী দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দ্বিতীয় আরেকটি ফ্ল্যাট ব্যবহার করে সুবিধা পেয়েছেন। এই ফ্ল্যাটটি প্রথমে তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে উপহার হিসেবে দেন তার স্বৈরশাসক আন্টির (শেখ হাসিনা) একজন মিত্র ও আইনজীবী মঈন গণি। পরে ওই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে ব্যবহার করতে দেন আজমিনা। এই ফ্ল্যাটকে নিজের ঠিকানা হিসেবে সরকারি নথিতে তথ্য দিয়েছেন টিউলিপ। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর একের পর এক সামনে আসছে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সম্পদের খবর। শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য বৃটিশ এমপি ও সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দেয়া বাড়ির সন্ধানের পর এবার বের হয়েছে তারই ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির নামে উপহার দেয়া আরেক ফ্ল্যাটের সন্ধান। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী মঈন গণি তাকে এই ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন। এ খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফ। এতে আইনজীবী মঈন গণিকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন মিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পত্রিকাটি বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক এবং কর্তৃত্ববাদী শাসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। বলা হয়েছে, আজমিনাকে ওই ফ্ল্যাটটি আইনজীবী মঈন গণি দেয়ার পর তা পরে ব্যবহার করতে দেন তার বড় বোন টিউলিপকে। টেলিগ্রাফ লিখেছে, টিউলিপ ও আজমিনা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। বাংলাদেশে গত বছর ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর আগে খবর প্রকাশ হয় যে, লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপকে একটি ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আরেক ঘনিষ্ঠজন আবদুল মোতালিফ। বৃটেনের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত নথিপত্রের বরাতে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এমন তথ্য প্রকাশ করে। এরপর দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে সন্ধান পাওয়া এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে সরাসরি দেয়া হয়নি। এটি দেয়া হয়েছিল তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে। আজমিনার বয়স যখন ১৮ বছর এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে চলেছেন তখন উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চল রোডে আজমিনাকে ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গণি। তিনি হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা সিদ্দিকের সঙ্গে মঈন গণির একটি ছবিও আছে। তিনি ২০০৯ সালে আজমিনার নামে ফ্ল্যাটটি হস্তান্তর করেছিলেন। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, আজমিনার কাছে ফ্ল্যাটের আর্থিক মূল্যের কোনো রেকর্ড নেই। কিন্তু একসময় ঐ ফ্ল্যাটটিতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস শুরু করেন। টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালে ডিসেম্বরের পরে তিনি যখন ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তখন কোম্পানি হাউসে তার ঠিকানা হিসেবে ঐ ফ্ল্যাটটির ঠিকানা তালিকাভুক্ত করেছিলেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ২০১৪ সালের মার্চে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস এবং ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট, আরেকটি অলাভজনক ট্রাস্টি হওয়ার ক্ষেত্রেও এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন টিউলিপ। তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও মে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে এটিকে তার ঠিকানা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। সেই সময় পর্যন্ত সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজমিনার এই ফ্ল্যাটটির বিষয়ে টিউলিপ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের সম্পত্তিতে বসবাস করেছিলেন।
|