আজ বৃহস্পতিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি : জনস্বার্থ বিরোধী
শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি : জনস্বার্থ বিরোধী
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া:
Published : Wednesday, 15 January, 2025 at 7:35 PM
শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি : জনস্বার্থ বিরোধীচলতি অর্থবছরের মাঝামাঝি হঠাৎ করেই শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সেই ঘোষণা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কার্যকরও হয়েছে। এমনিতেই গত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে ভোগ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। জুলাই আগষ্টের বিপ্লবের পর প্রতিষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও সেই নিয়ন্ত্রনহীন বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে তো পারেই নাই উপরন্তু, নতুন করে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ সংক্রান্ত ঘোষণার পর থেকেই দেশব্যাপী সকল মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। ভোক্তা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল সকল পক্ষই এ বিষয়ে ঐকমত্য যে, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ বিরোধী। এরই মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে। পাঁচ দিনেই ভ্যাট ও করের চাপ পড়েছে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দেশের জনগনের যখন নাভিশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম তখন সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা অতিতের পতিত স্বৈরাচারি সরকারের মতই জনগনের বিপক্ষে গিয়ে অবস্থান গ্রহন করছেন। কথাবার্থা বলছেন অতিতের লুটেরা ও সিন্ডিকেটের সহযোগি মন্ত্রীদের মতই। গত ২ জানুয়ারি সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের ভাষ্য ছিল, "রাজস্ব আহরণ বাড়াতে সরকার ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে নিত্যপণ্যের বাজারে ‘প্রভাব পড়বে না’।" ১২ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, "শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি হলেও এর খুব বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে সরকার। সরকারের মতে, এ প্রভাব হবে খুবই ন্যূনতম।" ১৩ জানুয়ারি মাদারীপুর সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, "সরকারের রাজস্ব প্রয়োজন। প্রচুর ভর্তুকিও লাগে। এই অর্থ কোথাও না কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তাই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। " সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্যের মধ্যে তেমন কোন ফারাক নাই। তারা উভয়ের প্রধান করলেন তারা শাসক শ্রেনীর প্রতিনিধি, জনগনের প্রতিনিধি নয়। শাসক শ্রেনীর চরিত্র একই। ব্যাক্তি পরিবর্তন হলেও শাসকের চরিত্র পরিবর্তন হয় না। জনগন শুধু স্বপ্ন দেখতে পারে, সেই স্বপ্ন পূরন হবার সম্ভাবনা একেবারেই শূণ্যের কোটায়।

অর্থ উপদেষ্টারর যুক্তি, “মূল্যস্ফীতির মূল ইন্ডিকেটর হচ্ছে চাল-ডাল ইত্যাদি। যেসব জিনিসের দাম বাড়িয়েছি সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই ইনসিগনিফিকেন্ট।” তার এই যুক্ত শুনে মনে হয় দেশের প্রায় সকল মানুষই তার মত সচ্ছল। কারো কোন অভাব নাই। তিনি হয়ত ভুলেই গেছেন দেশের ৮০% শতাংশ মানুষ ডাল-ভাতের উপরই নির্বর শীল।

দেশের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, "একদিকে মূল্যস্ফীতি বেশি, ডলারের উচ্চমূল্য এবং ব্যাংকের অতিমাত্রায় সুদের বেড়াজালে দেশের মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে এমন বাস্তবতায় শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলবে। এই ভ্যাট ও কর বৃদ্ধির যত যৌক্তিক কারণই থাকুক না কেন এর বিষয়ে বিকল্প কিছু ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, রোজার বাকি আর মাত্র দেড়মাস। ফলে এই চাপ গিয়ে রমজানের বাজারে পড়বে। তারা মনে করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের রিভিউ দরকার।" এই অর্থ উপদেষ্টাসহ যারা আজকে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন তারা হয়তো তাদের অতিত চরিত্র ও অবস্থান ভুলে গেছেন। সাবেক সরকারগুলোর আমলে শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি পেলে তারা কি বলতেন। অতিতের সরকারগুলো যদি লুটপাটের উদ্দেশ্যেই শুল্ক আর ভ্যাট বসাতেন তাহলে আমরা কি ভেবে নিতে পারে না এই সরকারও একই কারণে এই কাজটি করছে ?

উপদেষ্টারা ভুলে যাচ্ছেন যে, বর্তমানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি মানুষকে কঠিন বিপদে ফেলছে। গরিব মানুষ খুবই নাজেহাল অবস্থায় তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। শুধু গরিব নয়, মধ্যবিত্তরাও এই সংকটে রয়েছে। পারে না বলতে, কিন্তু সহ্য করতে হচ্ছে। বাজারে গেলেও মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়। কারণ সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঊর্ধ্বগতিতে দরিদ্র দেশগুলোতে গত কয়েক মাসে কয়েক কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে, যদিও প্রতিটি দেশের সরকার কয়েক বছর ধরে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার পরও অনেক মানুষের উপার্জন ক্ষমতা কমে গেছে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শ্রমের বিনিময়ে যে পরিমাণ আয় বেড়েছে, তার চেয়ে খরচ বেড়েছে বেশি। তাই মানুষ বিপদে পড়ছে। একজন মানুষ মাসে ৪০ বা ৫০ হাজার টাকা আয় করেও মাসের ব্যয় বহন করতে পারছে না।

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে মানুষ যখন দিশাহারা, তখনই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েই এসেছে বাড়তি ভ্যাটের বোঝা। যদিও সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা বলছেন, এতে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না। বাস্তব হলো মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে। রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টিসহ ৬৫ বা তার বেশি পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলো জনস্বার্থ বিরোধী। উপদেষ্টারা ভুলে যান ওষুধের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কি খাবে, কি দিয়ে তাদের চিকিৎসা করাবে? অতীতে ওষুধের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি আবার বৃদ্ধি পায়, তাহলে গরিব বা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অবস্থা কি হবে একবারও কি সরকারের কর্তা ব্যাক্তিরা ভেবে দেখেছিন।

যদি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে হয়, তাহলে অন্য উপায় খুঁজে বের করা জরুরি। যেমন—ভ্যাট না বাড়িয়ে কর আদায় করতে হবে বেশি করে, যাতে কেউ কর ফাঁকি না দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাড়তি ভ্যাট কার্যকর করা সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটা মূল্যস্ফীতির আগুনে ঘি ঢালার মতো হবে। মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে প্রায় ৭০০ নিত্যপণ্যের একটি বাস্কেট আছে। এই বাস্কেটে যে পণ্যগুলো আছে, সেগুলো ওঠানামা করলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ সম্প্রতি যেসব পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, তাতে অবশ্যই ওই বাস্কেটের পণ্যও রয়েছে। তাই সংজ্ঞা অনুসারে বর্ধিত ভ্যাটের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে—এটি বলাই যেতে পারে, যার খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।

যদিও পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বৃদ্ধি পেলে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না বলে সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বারবার আশ্বস্ত করা চেষ্টা করলেও বাস্তবতা আসলে কি ? কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে অতিতের সরকারগুলোর মন্ত্রীদের মত তিনিও লিপ সার্ভিস দিচ্ছেন জনগনকে। আসলে তার কথায় যে আস্থা রাখা যায় না তা গত ৪/৫ দিনেই প্রমানিত হয়ে গেছে। যেখানে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমালে ভোক্তা তার সুফল পান না, সেখানে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়লে পণ্যের দাম বাড়বে না-তা কিভাবে বিশ্বাস করবেন ভোক্তাসাধারণ? বিশ্বাস করার মত কোন কারণও খুজে পাওয়া যায় নাই। শত পণ্যের কর-ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে গণমাধ্যমকে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন যে, যে সব পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি পেয়েছে সরকার এসব পণ্যকে নিত্যপণ্য বলে স্বীকার না করলেও এগুলো জীবন-জীবিকার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলোর ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব পড়বে ভোক্তার ঘাড়ে।

কয়েক বছর ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের স্তরও অনেক উপরে উঠে গেছে। এতে সমাজের সকল স্তরের মানুষই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এখন নতুন শুল্ক-কর আরোপের ফলে এ শ্রেণীর মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে। অর্থবছরের মাঝপথে শুল্ক-করে এত বড় পরিবর্তনের এর আগে হয়েছে কি না, জানা নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত যে মানুষ ভালোভাবে নেবে না এটি সরকারের কর্তা ব্যাক্তিদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে, যা বহুল আলোচিত। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে ভ্যাট হার বৃদ্ধি এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচেত।

শুল্ক-করের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে এর আওতা বাড়ানো উচিত। সরকার সে পথে না হেঁটে যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন, তাদের ওপরে আরো বোঝা চাপাল। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যে। বৃদ্ধি পাবে করফাঁকির প্রবণতাও। সরকারের উচিত, প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি বা কমানো, ভ্যাট-ব্যবস্থা সহজ করা। পাশাপাশি ভ্যাট কমিয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করা। সেই সাথে সিন্ডিকেট ভাঙা এবং চাঁদাবাজি কমিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিকঠাক করায় মনোযোগ দেয়া। তা না করে কর-ভ্যাট বাড়ানো জনস্বার্থের পরিপন্থী।

সরকারের ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে তৈরি পোশাক খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছে। মানুষ এখন সব কিছুতে সংকোচননীতি অবলম্বন করছে। পোশাক কেনাও কমিয়ে দিয়েছে। দিন দিন পোশাকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকের বেতনও বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু ক্রেতারা এক পয়সাও মূল্যবৃদ্ধি করতে চাচ্ছে না। ফলে উদ্যোক্তাদের চাপ বাড়ছে। সরকারকে এসকল বিষয়েও ভেবে থেকেতে হবে।

সরকারের উপদেষ্টাসহ কর্তা ব্যাক্তিদের প্রতি বিনিত অনুরোধ থাকলে অনুগ্রহ করে জনগনের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থা গ্রহন করবেন না। দয়া করে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন। জনগনের স্বার্থ বিরোধী অবস্থান গ্রহন করলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, করবেও না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের ফলে নিত্যপণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেলে গরিবরা ক্রয়ক্ষমতা হারাতে পারেন। অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবসার ব্যয় বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হতে পারেন। এদিকেও কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ অবশ্যই বাড়াতে হবে। বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসুন। দেশের চাকরিজীবীরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর মধ্যত্তি ও দরিদ্র জনগোষ্টি যে কিভাবে জীবন অতিবাহিত করছে, তা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। আর বলরৌ শাসক শ্রেনীর কর্ণকুহুরে তা কখনোই প্রবেশ করে না। এটাই বাস্তবতা। তবে, শাসক শ্রেনীতে এটাই মনে রাখতে হবে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে গরিবের মুখে হাসি ফোটানো কঠিন হয়ে পড়বে। যেভাবে হোক সরকারকে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে গরিবের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। তা না হলে জনআতংক সৃষ্টি হলে তাতে কারোরই কল্যাণ বয়ে আনবে না।

লেখক : রাজনীতিক, বিশ্লেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েই চলেছে চুরি সন্ধ্যারপর বসে মাদক সেবীদের আখড়া
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েই চলেছে চুরি সন্ধ্যারপর বসে মাদক সেবীদের আখড়া
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনদিন বেড়েই চলছে চুরি। গত চার মাসে ছোট বড় মিলে ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ...
ফুলবাড়ীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান
ফুলবাড়ীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলা সমাপনী অনুষ্ঠান। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত ...
হেযবুত তাওহীদ কর্তৃক সরকারের নিকট প্রস্তাবিত সংবিধান ও রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন
হেযবুত তাওহীদ কর্তৃক সরকারের নিকট প্রস্তাবিত সংবিধান ও রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন
হেযবুত তাওহীদ কর্তৃক সরকারের নিকট প্রস্তাবিত সংবিধান ও রাষ্ট্রসংস্কারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন  সংগঠনের ...
ফকিরহাটে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান মেলা
ফকিরহাটে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান মেলা
“জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, মোরা হবো বিশ্বময়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাটে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা ...
ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা
ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা
বাগেরহাটের ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়ন নেবৃন্দদের সাখে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ...
ফকিরহাটে পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত চার আসামী গ্রেপ্তার
ফকিরহাটে পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত চার আসামী গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত চার ওয়ারেন্টবূক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ...
জয়পুরহাটে বাড়িতে ডেকে নিয়ে রংমিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগ
জয়পুরহাটে বাড়িতে ডেকে নিয়ে রংমিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগ
মুঠোফোনে জুয়েল হোসেন (২৬) নামের একজন রংমিস্ত্রিকে নিজেদের নতুন বাড়িতে রং করার জন্য ডেকে নিয়ে, ওই রংমিস্ত্রিকে আওয়ামী লীগের সক্রিয় ...
দেশের বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে কালক্ষেপন মেনে নেয়া হবে না
দেশের বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে কালক্ষেপন মেনে নেয়া হবে না
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি রূপ্তানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নগরী চট্টগ্রামে বন্দর সুবিধার কারণে গড়ে উঠেছে ইস্পাত কারখানা, সিমেন্ট, জাহাজ ভাঙা শিল্প, পোশাক ...
শাহ্ মালেকীয়া যুব কমিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
শাহ্ মালেকীয়া যুব কমিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
তাসাউফ ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন- শাহ্ মালেকীয়া যুব কমিটি বাংলাদেশর ১৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী চট্টগ্রাম আনোয়ারা টার্নেল মোড়স্থ স্বপ্ন বিলাস রেস্টুরেন্টে ...
১০
উদার গণতান্ত্রিক দেশ ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন
উদার গণতান্ত্রিক দেশ ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকরী ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সে চিত্র অনেকটাই ...
 
ঢালাও মামলায় বিহারি নেতা গ্রেপ্তার, পিবিআই কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা
ঢালাও মামলায় বিহারি নেতা গ্রেপ্তার, পিবিআই কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা
ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় বিহারি নেতা আব্দুল কুদ্দুস শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) । মঙ্গলবার ( ১৪ জানুয়ারি ...
লক্ষ্মীপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তাত
লক্ষ্মীপুরে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তাত
লক্ষ্মীপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে ডাকাতি হওয়া এক লাখ ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ...
লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা মামুন
লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা মামুন
লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কলিজয়েট স্কুল এর  গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুব আলম মামুন। ৮ই জানুয়ারি বুধবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ...
নতুন বছরে, নতুন প্রত্যাশা নিয়ে চট্টগ্রামে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচারে প্রচারাভিযান সম্পন্ন
নতুন বছরে, নতুন প্রত্যাশা নিয়ে চট্টগ্রামে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচারে প্রচারাভিযান সম্পন্ন
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক(ক্লিন), এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) ...
বোয়ালখালীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
বোয়ালখালীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদণ্ডীতে শুরু হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের শর্ট বাউন্ডারি অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্ট।শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ...
এফ,সি সামাদ ফাইটার্স ২-০ গোলে বিজয়ী: সিলেটের কুচাইয়ে শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
এফ,সি সামাদ ফাইটার্স ২-০ গোলে বিজয়ী: সিলেটের কুচাইয়ে শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেটের কুচাই মাঠে  উৎসাহ উদ্দীপনার  মধ্য দিয়ে   শুরু হলো ১ম শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী অনুস্টানে ...
ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিলাসী ফ্ল্যাট দুবাইয়ের দ্বীপে
ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিলাসী ফ্ল্যাট দুবাইয়ের দ্বীপে
পাচারের টাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিজাত শহর দুবাইয়ে ট্রান্সকম গ্রুপের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ...
আগুনের ঝুঁকিতে পুরো ঠাকুরগাঁও: শহর পানির সোর্স নাই
আগুনের ঝুঁকিতে পুরো ঠাকুরগাঁও: শহর পানির সোর্স নাই
ঠাকুরগাঁওয়ের গুরুত্বপুর্ন বিভিন্ন পয়েন্টে আগুন নেভাতে পানির সোর্স না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো শহর। শহরের চৌরাস্তা, আর্ট গ্যালারী, পুরাতন ...
এই খবর ভুয়া, সব বিষয় ফালতু : নিপুণ
এই খবর ভুয়া, সব বিষয় ফালতু : নিপুণ
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অভিনয় ক্যারিয়ার তেমন সমৃদ্ধ না হলেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত তিনি। বহুদিন ধরেই আওয়ামী ...
১০
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা
হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ (শুক্রবার) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com