/ বিশেষ / পাবনায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
পাবনায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন
ওবায়দুল হক বাদল:
|
পাবনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে করা এই মানববন্ধন থেকে সন্ত্রাসীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। না হলে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচির ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। হামলাটি ২০২২ সালের আলোচিত ‘সুজন হত্যা মামলা’র এজাহারভুক্ত আসামিরা চালিয়েছে বলে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। গত রবিবার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর এলাকায় রাত সাড়ে আটটার দিকে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে হেযবুত তওহীদের সাবেক জেলা সভাপতি সেলিম শেখের বাড়ির পার্শ্ববর্তী নফসারের মোড় নামক স্থানে হামলা চালায়। তারা সেখানে উপস্থিত হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে এবং গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় হেযবুত তওহীদের অন্তত ১৩ জন সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বক্তাদের ভাষ্যমতে, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট এই স্থানে এই সন্ত্রাসীরাই একই কায়দায় হামলা চালিয়ে সুজন মণ্ডল নামে হেযবুত তওহীদের একজন সদস্যকে হত্যা করে। সেই মামলার আসামিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বাদী ও সাক্ষীদেরকে হুমকি দিয়ে আসছিল। ইতোপূর্বে কয়েকবার তারা বাদী ও সাক্ষীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরও চালিয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বেপরোয়া হয়ে গতকাল আবারও হামলা চালায় তারা। অথচ হেযবুত তওহীদ আইন মান্যকারী অরাজনৈতিক আন্দোলন, বিগত ৩০ বছরে এ আন্দোলন একটিও আইন ভঙ্গ করেনি। বক্তারা আরো অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের আমলে সুজন হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক মামলায় পরিণত করা হয়। ফলে আসামিরা কোনোভাবেই আইনের আওতায় আসেনি। এভাবে যদি একের পর এক হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর এবং হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে আর তার কোনো বিচার না হয়, তাহলে দেশটা ইরাক সিরিয়া হতে বেশি দেরি হবে না। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী বিভাগের সদস্য রুফায়দাহ পন্নী, তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, ঢাকা মহানগর সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম ওখবাহ, ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আল আমিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফ উদ্দিন, উত্তরা জোনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে হেযবুত তওহীদের হাজারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। |