/ সারাদেশ / চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত সরিষার উচ্চফলনশীল জাত প্রচার ও সম্প্রসারণে মাঠ দিবস
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত সরিষার উচ্চফলনশীল জাত প্রচার ও সম্প্রসারণে মাঠ দিবস
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
|
বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সরিষাজাত বিনা সরিষা-১১ এর প্রচার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক মাঠ দিবস-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ উপলক্ষে রোববার (২ ফেব্রæয়ারী) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এলাকার কৃষকদের নিয়ে বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট-বিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্র। এ সময় মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকারের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিনা ময়মনসিংহ কেন্দ্রের মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প ময়মনসিংহের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার ও উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ভোজ্য তোলের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে সরিষা চাষ। তাই সরিষার চাষাবাদ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-১১ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। কারন এই জাতটি যেমন একদিকে ফলন বেশি দেয়, তেমনি রোগবালাইও কম। এখন থেকে দুই ফসলি জমিতে চাষ করা যাবে তিনটি ফসল। দুই ধান চাষাবাদের জমিতে দুটি ধানের চাষের মধ্যবর্তী সময়ে মাত্র ৮০ দিনের মধ্যেই উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা ঘরে তুলতে পারবেন চাষিরা। এমনকি দেশী জাতের চাইতে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ মণ করে বেশি সরিষার ফলন পাওয়া যাবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত বিনা সরিষা-১১ জাতের সরিষায়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত বিনা সরিষা-১১ রোপনের ৮০-৮৩ দিনের মধ্যেই ফলন দেয়। পাশাপাশি এর গাছ বড় হওয়ায় জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার উপযোগী। এমনকি দেশী জাতের সরিষার তুলনায় এর রোগ-বালাই অনেক কম। দেশী জাতের সরিষা যেখানে বিঘা প্রতি ৩-৪ মণ ফলন দেয়, সেখানে বিনা-১১ জাত বিঘা প্রতি ৬ মণ সরিষা উৎপাদন হয়। মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সারের দাম কম বলে জমিতে অতিরিক্ত প্রয়োগ করা যাবে না। কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ অতিরিক্ত সার প্রয়োগে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়। সয়াবিনে তেল কেমিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিভিন্ন রকম ক্যানসারের কারণ। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর বিকল্প হতে পারে সরিষার তেল। সরিষার তেল সব খাবারে ব্যবহার করা যায়। তবে নতুন জাতগুলো চাষাবাদ করতে হবে। কারন এসব জাত উচ্চ ফলনশীল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. আজাদুল হক,, উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য, অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন। |