/ সারাদেশ / পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালীয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন
পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালীয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন
কুয়েল ইসলাম সিহাত, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
|
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় জেলায় সন্ধ্যায় নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যাতেই ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। সকালে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপমাত্রা। বিকাল হলেই শুরু হয় বাতাস, কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপর্যস্ত শিশু ও বয়স্কদের জনজীবন। রাতের হিমশীতল বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশী বিরাজ করছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সন্ধ্যায় ও সকালে রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা টানা চারদিন ধরে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করছে। চারদিন ধরে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। সকাল ১০টার পর সূর্যের মুখ দেখা গেলে স্বস্তি ফেরে জনজীবনে। বিকেল থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে শুরু হয় তীব্র শীত। গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৩ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি। এরপর থেকে ১০ এর নিচেই ওঠানামা করছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছে। অন্যদিকে তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান ও অটোচালকরা। ভ্যানচালক সৈয়দ আলী বলেন, গরীব মানুষের বসে থাকার উপায় নেই। সংসারের কথা ভেবে বয়স্ক হলেও প্রতিদিন বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। যতই শীত হোক, দিন এনে দিন খাই। দোকান ব্যবসায়ী মিনু রহমান বলেন, শীতের কারণে মানুষজন সন্ধ্যার পর না থাকায় দোকান বন্ধ করতে হয়। আগের তুলনায় বেচাকেনা নেই বলে জানান দোকানদাররা। |