/ বিশেষ / আজ যুবনেতা নয়ন বাঙ্গালীর শুভ জন্মদিন
আজ যুবনেতা নয়ন বাঙ্গালীর শুভ জন্মদিন
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবি, জাতীয় মানবাধিকারকর্মী, জাতীয় যুবনেতা, হাজার হাজার দক্ষ যুব সংগঠক তৈরির মহানায়ক- যে আমার মতো ক্ষুদ্র সাদ্দামকে রাস্তা থেকে তুলে এনে হাতেখড়ি দিয়েছেন আমার প্রিয় বড় ভাই, আমার অভিভাবক, আস্থা এবং ভালোবাসার শেষ ঠিকানা ড. গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙ্গালীর আজ শুভ জন্মদিন। জন্মদিনের এই বিশেষ দিনে- মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রিয় ভাইয়ের সু-স্বাস্থ ও দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি। নয়ন বাঙ্গালী শুধু একটি নাম নয়-এটা একটি ব্র্যান্ড। যাকে সারাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নয়ন বাঙ্গালী হিসেবে চিনেন। মিরপুরের বিহারী পল্লীতে বেড়ে উঠেন এই ক্ষুদে বাংগালি নয়ন বাঙ্গালী ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালে এক মহা গুনবতী নারীর গর্ভে গুনবতী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন এবং কৈশোর বয়স থেকেই এক সীমাহীন চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলতে চলতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করার অসীম সাহসী সংগঠক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন। শ্রেষ্ট সমাজ সংগঠক হিসেবে তিনি পান জাতীয় পদক, পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর যুব পদক , রাষ্ট্রপতি থেকে স্বর্ন পদক , কমনওয়েলথ পদক । নিজেকে নয়ন বাঙ্গালী সমাজকর্মী হিসেবেই বরাবরই গডতে চেয়েছেন তাই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও মেধায় ও শিক্ষায় ঐ বিষয় টিকেই জোড় দিয়েছেন অনেক । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিভাগে স্নাতকাত্তর-এ প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্হান অধিকার করে গবেষনা করতে চলে যান আমেরিকার ভার্জিনিয়ার লিবার্টি ইউনিভার্সিটিতে যেখানে সামাজিক নেতৃত্ব বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন আজ প্রায় ৭ বছর যাবত। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে তিনি পেয়েছেন সমাজকর্মের লাইসেন্স তাই তাকে আন্তর্জাতিক সমাজকর্মী হিসেবে বিশ্ববাসী চেনেন । নয়ন বাঙ্গালীর এখন সোস্যাল ওয়ার্ক পলিটিকস “প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দলে থেকে কি কি কাজ করতে হয় বুঝে উঠতে পারে না – দলে শুধু জাতীয় কর্মসূচী দেয় কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো দিক নির্দেশনা বা কর্ম সূচী নির্ধারণ করে দেয় না । একজন ডাক্তার জানতে পারে তার আজ কি কাজ , প্রকৌশলী জানে , শিক্ষক জানে কিন্তু রাজনৈতিক দলের একজন কর্মীকে তার কি কি কাজ সারাদিন সাধারণত করতে হয় জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারে না তাই নয়ন বাঙ্গালী এই প্রকল্প এর নাম দিয়েছে Social Work Politics . যে শহরে থাকেন সেই শহরের নাম world Cherry Capital তাই ঐ শহরের মেয়র তাকে রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাকে Mayoral Proclamation দিয়েছেন । নয়ন বাঙ্গালী জাতীয় যুব নীতি প্রনয়ন এ সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছেন । ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা সহ একটি যুব কার্যক্রম কে মূল ধারার কাজে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালান । ১ কোটি দেশী যুবক আজ বিদেশে যারা দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির জোগানদাতা । ১ জন যদি পরিবারের ১০ জনকে চালায় তাহলে দেশের দশ কোটি মানুষ কোনো না কোনো ভাবে বিদেশের টাকা খেয়ে বেঁচে আছে কিন্তু দু:খজনক হলো বিদেশে দূতাবাস গূলো সবচেয়ে বড় বড় বদমাইশ ও পাচাটা তাবেদার কর্মচারীদের দখলে যাদের কোনো অনুভূতি আবেগ এই প্রবাসে থাকা হাড় ভাংগা মানুষদের প্রতি নেই । তাই নয়ন বাঙ্গালী প্রতিষ্ঠা করেছেন International Migrant Foundation । ৎ২০২৫ সালে শুরু হবে প্রতি দেশে দেশে IMF office যা আমাদের embassy গূলোকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখাবে তোমরা কি করছো আর IMF কি করছে। বিদেশের যুবকরা তারা একটি দেশের টিভি নামে টিভি চ্যানেল দিয়ে নিজেদের মতামত শেয়ার ও জীবন চলার পথ বাতলাবে একজন আরেকজনকে । নয়ন বাঙ্গালী প্রতিষ্ঠা করেছে School of Leadership তার হাতেই গড়া দেশের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যুব সংগঠন National Youth Forum . তিনিই বাংলাদেশে প্রথম প্রতি বছর চালু করেছেন Bangladesh Youth Parliaments. তাই তাকে দেশে সমাজ কর্মীরা বলে সামাজিক রাজনীতির জনক । তিনি চান বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আদর্শ সমাজ কর্মী হয়ে গড়ে উঠুক বেডে উঠুক তাহলেই সে আদর্শ নেতা হয়ে সমাজ সেরা করতে পারবে অন্যথায় সবাই মারামারি , দলাদলি , চাঁদাবাজি , টেন্ডার বাজি , মাদক সেবন ছাড়া এই গনডি থেকে বের হতে পারবে না । নয়ন বাঙ্গালী সামাজিক নীতিমালা ও সামাজিক আইন নিয়ে কাজ করছেন । সমাজ কোন কোন আইনের ভিত্তিতে চলবে তার একটি বস্তুনিষ্ঠ মাস্টার প্ল্যান তৈরী করেছেন । বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর এই আইনজীবী নয়ন বাঙ্গালী বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালীদের সামাজিক ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য ও অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের বাইরেও কিভাবে বাঙ্গালীরা সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তার জন্য ভূমিকা রাখছেন । তাই তো আমেরিকার সর্ব বৃহৎ বার আমেরিকান বার এসোসিয়েশন মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করেন ও স্টেট বার অব ক্যলিফোরনিয়া তাকে ফরেন লিগ্যাল কনসালটেনট হিসেবে লাইসেন্স দিয়ে ঐদেশে practice করার সুযোগ দেন । এই মেধাবী সংগঠক ড. নয়ন বাঙ্গালীকে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার তার পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তিনি প্রাণে বাঁচলেও তার হাত চিরতরে ভেঙ্গে দেয়া হয়। তার শুভ জন্মদিনে অশেষ অশেষ দোয়া ও ভালোবাসা। আমরা আশা করবো এই মেধাবী মুখ নয়ন বাঙ্গালী শীঘ্রই দেশে আসবেন- কারন এই মেধা এখন বাংলাদেশের বড়ই প্রয়োজন। |