আজ শুক্রবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জাতীয় উন্নয়নে বড় হুমকি
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জাতীয় উন্নয়নে বড় হুমকি
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Wednesday, 5 February, 2025 at 11:35 PM
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জাতীয় উন্নয়নে বড় হুমকি আমাদের দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ ও বৈশিষ্ট্য তার প্রতিবেশীদের থেকে স্বতন্ত্র৷ শ্রীলংকা বা পাকিস্তানে যেমন জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রকট, ভারতের যেমন সাম্প্রদায়িক ও জাতপাত সমস্যা, সেভাবে বাংলাদেশে সহিংসতার সংকট নেই৷ এরপরও প্রধানত সমগোত্রীয় সমাজব্যবস্থা হয়েও বাংলাদেশ বিপজ্জনক ভাবে একটি রাজনৈতিক সহিংসতাপ্রবণ দেশ থেকে ক্রমশ একটি উচ্চমাত্রার রাজনৈতিক সন্ত্রাসপ্রবণ দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে কিনা, সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মানসিক পরিশুদ্ধতা, উন্নত রুচি ও সংস্কৃতি বারবার প্রত্যাশা করেছে মানুষ। এও প্রত্যাশা করেছে, দেশ ও জাতি গঠনে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এদের মাধ্যমে বড় ধরনের জাগরণ ঘটবে। দেশের উন্নয়নসহ হতদরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা শুধুই হতাশায় রূপ নিচ্ছে। দেশটা কিছুতেই সামনের দিকে এগোতে পারছে না। জনগণ শুধু অসহায়ের মতো দেখছে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একে অন্যের প্রতি আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ আর আক্রোশ প্রতিহিংসাপ্রবণ বক্তব্য, যে আক্রোশ আক্রমণের মধ্যে দলীয় ব্যর্থতার চেয়ে ব্যক্তিবিদ্বেষ, ব্যক্তি কুৎসা অতিমাত্রায় ফুটে ওঠে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও অস্থির হতে শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এমন যে, এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কখনোই সুসম্পর্ক তো দূরের কথা, স্বাভাবিক সম্পর্কও ছিল না। তারা একে অন্যকে শত্রু ভাবে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়। সব সময় তাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করে।এই স্বাভাবিক সম্পর্ক না থাকার কারণে সংস্কৃতিগত ভাবে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেমন সমৃদ্ধ হতে পারেনি, ঠিক তেমনি দেশ, জনগণ, উন্নয়ন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়েছে বারবার।

উভয় দলের সহনশীল ও উদার মনোভাব একে অন্যের প্রতি থাকতে হবে। এই সংস্কৃতিও ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বিরোধীপক্ষেরও উচিত সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করা। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করলে রাজনৈতিক দূরত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।এই বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাবের কাছে দেশের সবকিছু জিম্মি হয়ে পড়বে। এর প্রধান কারণ ক্ষমতার লোভ। দেশে যত রাজনৈতিক দল রয়েছে, সবাই ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতায় যাওয়াই যদি একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তবে সে ক্ষেত্রে জনগণ উপেক্ষিত হবেই। আর সংঘর্ষ, হানাহানিও বন্ধ হবে না। এত সমস্যা, সীমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক সংগীর্ণতার মধ্যেও আমরা চাই দেশে একটি সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ধারা গড়ে উঠুক। স্বাধীনতার অনেক স্বপ্নের একটি ছিল স্থিতিশীল সমাজব্যবস্থা কায়েম করা। যেখানে মানবিক অধিকার সমুন্নত থাকবে। বস্তুত তা হয়নি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর একদল লোক মেতে ওঠে লুণ্ঠন আর হত্যায়। সমাজে বিশৃঙ্খলার বীজ রোপিত হয়। সদ্য স্বাধীন দেশের মানুষের স্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত হতে শুরু করে। আমাদের সামাজিক অধঃপতনের অনেক কারণ। তবে অন্যতম কারণ বৈষম্য। সমাজে নানা ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। এর মধ্যে ধর্মীয় এবং অর্থনীতি- এই বিশেষ দুটি কারণে সমাজ সব সময় অস্থিতিশীল থাকে। চলমান অসহিষ্ণুতার পেছনেও এ দুটি কারণ রয়েছে মনে বলে করি। বিগত চার দশকে এ দেশে এক শ্রেণির লুটেরা, লুম্পেন সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অন্যদিকে মধ্যবিত্তের অনেকেই নেমে গেছেন দারিদ্র্য সীমার নিচে। আর্থিক অসংগতি সাধারণের মধ্যে সার্বক্ষণিক চাপা ক্ষোভ তৈরি করছে। কাঙ্ক্ষিত জীবন অর্জনে ব্যর্থতা সমাজে তৈরি করছে অসম প্রতিযোগিতা। বেকারত্ব সৃষ্টি করছে হতাশা।

একই সমাজে উচ্চ শ্রেণির বর্ণাঢ্য জীবন নিম্নবিত্তকে ঈর্শাকাতর করছে। প্রেমে পরাজয় জন্ম দিয়েছে প্রতিহিংসার। ধর্মীয় গোঁড়ামির ফলে বেড়েছে উন্মাদনা। অযোগ্য ব্যক্তির উত্থান এবং যোগ্যতমের পতনে তৈরি হয়েছে বিভেদ। সমাজের এই অসম বাস্তবতা সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার জন্ম দিয়েছে। তারা মানসিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। দেশের সমাজ জীবন অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছে রাষ্ট্র পরিচালকরা। এদের পৃষ্ঠপোষকতায় বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে আর্থিক বৈষম্য। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ যেখানে মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খায়,সেখানে লুটেরা শ্রেণি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিত্তবৈভবে আয়েশি জীবনযাপন করে। তারা আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়া, লন্ডনে সেকেন্ড হোম গড়ে তোলেন। হাওয়া বদলাতে উড়াল দিয়ে চলে যান পৃথিবীর নামিদামি সৈকতে। বিনোদনের জন্য বেছে নেন জগৎসেরা সব এমাউজমেন্ট হোটেল। তাদের ব্যাংক হিসাবে থাকে কোটি কোটি টাকা। অন্যদিকে দেশের সাধারণ নাগরিক তিনবেলা ঠিকমতো খেতে পায় না। চিকিৎসার খরচ জোটে না। করতে পারে না মাথাগোঁজার একটু খানি ঠাঁই। জীবনযাপনের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। তবু শাসকগোষ্ঠী উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন গণমাধ্যম আর রাজনীতির ময়দানে। কয়েক দশক ধরে উন্নয়ন শব্দটি বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথা বলে উন্নয়নকে ফিতে দিয়ে মাপার চেষ্টা করেন। অথচ তারা জানেন না এ দেশে একজন পোশাকশিল্প শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি কত? এই সামান্য টাকায় একজন মানুষের পরিবার চলে কী করে? তারা খোঁজ রাখেন না দেশের এটিএম বুথগুলোয় যারা সিকিউরিটির জব করেন, তাদের। তারা জানেন না, গ্রামে কৃষিক্ষেত্র থেকে আয় দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসায় অনেক কৃষক নগরে পাড়ি জমাচ্ছেন। শহরে এসে রিকশাচালক বা দিনমজুরের কাজ করে কোনোমতে জীবন চালাচ্ছেন।

বর্তমান সমাজে চারপাশে এত অন্যায়, বৈষম্য, বিভেদ সাধারণকে মনে মনে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সে জন্য তুচ্ছ ঘটনাতেও হিংস্র হয়ে উঠতে দেখা যায়। মানুষের ভেতর থেকে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সবাই নিষ্ঠুর, পাশবিক হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষ এখন তার ক্ষুব্ধতাকে কোথাও না কোথাও উগরে দিতে চায়, যা আমরা মব জাস্টিস বা গণপিটুনিতে দেখতে পাই। সুযোগ পেলেই সে এই কাজটি করে। কারণ অন্যকিছু নয়। মূলত পেশিশক্তিই হয়ে উঠছে ব্যক্তির কাছে ন্যায্যতার অন্যতম হাতিয়ার। তাই, খুনের মতো অমার্জনীয় অপরাধ করতে কেউ দ্বিধা করছে না। সমাজ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার পেছনে রাজনীতির দায় কোনোভাবেই এড়ানো যায় না। গত তিন তিনটে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। গণতন্ত্র হয়েছে ভূলুণ্ঠিত। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। সাধারণ মানুষ আইনানুগ সহায়তা পায়নি। হত্যা, গুম, খুনের কোনো বিচার হয়নি। অসহায় মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। ধর্ষিত নারী পায়নি সুবিচার। রাজনৈতিক কর্মীরা জবর দখল করে নিয়ে গেছে সাধারণ মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য। ফুটপাতের ভিখারিকেও চাঁদা দিতে হয়েছে। খুনি, অত্যাচারী সমাজে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। কেন না তাদের ছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সনদ। সরকারবিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক নেতারা পালিয়ে বেড়িয়েছে। সরকার অনেককে করেছে দেশান্তরী। ওই বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যাবে না, তবে খুঁজতে হবে মুক্তির উপায়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। মাঝের দিনগুলোয় ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি, ডাকাতি, হত্যাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা ঘটেছে। সরকার গঠনের পর চুরি, ডাকাতি কমলেও হত্যাযজ্ঞ থামেনি, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।

কিন্ত এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে এককভাবে দায় দেওয়া যাবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হওয়ায় বিদ্যমান পুলিশর দায়িত্ব পালনে পূর্ণ পেশাদারি হয়ে উঠতে পারছে না। আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিহিংসাপরায়ণতা শান্তি আনতে পারে না। শান্তি আসে অহিংসায়। আমাদের অনেক ক্ষোভ আছে, না পাওয়ার কষ্ট আছে, হারানোর বেদনা আছে। কিন্তু প্রতিহিংসা এর কোনোটারই সমাধান নয়। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে হানাহানি আর রেষারেষির মধ্যে কাটিয়ে দিলাম। এতে কী পেলাম? প্রাপ্তি এটুকুই যে, দেশ তার উজ্জ্বলতা নিয়ে দাঁড়াতে পারেনি, জনগণ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ভঙ্গুর ও ঋণনির্ভর অর্থনীতি আমাদের কাঁধে। আমরা নামেই ‘এশিয়ার বাঘ’ অথচ দাঁড়াতে চাইলেও দাঁড়াতে পারছি না। আমাদের মেরুদণ্ড সোজা করার সাহস জোগানোর যেন কেউ নেই। কিন্তু বাংলাদেশকে তো তার কর্মসুষমা নিয়ে, ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়াতেই হবে। শুধু নামেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ হলে চলবে না। সে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। একটি উন্নয়নশীল দেশ যেখানে দিন দিনই বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বিদেশিরা ভয়ে পালিয়ে যাবে- তা হতে দেওয়া যায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও ভাবমূর্তির জন্য একটি বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণে এখনই তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা আজ যা বিভিন্ন দলের মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে তা নিজ নিজ দলের অভ্যন্তরেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিহিংসাতেই শেষ হতে দেখা যায়।

এভাবে বাংলাদেশের ডামাডোলপূর্ণ ও সহিংস রাজনৈতিক আন্দোলন থেমে থেমে বিভিন্ন বাঁক নিচ্ছে৷ কিন্তু প্রায় কখনোই ন্যূনতম আইনের শাসন ও নীতিনৈতিকতা অনুসরণকে কখনও কোনো নির্বাচনি বা রাষ্ট্রীয় প্রচার-প্রচারণায় বড় কোনো ভিত্তি হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা নজরে আসছে না৷ বরং যে কোনো মূল্যে টাকা কামানো, কর্তৃক প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনে জয়লাভের মনোভাবটাই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷ নির্বাচন এবং সমাজে আধিপত্য বিস্তারই সমকালীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠছে৷ আবার আড়াই দশক নারী প্রধানমন্ত্রীদের অধীনে থেকেও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ মাত্রায় নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে৷ উগ্রপন্থার বিস্তার রোধে নাগরিক সমাজ বা যারাই যখন ভূমিকা রেখেছে, সবটাকেই রাজনৈতিক অভিসন্ধি হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে লঘু বিষয় গণ্যে পাশ কাটানোর চেষ্টা চলেছে৷ একটা স্ববিরোধীতা কিংবা আত্মঘাতী রাজনীতি বাংলাদেশের অমোঘ নিয়তি হয়ে উঠেছে৷ কিন্ত এভাবে আর কতদিন চলবে একটি দেশ। তাই রাজনীতিকদের মন মানসিকতার পরিবর্তন করে দেশপ্রেমে জাগ্রত হোক তাদের বিবেক।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
২০ দিনে পাঁচবার বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা
২০ দিনে পাঁচবার বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা
সোনার দাম ফের বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে চলতি মাসের ২০ দিনের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো ...
বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২১ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর
বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২১ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২১ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ...
নারীদের শ্লীলতাহানি: চলন্ত বাসে ডাকাতির ভয়ংকর বর্ণনা দিলেন যাত্রীরা
নারীদের শ্লীলতাহানি: চলন্ত বাসে ডাকাতির ভয়ংকর বর্ণনা দিলেন যাত্রীরা
দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় ডাকাতদল। ...
রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
প্রতিবছর রমজান ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। হু হু করে বাড়ে দাম। ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। ...
বাঙালিকে মাথানত না করতে শেখানো একুশ আজ
বাঙালিকে মাথানত না করতে শেখানো একুশ আজ
মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ...
শহীদ দিবসে যেসব সড়কে বন্ধ যান চলাচল
শহীদ দিবসে যেসব সড়কে বন্ধ যান চলাচল
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকেন্দ্রিক সাতটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও রোড ডাইভারশন ...
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শ্রদ্ধা জানতে আসা লোকেরা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে অধিকার আদায় করে নিতে শিখিয়েছে। সে সময়ের আন্দোলন বাঙালির মধ্যে ...
মহান একুশে: শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণ
মহান একুশে: শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণ
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. ...
পত্নীতলায় ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচির সভা অনুষ্ঠিত
পত্নীতলায় ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচির সভা অনুষ্ঠিত
পত্নীতলায় বেসরকারী এনজিও সংস্থ্যা ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি কর্তৃক আয়োজিত "ইনক্রিজ এ্যাকসেস টু ইমপ্রুভড ওয়াটার, স্যানিটেশন এন্ড হাইজিন সার্ভিসেস ইন স্কুলস্ ...
১০
আইসিএসবি-এর ৯ম সমাবর্তন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
আইসিএসবি-এর ৯ম সমাবর্তন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)-এর কোয়ালিফাইড চার্টার্ড সেক্রেটারিগণের ৯ম সমাবর্তন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ বুধবার ঢাকার বনানীস্থ শেরাটন ...
 
কালিহাতীতে মাদকসেবীর এক মাসের কারাদন্ড
কালিহাতীতে মাদকসেবীর এক মাসের কারাদন্ড
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী গ্রামের আনছের আলী (৬০) নামের এক মাদকসেবিকে ভ্রাম্যমান আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।   মঙ্গলবার (১৮ ...
কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় ইকরা শিক্ষা বৃত্তি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নূরানী শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণী ...
কালিহাতীতে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কালিহাতীতে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দক্ষিণ আফ্রিকা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লিটনের সাথে কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ...
‘আমরা সনাতনী ৯৫’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বন্ধুদের মহা মিলনমেলা
‘আমরা সনাতনী ৯৫’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বন্ধুদের মহা মিলনমেলা
জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হলো এসএসসি ’৯৫ ব্যাচের ৩০ বছর পূর্তি এবং ‘আমরা সনাতনী ৯৫’-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ...
একুশে স্মৃতি পদক পেলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ তৌহিদ
একুশে স্মৃতি পদক পেলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ তৌহিদ
দক্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সমাজসেবায়( সমাজসেবা কোঠায়) বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক "একুশে স্মৃতি ...
ডেভিল হান্ট অপারেশন লক্ষ্মীপুরে স্বাচিপ নেতাসহ আটক ১৩
ডেভিল হান্ট অপারেশন লক্ষ্মীপুরে স্বাচিপ নেতাসহ আটক ১৩
ডেভিল হান্ট অপারেশনে লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জাকির হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে রায়পুর পৌর ...
লক্ষ্মীপুরে সমবায় সমিতি ৪১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুরে সমবায় সমিতি ৪১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৪১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরের সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ...
নভোথিয়েটারে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম তৈরির নামে ২০ কোটি টাকা লোপাট
নভোথিয়েটারে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম তৈরির নামে ২০ কোটি টাকা লোপাট
মহাকাশ দেখার জন্য তৈরি নভোথিয়েটারে দেখানো হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত ফিল্ম। ২০১৫ সালে ২০ কোটি টাকায় তৈরি ...
নতুন বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের
নতুন বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের
দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিরাজ করছে অস্থিরতা। অর্থায়ন সংকট, ঋণ সহায়তা হ্রাস, ভ্যাট বাড়ানো, গ্যাসের দাম ও সুদহার বৃদ্ধির কারণে উদ্বিগ্ন ...
১০
পঞ্চগড় সহ দেশের আরোও ২টি রেলওয়ে স্টেশন আগের নামে ফিরল
পঞ্চগড় সহ দেশের আরোও ২টি রেলওয়ে স্টেশন আগের নামে ফিরল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের প্রায় ৬ মাস পর নাম পরিবর্তন হলো পঞ্চগড় সহ দেশের আরোও ২টি রেলওয়ে স্টেশন।পরিবর্তনের বিষয়টি ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com