![]() পরকিয়া! মৌলভীবাজারে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা: স্ত্রীসহ ছোট ভাই আটক
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী:
|
![]() " গতরোববার (১৬ই ফ্রেব্রুয়ারি) রাত দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।" 'খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস (১৯) ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাস (২৫)-কে পুলিশ আটক করেছে। উজ্জল তালিমপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের সুবোধ বিশ্বাসের ছেলে।" "এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান ও বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।" "থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, উজ্জল বিশ্বাসের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাসের সঙ্গে তার আপন ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসের পরিকয়া চলছিল। বিষয়টি জেনে ফেলেন দিপনার স্বামী উজ্জ্বল। " "এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী দিপনা ও ছোটভাই ঝন্টু।' পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার রাত দুইটা থেকে তিনটার যেকোনো এক সময় দিপনা ও ঝন্টু ঘুমন্ত অবস্থায় উজ্জ্বল বিশ্বাসের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে লাশ বাড়ি থেকে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। " "রাতে বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বজনরা উজ্জ্বলকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ভোরের দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে উজ্জ্বলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।" বড়লেখা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম সোমবার বিকেলে বলেন, "নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে"। "এই ঘটনায় সন্দেহজনক হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় নিহতের স্ত্রী দিপনা ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে "। নিহত উজ্জ্বলের বাবা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।' "দৈনিক সমকালীন কাগজ প্রকাশিত মৌলভীবাজার প্রতিনিধি তিমির বনিকের পাঠানো সংবাদ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। " "অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ নিহতের স্ত্রী দিপনা রাণী বিশ্বাস ও ছোটভাই ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।" |