আজ সোমবার, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / জানমালের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় চ্যালেঞ্জ
জানমালের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় চ্যালেঞ্জ
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Monday, 17 March, 2025 at 1:38 AM
জানমালের সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় চ্যালেঞ্জগত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। অনেক স্থানে মব জাস্টিসে’র নামে পিটিয়ে মানুষ হত্যার মতো অপরাধও সংঘটিত হয়। পুলিশের অনুপস্থিতি ও নিষ্ক্রিয়তাই এর বড় কারণ। সে অবস্থা থেকে উত্তরণে আইনশৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সরকারের ইচ্ছের সঙ্গে মিলছে না বাস্তব পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়নি, বরং ক্ষেত্রবিশেষে অবনতি হয়েছে, সে চিত্র গণমাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের নানা স্থানেই আইনশৃঙ্খলা অবনতির খবর প্রকাশ পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে কঠোর নির্দেশনা দেন। যদিও পরদিনই ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই বাসের নারী যাত্রীদের ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ ও র‍্যাবের পরিচয়েও প্রতারণা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে; যা কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয় না। শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণের মতো অপরাধ বাড়ার খবর প্রতিনিয়ত আসছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নেতিবাচক দিক উঠে আসছে; যা নাগরিকদের মধ্যে তৈরি করছে নিরাপত্তা- হীনতা। অথচ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সবার প্রত্যাশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নজর দেবে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। 

কিন্তু কার্যত এদিকটি যেন উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।বিদায়ী সরকারের শাসনামলে দেশের অর্থনীতি নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়া না থাকা, জনমনে অস্থিরতা, একই সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব ছিল প্রকট। দুই দফায় শেয়ারবাজার কারসাজির পাশাপাশি ব্যাংক থেকে টাকা হ্যাকিংয়ের মতো ঘটনা- গুলো আর্থিক খাতের অস্থিরতা প্রকাশ করেছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। ডাল, তেল, চাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতির হার গড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এ পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, মজুদদারি ও চোরাচালানের মতো সমস্যাগুলো এখনো বিদ্যমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে এবং মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেশের অর্থনীতির একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের রাজস্ব আদায়ের হার জিডিপির মাত্র ১০ শতাংশের কাছাকাছি, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম। কর ফাঁকি, অবৈধ অর্থপ্রবাহ ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।ফলে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কর প্রশাসন সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন ও কর ফাঁকি রোধে কঠোর নীতি গ্রহণ করা অপরিহার্য। বিনিয়োগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ আশানুরূপ বাড়েনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাত ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ ছিল, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অপর্যাপ্ত। স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি,আমলা তান্ত্রিক জটিলতা ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিনিয়োগে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রফতানিমুখী শিল্প ও তৈরি পোশাক খাতে নতুন বিনিয়োগ কমে গেছে। তাই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কর্মসংস্থানের অভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন এবং শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুযায়ী, দেশের মোট বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি,যা ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। 

সরকারি ও বেসরকারি খাতে নতুন চাকরির সুযোগ সীমিত হওয়ায় যুবসমাজের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সময় এসেছে স্কিল বেজড ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আনার এবং কর্মমুখী ও প্রশিক্ষণমুখী পাঠদান কার্যক্রম চালু করার। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে। যদিও চ্যালেঞ্জগুলো অনেক তবু গত কয়েক মাসে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতিও দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এছাড়া ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে,যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। কৃষি খাতেও কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে,যা খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রেখেছে। তবে এ অগ্রগতিকে টেকসই করতে আরো ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। যদিও রাষ্ট্র মেরামতে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। নিত্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং কর্মসংস্থানের অভাব এ সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গরিব মানুষের অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে নিয়ে ভাবতে হবে, ভোগ্যপণ্যকে সহনশীল মাত্রায় রাখতে হবে। পাশাপাশি জনগণ তথা জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারাই হবে সামনের দিনগুলোয় সংস্কার কার্যক্রমের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

সর্বোপরি কথা হচ্ছে,রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নানাবিধ দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে জোরদার অভিযান পরিচালনার জন্যও কাজ করতে হবে।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার পেছনে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না, থাকা উচিত নয়। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে হবে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনকে সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে এ কথা সত্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সব স্তরের মানুষেরও সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায় অনেক বেশি, তবে রাজনীতিকসহ সমাজ প্রতিনিধিদের দায়ও কম নয়। 
আমাদের প্রত্যাশা,সরকার সবার সহযোগিতায় সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসবেন। তবে এ কথা অনস্বীকার্য সত্য যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নিরাপত্তা আমাদের দিতে পারছেন না।খুন-খারাবি,সন্ত্রাস-রাহাজানি, ছিনতাই-ডাকাতি দমনে পুলিশকে এমনভাবে নিয়োজিত রাখা হয়েছে, মানুষের মালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেই কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না।এ অবস্থায়ই যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।আমরা মনে করি, গ্রেপ্তার অভিযান সঠিকভাবে চালালে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
এমআরটি পুলিশ সদস্য দ্বারা লাঞ্ছিত: কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের
এমআরটি পুলিশ সদস্য দ্বারা লাঞ্ছিত: কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের
এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা ...
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ডধারীকে বিবস্ত্র করে হেনস্তা-জিজ্ঞাসাবাদ
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ডধারীকে বিবস্ত্র করে হেনস্তা-জিজ্ঞাসাবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটসের লোগান বিমানবন্দরে এক গ্রিনকার্ডধারীকে বিবস্ত্র করে হেনস্তা ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। গত ৭ মার্চ ঘটে এ ঘটনা।ওইদিন ...
রাতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা
রাতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা
বিশ্ব ফুটবলে জনপ্রিয় দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এবার ক্রিকেটের মঞ্চেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ...
রাজশাহীতে ’দ্য ফ্লাইং ফিট’ তায়কোয়ানদো ক্লাবের যাত্রা শুরু
রাজশাহীতে ’দ্য ফ্লাইং ফিট’ তায়কোয়ানদো ক্লাবের যাত্রা শুরু
শারীরিক নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং আত্মরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহীতে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করেছে  ‘দ্য ফ্লাইং ফিট’ নামে তায়কোয়ানদো ক্লাব। ১৬ ...
৬ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
৬ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। সরকারের এ ...
নির্বাচন-সংস্কার: সরকারের স্পষ্ট অবস্থান চায় বিএনপি
নির্বাচন-সংস্কার: সরকারের স্পষ্ট অবস্থান চায় বিএনপি
সংসদ নির্বাচন এবং সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট বলে মনে করছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক ...
কিশোরগঞ্জের ইটনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ছাত্রলীগ নেতা
কিশোরগঞ্জের ইটনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ছাত্রলীগ নেতা
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার ৬ মাসের জন্য ৭৮ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা ...
তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজরা: ফ্যাসিস্টের দোসররা পদোন্নতি পাচ্ছেন
তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজরা: ফ্যাসিস্টের দোসররা পদোন্নতি পাচ্ছেন
ফ্যাসিস্টের দোসরদের কবল থেকে এখনো মুক্তি পায়নি জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। পতিত সরকারের আমলে টেলিভিশনটি যারা ‘বোকা বাক্সে’ ...
ঈদের আগে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা
ঈদের আগে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা
ঈদের আগে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ...
১০
সেই লিপি খান ভরসা কারাগারে
সেই লিপি খান ভরসা কারাগারে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার লিপি খান ভরসার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।রোববার ...
 
আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আছিয়ার মা
আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আছিয়ার মা
মর্মান্তিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো আছিয়ার মৃত্যুর পর তার মা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার সময় বাড়ির ...
আত্রাইয়ে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার
আত্রাইয়ে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার
নওগাঁর আত্রাইয়ে শাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপি'র আয়োজনে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভবানীপুর বাজার চত্বরে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিকাল ৪টায় ...
ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি?
ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি?
সম্প্রতি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ফিরলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আগের মতো হবে শীর্ষক মন্তব্য ভারতীয় সেনাপ্রধান করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার ...
কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. রাসেল (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের ...
হোটেল কর্মী শামসুল যেভাবে হয়ে উঠেন ভয়ংকর প্রতারক
হোটেল কর্মী শামসুল যেভাবে হয়ে উঠেন ভয়ংকর প্রতারক
সাদিয়া আফরিন ও মাহবুব আলম দম্পতি। দুজনই চাকরি করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। দুই সন্তানসহ এই দম্পতি বসবাস করেন মিরপুর পল্লবী ...
ফোক গান নিয়ে সংগীতশিল্পী সুজানা রুপা
ফোক গান নিয়ে সংগীতশিল্পী সুজানা রুপা
সুজানা রুপা একজন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী। তার প্রকাশিত পঞ্চাশেরও বেশি রয়েছে মৌলিক গান। সিনেমাতেও প্লে-ব্যাক করেছেন তিনি। বুধবার বিকেলে 'বন্ধুর ...
এনআইডি সেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে অবস্থান কর্মসূচি
এনআইডি সেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরেও  অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ...
শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদে ইপিআই টিকা কার্ড হস্তান্তর
শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদে ইপিআই টিকা কার্ড হস্তান্তর
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ইপিআই টিকা কার্ড হস্তান্তর করেন। গতকাল ...
ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক উত্তরণে দরকার জাতীয় ঐক্য
ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক উত্তরণে দরকার জাতীয় ঐক্য
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্ত থেমে নেই। জুলাই-আগষ্টের কষ্টার্জিত সফলতা বিনষ্ট করার এক ও অভিন্ন উদ্দেশ্যে একেক সময় একেক রূপে ...
১০
রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ – প্রত্যাশা ও প্রস্তুতি
রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ – প্রত্যাশা ও প্রস্তুতি
আরাকানের জনগণের বহু বছর ধরে চলা স্বাধীনতার সংগ্রাম বর্তমানে কিছুটা আলোর মুখ দেখছে। স্বাধীনতা হারানোর বহু বছর পর সম্প্রতি আরাকান ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com