![]() “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত শহর গড়ে তুলতে ড্যাপ এর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি”
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() আজ ১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার সকাল ১১.০০ টায়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি), ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ (আইডাব্লিউবি) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কৈবর্ত সভাকক্ষে “ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ: হুমকির মুখে ঢাকার বাসযোগ্যতা” বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজনে বক্তারা এ কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা মো. মিঠুন এর সঞ্চালনায় আয়োজনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, সাধারণ বিবেচনায় বসত এলাকার রাস্তার প্রশস্ততা মানুষের চলাচল ও যানবাহনের যোগাযোগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ধারণ ক্ষমতার পরিমাপক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে একটি প্লটের উপর নির্মিত ভবনের আকার আয়তন কেমন হওয়া উচিত তা শুধুমাত্র প্লট সংলগ্ন রাস্তার প্রশস্ততার উপর নির্ভর করেনা। এক্ষেত্রে সেই নগর এলাকার পরিকল্পনা সম্পর্কিত অবকাঠামো ও নাগরিক সুযোগ সুবিধাদি যেমন সড়ক অবকাঠামো, পরিসেবা অবকাঠামো, সামাজিক সুবিধাদি যথা স্কুল, হাসপাতাল, বাজার প্রভৃতি; উন্মুক্ত স্থান ও খেলার মাঠ, পার্ক, উদ্যান, জলাশয় ও জলাধার; প্রভৃতি সম্যক বিবেচনায় নিয়ে সেই এলাকার ভারবহন ক্ষমতা নির্ণয় সাপেক্ষে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা নির্ধারণ করবার মাধ্যমে সেই এলাকার জনঘনত্ব নির্ধারণ করে প্রতি প্লটে কি পরিমাণ পরিবার বা মানুষকে ধারণ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে পরিকল্পনার কৌশল ও পন্থা নির্ধারণ করা হয়। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ এর প্রথম ধাপ হিসেবে আবাসন শিল্পকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে। আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এম এ মান্নান মনির, রায়ের বাজার হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক, মো. তাহাজ্জোত হোসেন, বেঙ্গলী মিডিয়াম হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক, মো জাকির হোসেন, ইম্িপরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রধান শিক্ষক, মো. সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর, ফারহানা জামান লিজা। আরো উপস্থিত ছিলেন ), ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাই স্কুল, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ, কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তাবৃন্দ। আয়োজনে বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার লক্ষে এখনই সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আবাসন শিল্পের অবনতির পাশাপাশি খেলান মাঠ-পার্ক, নদী-খাল প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত কাঠামো স্থাপন এবং দখলদারির কারনে প্রতিনিয়ত নগরের মানুষ শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। অবৈধভাবে আবাসন প্রকল্পের আগাসনের অগ্রগতিকে এখনও থামানো না গেলে আগামীতে এই শহর সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় অগ্রাধিকারমূলকভাবে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণের সুপারিশ দেয়া হয়েছে, যা সাইক্লিস্টদের উপকৃত করবে এবং নগরে অযান্ত্রিক যান প্রাধান্য পাবে। এছাড়াও ঢাকা শহরের অধিকাংশ গণস্থাপনা ও গণপরিসর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব নয়। ড্যাপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অন্যথায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এলাকাভিত্তিক সমমানের বিদ্যালয় স্থাপন; নতুন হাসপাতাল তৈরি করার পাশাপাশি বিদ্যমান হাসপাতালের মান উন্নয়ন করা; প্রস্তাবিত নতুন মাঠ-পার্ক নির্মানের সাথে সাথে বর্তমানে যেসব মাঠ-পার্ক রয়েছে তা সকলের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। |