![]() মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীরা ফ্যাসিবাদের দোসর : বাংলাদেশ ন্যাপ
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() বুধবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া পবিত্র রমজানের সময় রবিবার রাতে বরগুনায় ইসমাইল শাহ'র মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আসলে মাদ্রসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নামে ওরা কারা? কি চায় ওরা, কোন গোষ্টি ক্রড়িানক হিসাবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে? বহু মত ও পথের বাংলাদেশের সকল অর্জন ধ্বংস করে যারা দেশে নতুন ফ্যাসীবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারাই বরগুনায় রাতের আঁধারে মাজারে হামলা করে অংগ্নী সংযোগ করেছে এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট। এরা সমাজের ধর্মের নামে বিভক্তি আরো বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’ তারা বলেন, ‘৫ আগষ্টের পর থেকে এই পর্যন্ত যত দরবার, মাজার, বাউল সংগীতের অনুষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করলে দেখার যাবে সকল কিছুই পেছনে ধর্মীয় ছদ্মাবরনে পতিত স্বৈরাচার ও সা¤্রাজ্যবাদী-আধিপত্যপত্যবাদী শক্তির পরোক্ষ মদদ রয়েছে। এইসকল ধ্বংসাত্মক কাজগুলোতে সাধারন ও স্বরলপ্রাণ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট দল ও ব্যাক্তিদের দেশের সাধারণ মানুষ ও আর্ন্তজাতিক বিশ্বে উগ্রবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।’ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘এসকল ষড়যন্ত্রকারী গোষ্টি ও এদের পেছনে নেপথ্য কাড়ীগড়দের চিহ্নিত করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অশুভ শক্তি বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসতে পারে। তাই সরকার ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে এই অপশক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করতে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করা। সমাজে অসম্প্রীতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় যাঁরা লিপ্ত আছেন, তাঁদেরকে প্রতিওেরাধ করতে না পারলে জাতিকে কঠিন মাসুল দিতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে, বাংলার হাজার বছরের সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা যাবে না। এসব কাজ করে কেউ রেহাই পাবেন না।’ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিকর্তা হিসাবে চাইলে সবাইকে একই জাতি, গোত্র ও ধর্মের করে সৃষ্টি করতে পারতেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিকর্তার এ সৃষ্টিকে অস্বীকার করলে স্রষ্টাকেই অস্বীকার করা হবে। যাঁরা মাজার ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের ঐক্যের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে পতিত অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ’ |