![]() জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ ইসলামী দল - মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, বদর যুদ্ধের যেই ঐতিহাসিক ঘটনা তা আমাদের জন্য শিক্ষনীয় এবং করণীয়। বদর যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল মুসলমানদের সম্পদ লুটপাট করে নেওয়া এবং মুসলমানদের মদিনা থেকে মক্কায় হিজরত করতে বাধ্য করা, এজন্যই বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর যোদ্ধা ছিলেন ৩১৩ এবং কুরাইশ বাহিনীর যোদ্ধা ছিলো ১০০০ জন। যুদ্ধের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র কুরাইশদের ছিল। মুসলিম বাহিনীর কাছে তেমন কোন অস্ত্রশস্ত্র ছিল না। যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হয়। এই যুদ্ধে আল্লাহ নিজে সরাসরি ফেরেশতা দিয়ে মুসলমানদের সহযোগিতা করেছেন। সত্য প্রতিষ্ঠার যে কোন আন্দোলনে সাহায্য করা আল্লাহ দায়িত্ব হয়ে যায়। যার বাস্তব চিত্র জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে। আগামীতেও যে কোন সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যাবে। সেজন্যই জামায়াতে ইসলামী সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। সংস্কার বিহীন নির্বাচন দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে মন্তব্য করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই বলে আমরা কারো কোন সংস্কার মানবো না, ক্ষমতায় গিয়ে আমরা সংস্কার করবো! তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভংঙ্কর হবে। তারা মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে হাটছে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার গুলো যারা করতে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চায়, তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বুঝে গেছে। তারা বরাবরই জনগণের বিপক্ষে। জনগণ চায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দেশের ১৮ কোটি জনগণের এখনো সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নৈতিক দায়িত্ব জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে কাজ করা। কারো চাপের মুখে জনগণের প্রত্যাশা বাহিরে গিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ সেটি মেনে নিবে না। তাই তিনি সরকারকে জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, রমজান হচ্ছে ঈমানদারদের প্রশিক্ষনের মাস। বদর যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানদের পরীক্ষা হয়েছে তারা কী কুরআন শুধু পাঠ করে এবং বুঝে নাকি কুরআনের বিজয়ও নিশ্চিত করতে পারে। কদরের পিছনে মুসলমানরা যেভাবে ছুটছে, বদরের পিছনেও ছুটতে হবে। আল্লাহ নিজে বলেন, কুরআন দেওয়ার পরও তোমরা কেন মানুষের মতবাদের পিছনে ছুটছো?- কুরআন বাদ দিয়ে যারা মানুষের তৈরি আইন প্রতিষ্ঠার লড়াই করে তারা আবু জাহেলের ভূমিকায় নিজেকে নিয়োজিত করলো। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতা যেই পরিবেশ তৈরি করেছে এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কুরআনের বিধানে সংস্কার করতে হবে। যারা নিজেদের কে বড় দল বলে জামায়াতে ইসলামীকে ছোট করতে চায় তাদের বলবো, এই ছোট দলগুলোই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে ছিল। আপনারা কোথায় ছিলেন? - নতুন করে আওয়ামী লীগের কন্ঠে সুর মিলিয়ে কেউ কেউ এখন আবার জঙ্গি নাটক সাজাতে চেষ্টা করছে। জঙ্গির তকমা এদেশের জনগণ আর মেনে নিবে না। ভবিষ্যতে যদি কেউ আবার ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করে তাদেরকেও আবু জাহেলর মত শিশু দিয়ে নিঃশেষ করে দিবে। ফ্যাসিস্ট খুনি আওয়ামী লীগের মতই আজও কেউ কেউ সরকারের ভিতরে থেকে, বাহিরে থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর দায়িত্ব পালন করতেছে। জনগণ কোন অপপ্রচার আর মেনে নিবে না। জনগণ বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী একটি মানবিক, কল্যাণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুস সালাম, কামরুল আহসান হাসান, শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ। এছাড়াও সভায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। |