![]() হাইল হাওরে সরকারি কৃষিজমি দখল: প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী:
|
![]() স্থানীয়দের অভিযোগ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের আনিকেলী বড়, আনিকেলী বুদা , মোহাম্মদপুর, বুবাসভা, নয়ানশ্রী, বানিকা, ভারাভীমসহ আশেপাশের প্রায় ৩০-৪০টি গ্রামের কৃষকেরা এ অবৈধ দখলের শিকার। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু খাসজমি ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও, বাস্তবে তারা এসব জমির মালিকানা ভোগ করতে পারেননি। বরং প্রভাবশালী একটি চক্র ভূমিহীনদের কাছ থেকে এসব জমি কিনে সেখানে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তুলছে। অভিযোগ , কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে আরএফএল কোম্পানির ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. আলমগীর সরকারসহ অন্যান্যরা রয়েছেন, তারা অবৈধভাবে কৃষিজমি দখল করে সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছেন । ফলে হাওরের জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ছোট ছোট খাল, ছড়া, নদী-নালা, গোপাট এবং গবাদি পশুর চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু জমি দখল করাই নয়, প্রভাবশালীরা কৃষকদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে, মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে হয়রানি করছে। ফলে হাজার হাজার কৃষক তাদের কৃষিকাজ চালাতে পারছে না এবং গবাদিপশু চরানোর সুযোগও হারাচ্ছে। এতে কৃষি নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে। আনিকেলী বড় গ্রামের মোঃ এলাইছ মিয়ার ছেলে মোঃ খায়রুল ইসলাম এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ে হাওর রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সরেজমিন তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। একইসঙ্গে হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃষি ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে এসব অবৈধ প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। হাওর এলাকার ৩০ থেকে ৪০ গ্রামার সাধারণ কৃষকদের কৃষি কাজ সহ গো-মহিষ চড়ানোতে বাঁধা প্রদান করে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করিতেছে। এলাকার সাধারণ কৃষকদের কতিপয় দালাল চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি, হুমকী প্রদানসহ মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। গ্রামবাসীর জানান, দালাল চক্র মালিকানাধীন জায়গা জাল দলিল সৃজন করে প্রাণ আরএফএল কোম্পানির কাছে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে আদালতে মামলাও করা হয়েছে। এছাড়া যে জায়গা খনন করছে তাদের কাছে জানতে চাইলে কে করাচ্ছে না করাচ্ছে জানা নেই বলে একে অন্যকে জিগ্যেস করার কথা বলে । এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়। এব্যাপারে পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, খাস জমির বিষয় তো জেলা প্রশাসক দেখবেন। যেহেতু আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে আমি বিষয়টি দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। |