![]() নারী সাংবাদিক ধর্ষণের নেপথ্যে
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() ঘটনার দিন রাতে মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী ও পুরুষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সেই নারী । এসময় সেখানে থাকা লোকজন তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কার্যালয়ে সাংবাদিকতা করছি। সেখানে অনুসন্ধান করতে গিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি সিনিয়র সাংবাদিক। যেকোনো সময় যোকোনা জায়গায় যাওরার অধিকার আমার আছে। ফেসবুকে সাংবাদিকদের অন্যতম বড় গ্রুপ মিডিয়া ওয়াচে করা একটি পোস্টে জুবায়ের চৌধুরি নামের এক সাংবাদিক লিখেছেন ‘নারী সাংবাদিক ধর্ষণ ঘটনায় সন্দেহের অবকাশ আছে।’ সেই পোস্টে কমেস্টে মিডিয়া ওয়াচের নারী মডারেটর নাসিমা সোমা লিখেছেন ‘গত দুইবার ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী দারাজ থেকে নারী সাংবাদিক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। কেউ কেউ লিখেছেন ওই নারী আসলে সাংবাদিক নন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাংবাদিক নিজেকে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক দাবি করলেও তার একাধিক গণমাধ্যমের আইডি কার্ড রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য সেই নারী সাংবাদিকের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের শিকার ওই নারী যে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন সেই অফিসের নাম্বারে ফোন করলে জানানো হয়, গত দুই বছর ধরে অফিসের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই ওই নারীর। অন্যদিকে তিনি এতো রাতে কোথাও অনুসন্ধান করার বিষয়ে অফিসকে অবহিত করেননি বলেও জানানো হয়। অবাক করার বিষয় হলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সেই তথ্যও ওই নারী সাংবাদিক বা তার পরিবারের কেউ অফিসকে জানাননি। অন্যদিকে ওই নারীর মানসিক সমস্যা আছে বলে জানান ওই পত্রিকার সার্কুলেমন ম্যানেজার আবু রায়হান। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও পল্লবী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেই রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মেডিকেল রিপোর্ট এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট এখনো আসেনি। ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গত সোমবার দিবাগত রাতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান ওই নারী সাংবাদিক। এ সময় ১৬ জন তাকে ঘিরে ধরে। সেখান থেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। স্থানীদের সহায়তায় উদ্ধার হওয়ার এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই নারী সাংবাদিক। মামলার পর মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে এনামুল হক এবং হামিদুর রহমান রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে মামলার ১ নাম্বার আসামি এনামুল হক ধর্ষণের জড়িত ছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। |