![]() অ্যান্টার্কটিকার ব্লাড ফলস, রহস্যময় রক্তধারা
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() কেন পানির রং লাল? প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, হয়তো কোনো বিশাল দুর্ঘটনা ঘটেছে বা কোনো প্রাণীর রক্ত ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আসলে এটি একটি বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলাফল। প্রায় ২০ লাখ বছর আগে বরফের নিচে একটি লবণাক্ত হ্রদ তৈরি হয়। হ্রদটি সম্পূর্ণভাবে সূর্যের আলো ও বাতাস থেকে বিচ্ছিন্ন। এই হ্রদে থাকা পানির অক্সিজেন প্রায় শূন্য। এতে প্রচুর পরিমাণে লোহার উপস্থিতি রয়েছে। যখন এই পানি বরফের ফাটল দিয়ে বাইরে আসে তখন বাতাসের সংস্পর্শে এসে লালচে রং ধারণ করে। ঠিক যেমনটা আমরা মরিচা পড়া লোহার ক্ষেত্রে দেখি। ব্লাড ফলসের বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য : ১। এটি বরফের নিচের লুকানো একটি হ্রদ থেকে আসে, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। ২। হ্রদটিতে জীবাণু (মাইক্রো অর্গানিজম) রয়েছে। যারা অক্সিজেন ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। ৩। হ্রদের পানি অত্যন্ত লবণাক্ত। অতিরিক্ত লবণ হ্রদটিকে বরফ হওয়া থেকে রক্ষা করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বর্তমানে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতে হয়তো ব্লাড ফলসের গোপন হ্রদটি প্রকাশিত হয়ে যাবে। তখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই বিস্ময় হারিয়ে যেতে পারে। সূত্র : আর্থ ডট কম |