![]() চট্টগ্রামে ছুটির দিনে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
নতুন বার্তা, চট্টগ্রাম:
|
![]() শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শপিং মল ঘিরে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি। নিজেদের পছন্দের কাপড়ের জন্য ছুটছেন বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেটে। নগরীর বিপণীবিতান, সানমার ওশান সিটি, বালি আর্কেড, ফিনলে স্কয়ার, চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স, গুলজার টাওয়ার, মতি টাওয়ার, আফমী প্লাজা, মিনি সুপার মার্কেটসহ পৌর জহুর হকার্স মার্কেটেও ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। তুলনামূলক কম দামে জিনিস পাওয়া নিয়ে সুনাম আছে নিউমার্কেট এলাকার তামাকুমুন্ডী লেইনের। সেখানে পাঞ্জাবি-পায়জামা, জুতাসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর জন্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে মধ্যরাত পর্যন্ত। জুতার জন্য তামাকুমুন্ডি লেইনে আসা আশফাকুর রহমান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, জুতার জন্য এখানে আসা। তুলনামূলক কম দামে এখানে জুতা পাওয়া যায়। গাউসিয়া ফ্যাশনের ম্যানেজার বলেন, সেহরির সময় পর্যন্ত ক্রেতা থাকে। আজ ছুদিরদিন, তাই আরও বেশি ক্রেতা এসেছে। এদিকে থানকাপড়ের জন্য বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রসিদ্ধ টেরিবাজারেও তিল ধারণের মতো জায়গা নেই। বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি বেশি এই বাজারে। বাহারি নামের বড় বড় শোরুমে দেশি-বিদেশি ঝলমলে পোশাক হাতছানি দিচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা সমানে বিক্রি হচ্ছে শবেবরাতের পর থেকেই। বেলা বাড়তেই ঢল নামছে নারী ক্রেতাদের। বেচাকেনা চলছে সেহেরি পর্যন্ত। সরেজমিন দেখা গেছে, পছন্দের শাড়ির খোঁজে এক শোরুম থেকে আরেক শোরুমে চষে বেড়াচ্ছেন ফ্যাশন সচেতন নারীরা। সেলাই ছাড়া বাহারি নামের থ্রিপিসের চাহিদাও তুঙ্গে। পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ, ব্লাউজ, পর্দার কাপড়সহ গজ কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে তুলনামূলক ফাঁকা জুতো, লুঙ্গি, গহনা আর প্রসাধনীর দোকানগুলো। ফিট ম্যান্সের স্বত্বাধিকারী আলী আজগর বলেন, চীন, ভারত, পাকিস্তানি ‘সিকোয়েন্স’ পাঞ্জাবি চলছে এবার। প্রতি গজ ৪০০-১০০০ টাকা। একটি পাঞ্জাবিতে ২ হাত বহরের সাড়ে ৩ গজ, আড়াই হাত বহরের ৩ গজ, সাড়ে তিন হাত বহরের সোয়া ২ গজ কাপড় লাগে। টেরিবাজারের বড় শপিং সেন্টারগুলোর মধ্যে ইব্রাহিম ম্যানশন, জেএস প্লাজা, জহুর ম্যানশন, বিচিত্রা বিপণী, মাস্টার মার্কেট, এসবি ঘোষ মার্কেট, হাজি দুদু মিয়া মার্কেট, হাজি রমজু মিয়া ম্যানশন, বদরুদ্দিন মার্কেট, ওআর প্লাজা, মদিনা ম্যানশন, আনোয়ার ম্যানশন, সূর মোহাম্মদ মার্কেট, নাহার ম্যানশন, মল্লিকা শপিং, সওদাগর টাওয়ার, জনতা মার্কেট, শাহ আমানত মার্কেট, নূর মার্কেট, এ কবির মার্কেট, মা ম্যানশন, কুঞ্জ মোহন মার্কেট, কেবি অর্কিড প্লাজা, আসমা শপিং সেন্টার, কেবি আমান আলী টাওয়ার ইত্যাদিতে ক্রেতাসমাগম বেশি দেখা গেছে এবার। বড় বড় শোরুমের মধ্যে পরশমণি, মেগামার্ট, রাজকুমারী শপিং মল, সানজানা, মাসুম ক্লথ স্টোর, মনে রেখো, আলমগীর অ্যান্ড ব্রাদার্স, সানা ফ্যাশন মল, আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল, খাজানা, রাজস্থান, শৈল্পিক, লাক্সারি ফ্যাশন, মল ২৪, আরএক্স সুজ অ্যান্ড কিডস মল, রাজবধূ, বেগম বিডি, বিগবাজার, রাজপরী, বড় বাজার, মায়াবী ইত্যাদিতে দেশি বিদেশি সেরা কালেকশন দেখা গেছে। টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, টেরিবাজারে ৮২টি শপিং সেন্টারে (মার্কেট) ছোট বড় প্রায় ২ হাজার দোকানে ২০-২৫ হাজার ব্যবসায়ী কর্মচারী আছেন। একটা সময় থান কাপড়ের জন্য ঐতিহ্যবাহী ছিল টেরিবাজার। মেগামার্ট, মনে রেখো, মাসুম ক্লথ, রাজকুমারী, সানা ইত্যাদি অনেক বড় বড় শোরুম হয়েছে এখন। আধুনিক ছোঁয়া লেগেছে শোরুমগুলোতে। চীন, পাকিস্তান, ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে পোশাক আনছেন তারা। দেশি ভালো মানের পোশাকও আছে বেশ। এদিকে পুলিশের তরফ থেকেও বাড়তি নিরাপত্তা নিতে দেখা গেছে। প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশমুখে পুলিশ টিমের উপস্থিতি দেখা গেছে। |