![]() প্রতিদিন গোসল করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায় কি?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, যখন রমজানের শেষ দশক আসতো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাতে জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৭) রমজানের শেষ দশক এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার মূল কারণ হলো এ মাসে আছে একটি রাত যেটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র এই রাতকে ভাগ্যের রাতও বলা হয়। এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। মূলত পবিত্র রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর যেকোনো একটি রাত মূলত শবে কদরের রাত। বিভিন্ন হাদিস ও আলেমদের মতে, রমজানের ২৭ তারিখে শবে কদর, যা মূলত ২৬তম রোজার দিন রাতে। তাই এই রাত রাত কোনোভাবে ছুটে না যায় সেজন্য শেষ দশকে ইতিকাফের বিধান রয়েছে। খোদ নবীজিও রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৯) তবে ইতিকাফে থাকাবস্থায় কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মসজিদে এবং নারীদের ঘরে ইতিকাফ করতে হয়। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে অনেকেই বলে থাকেন- ইতিকাফে থাকাবস্থায় প্রতিদিন গোসল করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়, আসলেই কি তাই? ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, মূলত ইতিকাফরত অবস্থায় মসজিদ থেকে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া, নিরুপায় না হলে বের হওয়া জায়েজ নয়। এ ক্ষেত্রে গোসল একান্ত কোনো প্রয়োজন নয়। ফলে শুধু গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে শুদ্ধ হবে না, ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে যদি কারও গোসল ফরজ হয় তবে তিনি অবশ্যই গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন। |