![]() বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা জরুরি :সিনেটর ডেভিড শোব্রিজ
নতুন বার্তা, সিডনি:
|
![]() অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিনেটর ও সাবেক এমপি ডেভিড শোব্রিজ, বলেন, “আমি এখনো স্মরণ করি, কীভাবে তরুণ ছাত্ররা স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাড়িয়েছিল। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন ইতিহাসে অনন্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখছি, সে গণতন্ত্র আজ সংকটে। নির্বাচনের কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই, যা উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের টাইম ফ্রেম ঘোষণা করা জরুরি। অস্ট্রেলিয়া চায়, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ নির্বাচন হোক।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলেও সত্য যে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করলেও, এখনো নির্বাচনের জন্য নানা টালবাহানা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক বলেন, “জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা নন, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে তার দেখানো পথ অনুসরণ করাই আমাদের কর্তব্য।” অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ এবং সিপাহী-জনতার বিপ্লবের ফসল জিয়াউর রহমান। তিনি কেবল বিএনপির নন, সব বাংলাদেশির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর সততা ও দেশপ্রেম আমাদের অনুপ্রেরণা।” অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে ‘অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস’ দলের এমপি আবিগেইল বয়েড এমপি বলেন "বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্ট থেকে ভয়েস রেইজ করবো। গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।" সভাপতির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এএফএম তাওহিদুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি) বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। তিনি আরাফার ময়দানে নিম গাছ রোপণ করেছিলেন, যা আজও হাজী সাহেবদের ছায়া দেয়। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করি।” সিডনির লাকেম্বা লাইব্রেরি হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নিউ সাউথ ওয়েলসের এমপি, স্থানীয় সিনেটর, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৩ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতার জন্য মোনাজাত করা হয়। |