![]() হাসনাতের পোস্ট ঘিরে এনসিপিতে বিভক্তি, ঐতিহাসিক অনৈক্যের ধারাবাহিকতা দেখছেন বিশ্লেষকরা
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() গণঅভ্যূত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে দেশে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই বর্তমান সরকারের, বৃহস্পতিবার রাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য আশার পর ওইদিন ভোররাতে এ নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের নামে পুনর্বাসনের চেষ্টা হচ্ছে, ক্যান্টনমেন্ট থেকে। হাসনাতের এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বের হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি বক্তব্য। নতুন উত্তেজনা ছড়ায় রাজনীতির মাঠে। ঢাকার রাস্তায় বাড়ানো হয় সেনাবাহিনীর টহল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এনসিপির অবস্থান স্পট করেন আহ্বায়ক, নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি রাজনৈতিক দল কার্যক্রম করতে পারবে কি পারবে না এটা সম্পূর্ণই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেখানে সেনাবাহিনী কিংবা রাষ্ট্রীয় এমন কোনো প্রতিষ্ঠান যাদের আসলে এ বিষয়ে কোনো ধরণের মন্তব্য, পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত, প্রস্তাবনা দেয়ার কোনো ধরণের এখতিয়ার নেই। পরের দিনই হাসনাতের পোস্টকে শিস্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন, এনসিপির মুখ্যসংগঠক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী। নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যে মিটিংগুলো করেছেন তার এ বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা উচিত হয়নি। আমরা মনে করি এটা শিষ্টাচার বর্জিত একটি স্ট্যাটাস হয়েছে। এবিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, এনসিপির অন্য নেতারাও। সারজিস আলম পোস্ট দিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টের। বলেন, যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি সমীচীন হয়নি। দাবি করেন, ১১ মার্চ তাদের ডেকে নেয়া হয়নি সেনানিবাসে। সারজিসের পোস্টের কমেন্টে দলের আরেক নেতা হান্নান মাসুদ বলেন, হয় হাসনাত না হয় সারজিস যে কোন একজন এ বিষয়ে মিথ্যা বলছেন। রোববার এ বিষয়ে সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজে সেনাসদরের বরাত দিয়ে বলা হয়, হাসনাতের বক্তব্য অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার। বাংলাদেশের ৫৩ বছর আর আগের পাকিস্তান আমল ষাটের দশক দীর্ঘ এই পথপরিক্রমায় রাজনীতিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন অধ্যাপক মাহবুব-উল্লাহ। তার মতে যেকোন গণ অভ্যূত্থান পরবর্তী এমন ছন্দপতন হতেই পারে। অধ্যাপক মাহবুব-উল্লাহ বলেন, এরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাদের নিজ নিজ মঞ্চ থেকে, নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে কথা বলে। কিন্তু তারা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকে না। তাহলে আমাদেরকে আমাদের দেশের যে অতীত ইতিহাস যে অতীত ঘটনা সেখান থেকেই কিন্তু বুঝতে হবে যে এই মাটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। এখানে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা এবং একে অপরকে জায়গা করে দেয়া, একে অপরকে নিয়ে কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার যে একটা কালচার সেটা এখানে গড়ে উঠেনি। তবে, যে সুযোগ এসেছে ২৪-এ তা যেন হাত ছাড়া না হয় সেজন্য ঐক্যের বিকল্প নেই বলছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। |