![]() দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চক্রান্ত চলছে : বাংলাদেশ ন্যাপ
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() সোমবার (২৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যেভাবে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে, ঠিক তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে পুরাতন ফ্যাসীবাদ পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে, একই সাথে আর যাতে কোন ফ্যাসীবাদ জাতির ঘাড়ে বসতে না পাড়ে তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থির করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সকলে সজাগ-সতর্ক না থাকলে কঠিন মাশুল দিতে হবে।’ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সকলকে মনে রাখতে হবে, আমাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কোন শুভ ফলাফল বয়ে আনবে না। এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনও ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখতো, তাহলে কোনও গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন হয়ে উঠত। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল ফ্যাসীবাদের পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই ফ্যাসীবাদের প্রধান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো।’ তারা বলেন, ‘জাতির বিশ্বাস করি, ছাত্র সমাজ এখনো সজাগ আছে। এই জাগ্রত ছাত্র সমাজ সকল ফ্যাসীবাদী শক্তির পুনর্বাসনের যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলকে যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, দেশের কিছু পরজীবী বুদ্ধিজীবী কৌশলে ২৪'র গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলা করতে চাচ্ছে। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সকল পক্ষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’ |