![]() এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’
নতুন বার্তা, নোয়াখালী:
|
![]() সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্টে অ্যাডমিন দাবি করেছেন, হামলায় হান্নান মাসউদ ভাইসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়কেই ছাত্র-জনতাকে নিয়ে অবস্থান করছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। জানা যায়, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ হাতিয়ার সন্তান। রোববার দিনব্যাপী তিনি উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার দিনব্যাপী জাহাজমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় জাহাজমারা বাজারে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার জনসংযোগে বাধা ও হামলা করে। এ সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়কেই ছাত্র-জনতাকে নিয়ে অবস্থান করেন আবদুল হান্নান মাসউদ। হামলার বিষয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমার পথসভায় বিএনপির একদল নব্য ফ্যাসিস্ট বাধা দেয়। প্রতিবাদে আমি ছাত্র-জনতাকে নিয়ে সড়কেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যারা হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের থেকেও কম নয়। তারা বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে ফের হামলার পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমি চাই কোনো অপরাধীর ঠাঁই এই দ্বীপে না হোক। সে যে দলেরই হোক না কেন। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতেই হবে। এদিকে হামলা ও বাধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন। তিনি বলেন, কিসের হামলা, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নাই। বর্তমানে আব্দুল হান্নান মাসউদ যাদের নিয়ে ঘুরছেন তারা আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসর। তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হতে পারে। হাতিয়া থানা পুলিশের ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। জাহাজমারায় কৃষক দলের আহ্বায়কের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিএনপির লোকজন প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সম্ভবত সেই মিছিল থেকে হামলা হতে পারে। আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। এদিকে হামলা হওয়ার পর হান্নান মাসউদের ফেসবুকে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা আছে, ‘নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজমারাতে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আব্দুল হান্নান মাসউদ ভাইকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য অতর্কিত হামলা। এতে হান্নান মাসউদ ভাইসহ ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী গুরুতর আহত।’ |