![]() মিরপুরে ডিবির অভিযানে ভুয়া ভিসা ও বিএমইটি কার্ড তৈরি চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
রবিবার (২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) মিরপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করেছে ডিবি-মিরপুর বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ী চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম। ডিবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার ডিবি-মিরপুর বিভাগের উক্ত টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালীন মগবাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে লাইসেন্সবিহীন কিছু এজেন্সি ভুয়া বিএমইটি স্মার্টকার্ড ও জাল ভিসা তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর কমার্স কলেজ সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে শিউলি আক্তারকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুরান পল্টনের সখ সেন্টারের ৮ম তলায় অবস্থিত মা মনি ওভারসিজ লিমিটেড এর অফিসে অভিযান চালিয়ে মো.ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে সে অবৈধভাবে বিএমইটি স্মার্টকার্ড ও জাল রাশিয়ান ভিসা তৈরি করে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে সরবরাহ করে আসছিলো মর্মে জানায়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ শাকিল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একটি কম্পিউটার, ২৩টি বিএমইটি স্মার্টকার্ডের হার্ডকপি , দুটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিএমইটি স্মার্টকার্ড ও জাল রাশিয়ান ভিসা তৈরিতে ব্যবহুত পিসির স্কিন রেকর্ড এর একটি সিডি জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল আরো জানায় তার সবুজবাগ থানাস্থ মানিকনগরের ভাড়া বাসায় ভুয়া ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট রয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মানিকনগরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি ভুয়া ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শিউলি আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজয়নগর এলাকায় তার অফিসে অভিযান চালিয়ে আরও কয়েকটি ভুয়া ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ভিসা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ভিসা ও বিএমইটি কার্ড তৈরি করে লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তারা ১০-১২ জন এজেন্টের মাধ্যমে ভুয়া বিএমইটি স্মার্টকার্ড ও ভুয়া রাশিয়ান ভিসা দেখিয়ে প্রায় ২০০-২৫০ জন লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
|