![]() পল্লবীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবককে গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এক পর্যায়ে রিয়াদকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম। সোমবার সকালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান। স্থানীয় ও পল্লবী থানা সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর রাতে মিরপুর ১২ নম্বর মেট্রো স্টেশনের নিচে রিপন খান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন রিয়াদ হোসেন। ওই সময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২ ব্যক্তি জনতার রোষানলে পড়ে কৌশলে পালিয়ে যান। রিয়াদকে লোকজন আটক করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে এসে রিয়াদকে তাদের হেফাজতে নেন। এরপর সেনাবাহিনী পল্লবী থানায় হস্তান্তর করতে চাইলে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে তাকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন। সেনাবাহিনীর টহল টিম ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে পুনরায় পল্লবী থানায় নিয়ে আসে। ওই সময় রিয়াদের হাতে স্যালাইন ক্যানোলা লাগানো ছিল। রিয়াদকে এই অবস্থায় দেখে তাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল টিম ও পল্লবী থানার টহল টিম একসঙ্গে রিয়াদকে নিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে রিয়াদের স্ত্রী ও তার আত্মীয়-স্বজন ছিল। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় রিয়াদকে পল্লবী থানায় নিয়ে আসা হয়। এই দিন গভীর রাতে ভিকটিম পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশির দিনে ছিনতাই বা ছিনতাইয়ের সময় জনতার হাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে রিয়াদের এভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হওয়া উদ্বেগের বিষয়। আমি গতকাল রাত থেকে এই নিয়েই আছি। এখনও হসপিটালে। |