![]() মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৭০০ ছাড়ালো
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এদিকে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়ের মানবিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আশ্রয়, খাদ্য এবং পানির জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে অভাবীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জরুরি দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। জাতিসংঘের জাতিসংঘের মানবিক বিষয়াদি সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানুষজন তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য লড়াই করছে। যেমন: পরিষ্কার পানি এবং স্যানিটেশন। মান্দালয়ের একজন আইআরসি কর্মী এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার পর মানুষ এখন আফটারশককে ভয় পায়। অনেকে বাড়ি ছেড়ে বাইরের রাস্তায় বা খোলা মাঠে ঘুমাচ্ছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের সময় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। এটিকে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলা হচ্ছে। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু স্থাপনার পাশাপাশি প্রাচীন প্যাগোডা ও শতাব্দী-প্রাচীন মসজিদ ভেঙে পড়েছে। ওসিএইচএ জানিয়েছে, মিয়ানমারের মান্দালয় এলাকায় একটি প্রাক-বিদ্যালয় ধসে ৫০ জন শিশু ও দুই শিক্ষক নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও ধসে পড়া আকাশচুম্বী ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকারীরা এখনো প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। |